4G না 5G কোন ধরনের স্মার্টফোন কিনলে এখন হবে পয়সা উসুল, জেনে নিন এক নজরে

ইতিমধ্যেই বিশ্বের প্রথম সারির বেশ কয়েকটি দেশে 5G ইন্টারনেট পরিষেবা চালু হয়েছে। একিসাথে ভারতেও চালু হতে চলেছে 5G পরিষেবা। আগামী মাসে অর্থাৎ জুলাইতে এদেশে 5G স্পেকট্রাম নিলাম হতে পারে বলে জানা গেছে। সেইসঙ্গে আপনাদের বলে রাখি একটি 5G ইন্টারনেট (Internet) 4G -এর থেকে প্রায় দশগুণ দ্রুত কাজ করবে। এরকম পরিস্থিতিতে কম বেশি অনেকেই আছেন যারা নতুন স্মার্ট ফোন কেনার জন্য মনস্থির করেছেন। কিন্তু একজন কাস্টমার হিসাবে তারা 4G ফোন নেবেন না 5G তা বুঝতে পারছেন না তবে এই প্রতিবেদনটি আপনার জন্য। এখন যদি আপনিও সেই দলে থাকেন তাহলে এই প্রতিবেদনে আপনার এই কনফিউশন দূর হয়ে যাবে –

5G network

এখন ২০২২ সাল চলছে। স্মার্টফোন ব্র্যান্ডগুলি ভারতে প্রতিদিন নিত্য নতুন 5G ফোন লঞ্চ করছে এবং সেগুলো দামও কাস্টমারের বাজেটের মধ্যেই রয়েছে। যেখানে OnePlus, Redmi, Xiaomi, Realme এবং Samsung- এর মত প্রচুর ডিভাইস মার্কেটে উপলব্ধ রয়েছে। তবে এখনি কি 5G ফোন নেওয়া ঠিক হবে?

প্রথমেই বলে রাখি 5G স্মার্টফোনগুলিতে কোয়ালকেম স্ন্যাপড্র্যাগন অথবা মিডিয়াটেকের চিপসেট ব্যাবহার করা হয় যেগুলো বেশ দামী। মোবাইল নির্মাতা সংস্থাগুলি এই 5G চিপসেটগুলি এমনিতেই বেশি খরচ দিয়ে কিনছে, এরপর এর সাথে তারা যখন অন্যান্য প্রযুক্তি-সহ মোবাইলগুলি বাজারে আনছে, তখন স্মার্ট ফোনের দামও আরও বাড়ছে। ফলে আপনাদের একটি ভালো 5G মোবাইল কিনতে গেলে বর্তমান সময়ে সুলভ মূল্যের চেয়ে বেশি খরচ করে কিনতে হবে।

Mobile Phone

তবে বাজারে কম দামের অনেক 5G স্মার্টফোন উপলব্ধ রয়েছে কিন্তু সেগুলো অনেকটাই নিম্নমানের। যেখানে দেখা যাচ্ছে একটা ১৫০০০ টাকার ফোনে 5G কানেক্শনের ফোনের ফিচার্স ওই একই মূল্যের একটি 4G ফোনের তুলনায় অনেক কম। এতে দৈনন্দিন ব্যবহারের ফোনটির কার্যক্ষমতা অনেকটাই কম পাওয়া যাচ্ছে। ভারতে 5G নেটওয়ার্ক আসতে ছ’মাসের বা তারও বেশি লাগতে পারে এবং সেটা ভারতের প্রতিটা কোনায় উপলব্ধ হতে কয়েক বছরও লাগতে পারে। সুতরাং এখন অতিরিক্ত ব্যয় করে 5G কানেক্টিভিটি ফোন না নিয়ে, ভালো ক্যামেরা, ডিসপ্লে, ব্যাটারি, চার্জিংয়ের দ্রুততার মতো বিষয়গুলি মাথায় রেখে আপনারা 4G ফোন নিতে পারেন।

তবে ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে নিলে অর্থাৎ যদি আপনি ৪-৫ বছর একটানা মোবাইলটি ব্যাবহার করবার কথা ভাবছেন অথবা 5G পরিষেবার মজা নিতে চাইছেন সেক্ষেত্রে অবশ্যই কিনতে পারেন। তা হলে আগামী দিনে নতুন করে মোবাইল পরিবর্তন করবার জন্য চিন্তা করতে হবে না। তবে এখন মোবাইলটি কেনার সময় একটি বিষয় অবশ্যই আপনাদের খেয়াল রাখতে হবে, সেটি হল ফোনটি যেন পাঁচটি বা তার বেশি 5G নেটওয়ার্ক ব্যান্ড সাপোর্ট করে। আর একটি ফ্ল্যাগশিপ ফোন আপনাদের নিতে হবে যেখানে আপনারা কোনরকম অসুবিধা ছাড়াই 5G এর পাশাপাশি সমস্ত বৈশিষ্ট্য পেয়ে যাবেন।