চোখের পলক ফেলতে না ফেলতেই হয়ে যাচ্ছে ট্র্যাক পরিবর্তন, জানুন কীভাবে
বিশ্বের চতুর্থ বৃহত্তম রেল নেটওয়ার্ক বলা হয় ভারতের রেল ব্যবস্থাকে (indian railway)। এখানে প্রতি সেকেন্ডে কয়েক শো ট্রেন (train) ট্র্যাক (track) দিয়ে চলাচল করে। আর এই রেল ব্যবস্থাকে যাত্রাপথের অপেক্ষাকৃত সহজ এবং সস্তা মাধ্যম বলে মনে করা হয়। সেই কারণে লক্ষ লক্ষ মানুষ নিজেদের রোজকার সফর হোক কিংবা ভ্রমণকালে এই রেলপথকেই বেছে নেন।
এই রেলে সফরকালে আপনি নিশ্চয়ই দেখেছেন যে রেল ট্র্যাকের উপর দিয়ে রেল চলাচল করতে। তবে অনেক সময় দেখা যায়, এক পথ থেকে অন্য পথে যাওয়ার জন্য চলন্ত অবস্থাতেই রেল ট্র্যাক বদল করে ট্রেন। আর এই দৃশ্য দেখলে অনেকেই ভয় পান। কিন্তু ট্রেন খুব সহজেই তাঁর এই যাত্রাপথের ট্র্যাক পরিবর্তন করতে পারে। জেনে নিন কিভাবে?
ট্রেনের (train) এই ট্র্যাক পরিবর্তনের বিষয়ে জানতে গেলে প্রথমে জানতে হবে কিভাবে ট্র্যাকের (track) উপর দিয়ে ট্রেন চলাচল করে। ট্রেন ভিতর থেকে ট্র্যাক ধরে রেখে চলে, অর্থাৎ ট্রেনের টায়ার ট্র্যাকের উপর সেট করা থাকে। টায়ারের ভিতরের অংশটি বড়, যা ট্র্যাককে শক্তভাবে রাখতে সাহায্য করে। এ কারণে ট্রেনের ট্র্যাক যেভাবে থাকে, সেভাবেই ট্রেন এগিয়ে যায়। এইভাবে চলার পথে ট্রেনের আকৃতি যদি সোজা হয়, তাহলে ট্রেনটিও সোজা ভাবেই চলে।
তবে সোজাভাবে চলতে চলতে এমন রাস্তা আসে, যেখানে ট্র্যাক পরিবর্তনের প্রয়োজন হয়। সেখানে এই ট্র্যাক দেখতে কিছুটা পৃথক রকমের হয়ে থাকে। ট্র্যাকের মাঝখানে একটি স্পাইকড রেল অর্থাৎ একটি লোহার রেল রয়েছে। এটি আসন্ন ট্রেনের দিকনির্দেশ দেয়। এটি কিছুটা বাঁকা থাকে, এই কারণে ট্রেনটিকে এখানে কিছুটা ঘোরাতে হবে বা অন্য ট্র্যাকে স্থানান্তর করতে হবে। এখানে একটি তালা চাবির মতো একটি ট্র্যাক রয়েছে, যা পাশের সাথে লাগানো থাকে এবং এটি ট্র্যাকের দিক পরিবর্তন করে এবং ট্রেনটি অন্য দিকে মোড় নেয়। এটি একটি উপায়ে সামঞ্জস্যযোগ্য ট্র্যাক, এটি ট্রেনকে দিকনির্দেশ দিতে কাজ করে।
ট্র্যাক (track) পরিবর্তন করার জন্য, ট্র্যাকে একটি সামঞ্জস্যযোগ্য ট্র্যাক আছে। তবে ট্রেনের রুট অনুযায়ী এটি পরিবর্তন করতে হবে। আগে এই কাজটি রেলের কর্মচারী করতেন এবং তিনি দিনভর এটি ম্যানুয়ালি পরিবর্তন করতেন। বর্তমান সময়ে এটি মেশিন দ্বারা করা হয়। সিগন্যাল ও রুট অনুযায়ী যন্ত্র তা সামঞ্জস্য করে এবং সে অনুযায়ী ট্রেন (train) দিকনির্দেশ পায় এবং ঘুরে যায়।