ঈশানের পিতৃ পরিচয় ফাঁস হতেই সোশ্যাল মিডিয়া জুড়ে ট্রেন্ডিং বয়কট যশ

বর্তমানে টলিউডের সবথেকে চর্চার বিষয় হল সাংসদ অভিনেত্রী নুসরাতের সন্তানের পিতা কে! অবশেষে সকল বির্তকের অবসান ঘটিয়ে সামনে কলকাতা পুরসভার তরফ থেকে সামনে এসেছে নুসরাতের সন্তানের পিতৃপরিচয়। নুসরতের সন্তানের পিতা যে যশ একথা কলকাতা পৌরসভার ওয়েবসাইটে ইতিমধ্যেই নথিবন্ধ করা আছে। অতএব এত দিন ধরে নুসরাতের সন্তানের পিতা কে এই নিয়ে যে তুমুল চর্চা আলোচনা চলছিল তার অবসান ঘটল এতদিনে। তবে এ কথা জানাজানি হওয়ার পর যশ এবং নুসরতের ফ্যানেরা কার্যত অসন্তুষ্ট হয়েছে। তারা কিছুতেই যশকে নুসরতের সন্তানের পিতা হিসেবে মানতে চাইছে না। টেলিভিশনের হাত ধরে যশের প্রথম আত্মপ্রকাশ হয়েছিল ।”বোঝেনা সে বোঝেনা “সিরিয়াল তুমুল জনপ্রিয় হয়েছিল। তার সাথে সাথে জনপ্রিয় হয়েছিল যশ মধুমিতার জুটিও । বহুদিন হলো ধারাবাহিক শেষ হয়ে গেছে তবুও যেন এই জুটিকে নিয়ে উন্মাদনা এখনো অক্ষুন্ন আছে ।বর্তমান পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়ে যশ মধুমিতার ফ্যানেরা এখনো নুসরাতের সাথে তার সম্পর্কের কথা কিছুতেই মানতে চাইছে না । যশরত কে নিয়ে যখন একের পর এক বিতর্ক চলছে তখনো ফ্যানরা আপত্তি তুলেছে।

নুসরাত এবং যশের সম্পর্ক নিয়ে বরাবরই বিরক্ত ছিল ফ্যানেরা। তবে অবশেষে পিতৃপরিচয় তথ্য ফাঁস হবার পর তাদের ধৈর্যের বাঁধ ভাঙ্গে। কলকাতা পুরসভা ওয়েবসাইটে নুসরাতের সন্তানের পিতা হিসাবে যশের নাম দেখে কার্যত তেলেবেগুনে জ্বলে ওঠে ফ্যানেরা । বৃহষ্পতিবার যশমিতার একটি ফ্যান পেজ থেকে বয়কট করা হয় যশকে। সোশ্যাল মিডিয়ায় যশের একটি ছবির উপর ‘ব্যানড’ কথাটি লিখে তাঁকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয় সোশ্যাল মিডিয়ায়।

শুধু সোশ্যাল মিডিয়ায় তার ছবিতে ‘ব্যানড’ লেখাতেই থেমে থাকেনি ফ্যানেরা । ছবির নিচে হ্যাশট্যাগ এ বড় বড় করে লেখা হয় “আমরা যশ দাশগুপ্ত কে আর চাইনা”।ওই ফ্যান পেজ থেকে যশের সমস্ত অনুগামী কে তার বিরুদ্ধে দাঁড়াবার জন্য আহ্বান জানানো হয়। এতদিন পর্যন্ত যখন যশ – নুসরতের সম্পর্ক চর্চার বিষয় ছিল তখন থেকেই বিরক্ত ছিল ফ্যানেরা। অবশেষে পিতৃ পরিচয় হবার পর রীতিমতো তেলে-বেগুনে জ্বলে উঠেছে সমস্ত দর্শককুল ।

অবশেষে সমস্ত অনুগামীরা তাকে বয়কট করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। বর্তমান পরিস্থিতিতে সোশ্যাল মিডিয়া থেকে আরম্ভ করে ইনস্টাগ্রামের হ্যান্ডেল পোস্টে সর্বত্রই যশ কে বয়কট করার ট্রেন্ড চলছে। সমস্ত অনুগামীরা এখন তার বিরুদ্ধে। কিন্তু এত বির্তক এর মধ্যেও মুখে কুলুপ এঁটেছেন অভিনেতা। যতবারই বিতর্ক উঠে এসেছে ততবারই নুসরাত বলেছেন “বাবাকে তা বাবাই জানে”।গর্ভাবস্থা থেকে শুরু করে , নার্সিং হোমে ভর্তি এবং অবশেষে সদ্যোজাতকে নিয়ে বাড়ি ফেরা সবসময়ই নুসরাতের পাশে ছিলেন যশ। অবশেষে আইনগতভাবেও যশ কে সন্তানের পিতৃপরিচয় স্বীকৃতি দেওয়া হয়। ফলে বেজায় চটেছেন অনুরাগীরা।