MBA এর ডিগ্রি ছেড়ে দুই যুবক শুরু করেছিল আচারের ব্যাবসা, আজ ৩০ জন মহিলাকে সাথে নিয়ে করছেন লাখ টাকার বিজনেস

এক দশক ধরে দেশে বেকারত্বের হার বেড়েছে, বিশেষ করে করোনা পরবর্তী সময়ে বেকারত্ব লাগাম ছেড়েছে। এই পরিস্থিতিতে শিক্ষিতরা খুঁজে নিচ্ছে বিকল্প পথ, অনেকে নিযুক্ত হয়েছে চাষাবাদে, অনেকে যুক্ত হয়েছেন ব্যাবসায়। আজ আপনাদের এমনই দুই শিক্ষিত যুবকের কথা বলব যারা পড়াশোনাতে খুব ভালো হওয়া সত্ত্বেও ব্যবসাকে তাদের পেশা হিসেবে বেছে নিয়েছেন।

Mango Pickle

দুই বন্ধু কিভাবে  এই ব্যবসাটি শুরু করলেন?

আজ আপনাদের বলতে যাচ্ছি কেরালার কোচি শহরের বাসিন্দা হাফিজ রহমান(Hafiz Rahaman) এবং অক্ষয় রবীন্দ্রন(Aksay Rabindran)-এর কথা। দুজনে একসাথে এমবিএ(MBA) পড়াশোনা করেছেন এবং সম্পর্কে তাঁরা বন্ধু। পড়াশোনা শেষ করে তারা চাকরির শুরু করেছিলেন। পরে তাঁরা ভাবেন স্টার্টআপ শুরু করবেন এবং ভাবনানুযায়ী চাকরি ছেড়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন এবং আচারের ব্যবসা শুরু করেন। এজন্য তারা অনেক পড়াশোনা করেন। শেষমেষ দুই বন্ধু মিলে আচারের ব্যাবসায় নামেন। দুই বন্ধুর মধ্যে হাফিজ রহমান সংবাদ মাধ্যমকে জানিয়েছেন, করোনা মহামারীর পরবর্তী সময়ে বেকারত্বের হার দেখে তাঁর এই ভাবনা আসে এবং এটি নিয়ে তিনি তাঁর বন্ধুর সাথে কথা বলেন। তিনি আরো জানান যে, তাঁরা এমন একটি ব্যবসা করতে চেয়েছিলেন, যেখানে অনেক মহিলাদের কাজের ব্যবস্থা করে দিতে পারেন।

রয়েছে বিভিন্ন ভেরিয়েশনের আচার, যার দামও সাধ্যের মধ্যে

তাঁরা বর্তমানে পাঁচ ধরনের আচার তৈরি করেন। যেখানে চিংড়ি ও পেঁপের আচার থেকে শুরু করে রয়েছে আঙুর ও আমের মিশ্রণে আচার, লেবু ও খেজুরের মিশ্রণে আচার, মাছ ও আমের আচার। এই আচারের নাম শুনেই জিভে জল আসার মতো। তবে মনে প্রশ্ন জাগে এত সুস্বাদু আচারের দাম কত হতে পারে? তাহলে চলুন আপনাদের দাম নিয়ে ওটা প্রশ্নের উত্তর দেওয়া যাক। একটি ২৫০ গ্রাম আচারের বয়ামের দাম সর্বনিন্ম ১৭৯ টাকা থেকে সর্বোচ্চ ২৪৯ টাকা পর্যন্ত হয়। তাঁরা জানিয়েছেন, এই সমস্ত আচার পুষ্টি বিশেষজ্ঞদের পরামর্শে বানানো হয়েছে এবং পরবর্তীতে তাঁরা আচারের আরো ভেরিয়েশন আনতে চলেছে। এই ব্যবসা করে তাঁরা আজ সফল ব্যাবসায়ী এবং একটি মোটা অংকের টাকা তাঁরা এই ব্যবসা থেকে উপার্জন করেন।

Pickle

বহু মহিলার কর্মসংস্থান করেছেন দুই বন্ধু

বিশেষ বিষয় হলো এই ব্যাবসাটিতে ৩০টির ও বেশি মহিলার কর্মরত রয়েছেন। বহু মহিলার কর্মসংস্থানের ব্যাবস্থা করে দেওয়াই হাফিজের মা আলিসা আশরাফ মিডিয়ার সামনে খুবই আনন্দ প্রকাশ করেছেন।