আইসিসি বিশ্বকাপে এগিয়ে কে, গম্ভীর নাকি কোহলি? জানুন বিস্তারিত

চলছে IPL। এই সময়ে গোটা পৃথিবী জুড়েই যেন ছড়িয়ে রয়েছে IPL ফিভার। এরই মাঝে কিছুদিন আগেই বেঙ্গালুরু এবং লখনোউর খেলার শেষে কিছুটা কথা কাটাকাটি হতে দেখা যায় গৌতম গাম্ভীর (Gautam Gambhir) এবং বিরাট কোহলির (Virat Kohli) মধ্যে। যা নিয়ে তুমুল শোরগোল পড়ে যায় নেটপাড়ায়। স্যোশাল মিডিয়া দুভাগে বিভক্ত হয়ে যায়। একদল এই ঝামেলার পর সমর্থন করেছেন গৌতম গাম্ভীরকে। আর একদল পাশে দাঁড়িয়েছে বিরাট কোহলির।
জানিয়ে রাখি, ভারতীয় ক্রিকেটের ইতিসাহে এই দুজনই কিন্তু সফল খেলোয়াড়। তবে এই মুহূর্তে গৌতম গাম্ভীর ভারতীয় দলের প্রাক্তন খেলোয়াড় হয়ে গেলেও, বিরাট কোহলি রয়েছেন বর্তমান। দুজনেই তাঁদের দুর্দান্ত ব্যাটিং দিয়ে, একের পর এক জয় এনে দিয়েছে দলের হয়ে।
এবার জেনে নিন গৌতম গম্ভীর এবং বিরাট কোহলির পারফরম্যান্সের বিষয়ে…।
গৌতম গম্ভীর ক্যারিয়ারে ৪ টি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ খেলেছেন। এই সময়ে, তিনি ২০ ইনিংসে ২৬ গড়ে এবং ১১৮ এর সহজ স্ট্রাইক রেটে ৫২৪ রান করেছেন। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে মোট ৪ টি হাফ সেঞ্চুরি করেছেন গম্ভীর। যার মধ্যে ২০০৭ সালের আইসিসি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ফাইনালে পাকিস্তানের বিপক্ষে ৭৫ রানের ইনিংসও রয়েছে। গৌতম গম্ভীর তার ক্যারিয়ারে ২০০৭ সালে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জিতেছিলেন।
আবার, ২০১১ সালে গৌতম গম্ভীর একমাত্র ওয়ানডে বিশ্বকাপ খেলেছিলেন এবং চ্যাম্পিয়নও হয়েছিলেন। টুর্নামেন্টে খেলা ৯ ম্যাচে, তিনি ৪৩ এর চিত্তাকর্ষক গড় এবং ৮৫ স্ট্রাইক রেটে ৩৯৩ রান করেছেন। ২০১১ ওয়ানডে বিশ্বকাপে গম্ভীর ৪ টি হাফ সেঞ্চুরি করেছেন। যার মধ্যে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ফাইনালে ৯৭ রানের ইনিংসটিও ছিল।
এবার আসি বিরাট কোহলির বিষয়ে-
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ রান রয়েছে বিরাট কোহলির ঝুলিতে। কোহলি টুর্নামেন্টে খেলা ২৫ ম্যাচে ৮১.৫০ এর আশ্চর্যজনক গড় এবং ১৩১.৩০ এর শক্তিশালী স্ট্রাইক রেটে সর্বোচ্চ ১১৪১ রান করেছেন। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে অপরাজিত ৮৯ সহ মোট ১৪ টি হাফ সেঞ্চুরি করেছেন কোহলি।
বিরাট কোহলি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে সবচেয়ে বেশি রান করেছেন এবং সবচেয়ে বেশি ৫০ রান করেছেন। এমনকি সবচেয়ে বেশি ম্যান অফ দ্য ম্যাচের রেকর্ডও কোহলির দখলে কিন্তু তিনি এখনও টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জিততে পারেননি।
বিরাট কোহলি এখনও পর্যন্ত তার ক্যারিয়ারে ২০১১, ২০১৫ এবং ২০১৯ সালে তিনটি ওয়ানডে বিশ্বকাপ খেলেছেন। এই সময়ে, তিনি ২৬ ম্যাচে ৪৬ গড়ে এবং ৮৬ স্ট্রাইক রেটে ১০৩০ রান করেছেন। যার মধ্যে রয়েছে ২ টি সেঞ্চুরি ও ৬ টি হাফ সেঞ্চুরি রয়েছে।