আমরা এত বড়লোক কেন?’ মা টুইঙ্কেলকে জিজ্ঞেস করেছিলেন অক্ষয়-পুত্র আরভ

অক্ষয় কুমার এর স্ত্রী ও নাম করা অভিনেতা তারকা দম্পতি রাজেশ খান্না ও ডিম্পল কাপাডিয়া এর কন‍্যা হলেন টুইঙ্কেল খান্না, কিন্তু ছাড়াও টুইঙ্কল খান্না এর নিজের একটা পরিচয় আছে, লেখিকা হিসাবে সে খুবই মহিমান্বিত। তাঁর নিজের লেখা গল্পঃ ‘মিসেস ফানি বোনস’ কিন্তু খুবই হিট পছন্দ করেছেন অনেকেই। একজন স্পষ্টবাদী হিসাবেও টুইঙ্কল খান্নার কিন্তু প্রচুর নামডাক রয়েছে, সবাই জানেন এই বিষয়টি। কিন্তু এই বার টুইঙ্কল সাধারণ লোকেদের সামনে বলেই দিলেন তাঁদের ছেলে আরভ এর একটি করা প্রশ্ন যেটি সে তার মা অর্থাৎ টুইঙ্কেল খান্না কে করেছিল, এবং প্রশ্নটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

কয়েকদিন আগে টুইক ইন্ডিয়া নামক একটি ইউটিউব চ্যানেল আয়োজন করেছিল একটি আলাপ পরিচয় ও আড্ডা করার মতো একটি ইন্টারভিউ অনুষ্ঠান, সেখানে ছিলেন ইনফোসিস ফাউন্ডেশন এর বর্তমান চেয়ারপার্সন অর্থাৎ খুবই জনপ্রিয় লেখিকা সুধা মুর্তি ও তার সাথে আড্ডায় মেতে ছিলেন টুইঙ্কল খান্না। সেই সময় হটাৎ সেই ইন্টারভিউ এ টুইঙ্কল খান্না বলেন, অনেক সময় এমন হয় যে বিলাসবহুল পরিবেশের মধ্যে বড়ো হওয়া সেলিব্রিটি সন্তান এরা এখন বাকি সাধারণ মানুষের দুঃখ কষ্ট ও অভাবের জীবন দেখে নিজেদের এক প্রকার দোষী ভাবতে শুরু করে দেয়।

তাদের অনেক সময় মনে হয় তাদের এই বিলাসিতা ভরা জীবনের তারা যোগ্য নয়।বিনা কারণে তারা এই ধরনের বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা ভোগ করছেন। এবার এই বিষয়ে টুইঙ্কল, লেখিকা সুধা মূর্তি কে প্রশ্ন করেন, এই ধরনের জটিল পরিস্থিতি এর মধ্যে তিনি কি ভাবে নিজের সন্তান কে বুঝিয়েছিলেন!সেই সময় মিসেস সুধা মূর্তি সবাই কে জানান, এক সময় তিনি ও তাঁর ছেলে রোহান একসাথে ভ্রমণের উদ্দেশে এক আদিবাসী অঞ্চলে প্রবেশ করেছিলেন। তখন তার সন্তান রোহান এর বয়স মাত্র তেরো বছর।

তখন তিনি সেই আদিবাসীদের দিকে ইঙ্গিত করে তিনি রোহান কে বলেন, এই লোকগুলোর মধ্যে অনেকেই আছেন যাঁরা কিন্তু রোহান এর থেকে ও বেশি প্রতিভাশীল, মেধাবী ও জ্ঞানী। কিন্তু শুধু মাত্র দরকারী সুযোগ ও সুবিধার না পাওয়ার জন্য তাঁরা আজ তাঁদের স্বপ্ন পূরণ করে একটা সুন্দর জীবন কাটানোর সৌভাগ্য পায়নি। সেই জন্য রোহান যা সুযোগ সুবিধা পেয়েছেন, তিনি যেনো সেগুলি অপব্যাবহার না করে যেন সেগুলির উপযুক্ত মর্যাদা দেন।

এই প্রসঙ্গে টুইঙ্কল খান্না বলেন, তার পুত্র আরভ একবার তাঁকে প্রশ্ন করেছিলেন, যে কেন তাঁরা এতো পরিমাণে বিলাসবহুল ভাবে থাকেন এদিকে দেশের অন্যান্য সাধারণ মানুষের আন্দাজে বেশি সুযোগ সুবিধা ভোগ করেন। তখন টুইঙ্কল খান্না তাকে উত্তর হিসাবে বলেছিলেন, “আরভ মুখে রুপোর চামচ নিয়ে জন্মালেও তা সামলানোর দায়িত্ব তাকেই পালন করতে হবে। রুপোর বদলে সে যদি মুখে প্লাস্টিকের চামচ নিয়ে জন্মাত, সেই দায়িত্বও তাকেই সামলাতে হত।

কিন্তু রূপোর চামচ দিয়ে যখন সে নিজের মুখে খাবার তুলবে, তখন তার উচিত চামচের মর্যাদা দিয়ে যারা বঞ্চিত তাদের মুখেও খাবার তুলে দেওয়া।” তখন তার মা টুইঙ্কল খান্না এর মুখে এই প্রকার কথা শোনার পর আরভ এর মধ্যে একধরনের পরিবর্তন এসেছিল। সে বুঝতে পেরেছিল, যে তাদের এই অর্থ এবং বিলাসিতা কে ব্যাবহার করেই অসহায় মানুষদের পাশে দাঁড়ানো সম্ভব। এবং তিনি যথারীতি ভাবে অভাবি, দুঃখী, ও যাদের সাহায্যের দরকার তিনি তাদের কে কোনো দ্বিতীয় চিন্তা ছাড়ায় নির্দ্বিধায় সাহায্য করতে এগিয়ে পড়ার চেষ্টা করেন।