আজও লুকিয়ে রয়েছে রবিনহুড-র রহস্য ! জানুন কোথায় আছে ৯ মাইল লম্বা গুহার শেষে সেই দুর্গ

বিশ্বের বৃহত্তম গুহা দুর্গ (cave castle) হিসেবে ইতিমধ্যেই গিনেস বুক অফ ওয়ার্ল্ডে নামও উঠে গিয়েছে প্রাচীন এই স্থাপত্য শৈলীর, যা প্রায় ৯ মাইল লম্বা। সমুদ্রের তীরে খাঁড়াই বাঁধের ধার ঘেঁষে উঠে যাওয়া এই পাহাড়ের গুহাতেই রয়েছে এই রহস্যময় দুর্গ। ধারণা করা হচ্ছে, প্রায় ৮০০ বছরের পুরনো স্লোভানিয়ার (slovenia) এই প্রেডজামা গিরিদুর্গের সঙ্গে জড়িয়ে আছে রবিনহুডে রহস্যময় কাহিনী। জানিয়ে রাখি, ১২০২-তে তৈরি হওয়া এই গুহা-দুর্গর মুখের উচ্চতা অন্তত ৪০০ ফুট।

ঐতিহাতিকদের দাবী, ইউরোপে যখন রেনেসাঁ যুগ চলছিল, তখনই গুহার মধ্যে ওই দুর্গ যখন গড়ে তোলা হয়েছিল। ইটালির শিল্পীরা সেইসময় বিজ্ঞানচর্চা, চিত্রকলা, ভাস্কর্য থেকে স্থাপত্যর মধ্য দিয়ে গোটা বিশ্বকে পথ দেখাচ্ছি। শোনা যায়, অস্ট্রিয়ার হ্যাবসবার্গ রাজবংশের সেনাপতি কাউন্ট পাপেনহেউমের সঙ্গে ডুয়েলে হেরে খ্রীষ্টীয় পঞ্চদশ শতাব্দীতে এরাজেম লেউগার নামে এক নাইট যোদ্ধা দুর্গের সংস্কার করেন। তারপরই তিনি সেখানকার ‘রবিনহুড’ (Robin Hood) নামে পরিচিত হন।

img 20221120 123619

সেইসময় তাঁর কাজ ছিল, সেখানকার স্থানীয় অভিজাত জমিদারদের থেকে অর্থ, সম্পদ লুঠ করে তা গরীব-দুঃখীর মধ্যে বিলিয়ে দেওয়া। পরবর্তীকালে অস্ট্রিয়ার যুদ্ধ শুরু হলে, অস্ট্রিয়ার সেনারা ১৪৮৪-তে এই দুর্গ দখল করার চেষ্টা করলে, তিনি রুখে দাঁড়ায়।

এরাজেম লেউগারের হঠাৎ করে রবিনহুড হয়ে ওঠাটা কিছুতেই মেনে নিতে পারছিলেন না তাঁর এক পরিচারক। পরবর্তীতে অস্ট্রিয়ার সেনাপতিরা তাঁর এক পরিচারককে অর্থ দিয়ে কিনে নেওয়ায় গুহা দুর্গে ঢোকার গোপন রাস্তা খুলে দিয়েছিলেন তিনি। দুর্গে স্রোতের মতো অস্ট্রিয়ার বাহিনীকে তাঁর গুহায় ঢুকতে দেখে দোতলার শৌচাগারে আশ্র্য নিয়েও শেষরক্ষা হয়নি এরাজেম লেউগারের। সেখান থেকে তাঁকে টেনে বের করে হত্যা করা হয়েছিল।