বলিউড ইন্ডাস্ট্রির এই গোপন কেচ্ছা গুলি জেনে আপনারাও উড়ে যাবে রাতের ঘুম
বলিউডের গ্ল্যামারাস ওয়ার্ল্ড এর ভিতরকার হাঁড়ির খবর জানতে ভক্তরা সবসময়েই কৌতূহলী থাকেন। তবে বলিউডের এই ঝাঁ-চকচকে ফিল্মি দুনিয়ার ভিতরমহলে এমন অনেক গোপন রহস্য লুকিয়ে আছে যা সচরাচর প্রকাশ্যে আসেনা। কিন্তু তা সত্ত্বেও অনেক সময় মিডিয়ামারফত বা অন্যকোনো ভাবে সেই গোপনীয়তা থেকে এমন কিছু চাঞ্চল্যকর তথ্য বেরিয়ে আসে যা অবাক করার জন্য যথেষ্ট। আজ সেরকমই কিছু গোপন তথ্য আপনাদের কে জানাবো যা বলিউডের টপ সিক্রেট হিসাবে বিবেচিত হয়ে থাকে।
১. জনপ্রিয় বলিউড অভিনেতা সঞ্জয় দত্তের (Sanjay Dutta) মাদক আসক্তির কথা কম বেশি সবাই জানেন। অনেক কম বয়সেই নেশার জগতে ঢুকে পড়েছিলেন তিনি। তবে প্রথমপক্ষের স্ত্রী রিচা শর্মা ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়ার পর, সঞ্জয় দত্ত আরও বেশী মাদক আসক্ত হয়ে পড়েছিলেন। আর ঠিক সেসময় অভিনেত্রী মাধুরী দীক্ষিতের সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক নিয়েও বেশ আলোচনা চলছিলো। মাধুরী দীক্ষিতই তাঁকে মাদক আসক্তি কাটিয়ে উঠতে সাহায্য করেছিলেন।
২. বলিউড অভিনেত্রী প্রিয়াঙ্কা চোপড়া (Priyanka Chopra) একসময় তাঁর সহ-অভিনেতা হারমান বাওয়েজার সঙ্গে ডেট করেছিলেন। জানা জায় একটি চলচ্চিত্র শুটিং চলাকালীন তাঁদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠেছিল। কিন্তু বেশি দিন স্থায়ী হয়নি তাঁদের সেই সম্পর্ক। কারণ বলা হয়েছিল সম্পর্কে থাকাকালীন অভিনেত্রীর সঙ্গে প্রতারণা করেছিলেন হারমান বাওয়েজা। প্রিয়াঙ্কা চোপড়া হরমন বাওয়েজাকে হাতেনাতে ধরেছিলেন। তারপর থেকেই তাঁদের সম্পর্ক নষ্ট হয়ে গিয়েছিল।
৩. বলিউড ইন্ডাস্ট্রির একজন জনপ্রিয় প্রবীণ অভিনেতা ছিলেন সঞ্জয় খান(Sanjay Khan). শোনা যায় তিনি তাঁর দ্বিতীয় স্ত্রী জিনাত আমানের উপরে শারীরিক ও মানসিকভাবে নির্যাতন চালাতেন। এমনকি একবার একটি ফিল্মের পার্টি চলাকালীন ঘর ভর্তি লোকের সামনেই জিনাতকে মেরেছিলেন সঞ্জয় খান। সঙ্গে যোগ দিয়েছিলেন তাঁর বর্তমান স্ত্রী জারিন কাত্রাকও। সঞ্জয় এবং জারিনের ব্যাক্তিগত ক্ষোভের কারনেই মার খেতে হয়েছিল জিনাত আমানকে। এই ঘটনার পরে বহুদিন হাসপাতালে কাটাতে হয় জিনাতকে এবং চোখে গুরুতর আঘাত পেয়েছিলেন অভিনেত্রী।
৪. বলিউডের অন্যতম চলচ্চিত্র নির্মাতা মহেশ ভাট এবং প্রয়াত অভিনেত্রী পারভীন বাবির মধ্যেকার সম্পর্কের কথা একসময় পুরো ইন্ডাস্ট্রি জানত। মহেশ ভাট সেসময় বিবাহিত ছিলেন এবং পারভীনের সাথে লিভ-ইন সম্পর্কে থাকতেন। কিন্তু তাঁদের প্রেম বেশিদিন টেকেনি। জানা যায় মহেশ ভাট একদিন তাঁর বান্ধবী পারভীনের সাথে দেখা করতে তাঁদের বাড়িতে গিয়েছিলেন। ঘরে ঢুকতেই তিনি পারভীনকে ফিল্মের পোশাক পরিহিত অবস্থায় হাতে একটি ছুরি নিয়ে বসে থাকতে দেখেন। এরপর কিছু বুঝে ওঠার আগেই হঠাৎ করে পারভীন, মহেশ কে আক্রমন করতে এগিয়ে আসেন। সেদিন কোনোরকমে মহেশ ভাট সেখান থেকে পালিয়ে এসেছিলেন এবং পরে পারভীন বাবির সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করে ছিলেন।
