আধুনিক ভারত নির্মাণে কোন প্রধানমন্ত্রীর অবদান বেশি, নেহেরু নাকি মোদীর- পড়ুন রিপোর্ট

দেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী ছিলেন জহরলাল নেহরু এবং দেশের বর্তমান হলেন প্রধানমন্ত্রীর নরেন্দ্র মোদী। দুই প্রধানমন্ত্রী দেশেকে এগিয়ে নিয়ে গিয়েছে। দুজনের অবদান দেশের জন্য প্রচুর। তাই তাঁদের মধ্যে পার্থক্য করা একদমই অনুচিত হবে। তবে দেশের দুই প্রধানমন্ত্রী দেশের উন্নতির জন্য কি কি করেছেন, তা একবার দেখে নেওয়া যাক।

প্রথমেই কথা বলবো , দেশের প্রাক্তন প্রয়াত প্রধানমন্ত্রী জওরলাল নেহেরু। ব্রিটিশরা দেশ ছাড়ার পর ভারতের প্রথম প্রধানমন্ত্রী নেহেরু ১৭ বছর শাসন করেছিলেন। তিনি প্রযুক্তিগত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান করেন। সেইসময়এ ভারতে কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় ছিল না, তিনি প্রথম প্রতিষ্ঠান করেছিলেন।

তিনি বিভিন্ন সরকারি সংস্থা স্থাপন করেন, যেমন স্টেট ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া, জীবন বীমা নিগম, ওয়ার্ল্ড অ্যান্ড ন্যাচারাল গ্যাস, কমিশন ইন্ডিয়ান অয়েল কর্পোরেশন এবং এয়ার ইন্ডিয়া। এই প্রতিটা সংস্থান আজ আন্তর্জাতিক সংস্থাই রূপান্তরিত হয়েছে। তিনি সেসময় ভারতের সরকারি ক্ষেত্রগুলির ওপর বেশি জোর দিয়েছিলেন। কারণ ব্রিটিশরা চলে যাওয়ার পর সেটাই সবথেকে বেশি জরুরি ছিল।

এবার আসি, বর্তমান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির কথায়। যদিও তাঁর শাসনকাল অর্ধেক প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীর থেকে, তবুও ভারতের প্রচুর উন্নতি হয়েছে এই ক-বছরে। মোদীজি ভারতকে যতদিন যাচ্ছে আরো আধুনিক করে তুলছেন। তিনি এখনও পর্যন্ত যা যা নির্মাণ করেছেন, সেগুলি হলো কোন নদীর সঙ্গে বেত্রবতী নদী সংযোগ প্রকল্প, এক্সপ্রেসওয়ে নির্মাণ, বুলেট ট্রেন নির্মাণ, সাউন্ডপ্রুফ হাই ওয়ে নির্মাণ, দেশের সব থেকে দীর্ঘ রেল এবং সড়ক সেতু এবং দীর্ঘতম সেতু নির্মাণ প্রমুখ।

তিনি প্রধান জলবিদ্যুৎ প্রকল্প(ভাকরা-নাঙ্গাল, হিরাকুঁদ, রিহান্দ এবং দামোদর উপত্যকা পরিকল্পনা) এখনও পর্যন্ত এই জায়গা গুলিতে বেএবতী নদীর সংযোগ করেছেন। তিনি আরো নির্মাণ করেছেন, দেশে ভারী শিল্পের ভিত্তিস্থাপনের উদ্দেশ্যে ইস্পাত, তাপবিদ্যুৎ প্রকল্পের উপযোগী যন্ত্র উৎপাদন, বাষ্পীয় এবং বৈদ্যুতিক রেল ইঞ্জিন নির্মাণের কারখানা, ট্রেনের কামরা তৈরির কারখানা, সেনাবাহিনীর সুবিধার্থে সাঁজোয়া গাড়ি তৈরির কারখানা প্রমুখ।

একটা সময়ে দেশের নিরক্ষর সংখ্যা ছিল ৭০ শতাংশ। আজ সেই সংখ্যা অর্ধেকেরও অর্ধেক হয়ে গিয়েছে। প্রধানমন্ত্রী রাম মন্দির স্থাপন করেছেন অযোধ্যাতে। বারাণসীতে বিশ্বনাথ মন্দির এর করিদর স্থাপন করেছেন। মুসলমানদের মধ্যে তিন তালাকের যে প্রথা ছিল, সেই প্রথা তিনি উঠিয়ে দিয়েছেন। সম্প্রতি মোদিজি হিন্দু কন্যাদের বিবাহের সময়সীমা বাড়িয়ে দিয়েছেন।