বলিউডে কাজ পেতে মহিলাদের পাশাপাশি পুরুষদেরও মেটাতে হয় পরিচালকের যৌন চাহিদা! তবেই মেলে সফলতা, তবেই মেলে কাজ

গ্ল্যামার ওয়ার্ল্ড মানেই তাতে আছে অন্ধকারের হাতছানি।এই অন্ধকারের গভীরতা বাইরে থেকে মাপা যায় না। বলিউডের গ্ল্যামারে তা লাইমলাইটের আড়ালেই চাপা পড়ে যায়। আগেই সম্পর্কে মুখ খুলতে ভয় পেতেন তারকারা। তবে এখন অত্যাচারের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে দ্বিধা করেন না বলিউড সেলিব্রিটিরা। স্যাক্রিফাইস আর কম্প্রোমাইজ নাকি বলিউডে প্রতিষ্ঠা পাওয়ার চাবিকাঠি। বলিউডের একাধিক প্রথম সারির অভিনেতা এবং অভিনেত্রী বলিউডে কাস্টিং কাউচ নিয়ে নিজেদের ভয়ঙ্কর অভিজ্ঞতা সর্বসমক্ষে তুলে ধরেছেন। চলুন দেখে নেওয়া যাক কি অভিযোগ এনেছেন ওনারা :-

১) নার্গিস ফাকরি –

বলিউডের এই সুন্দরী জানিয়েছেন কাজ পাওয়ার জন্য পরিচালকদের যৌনচাহিদা মেটাতে তিনি রাজি হননি বলে বলিউডের বহু প্রজেক্ট তাঁর হাতছাড়া হয়েছে বলে দাবি করেছিলেন এই অভিনেত্রী। যে কারণে তিনি একবার মানসিকভাবে ভেঙ্গে পড়েছিলেন। তবুও তিনি নিজের নীতিবোধ বিসর্জন দেননি।

২) অঙ্কিতা লোখান্ডে –

তিনি বলিউডের পরিচিত মুখ নন ঠিকই, তবে টেলিভিশনের পর্দার অত্যন্ত পরিচিত মুখ। তিনি ছবিতে অভিনয়ের জন্য ডাক পেয়েছিলেন দক্ষিণ ভারতীয় সিনেমা ইন্ডাস্ট্রি থেকে। তবে কাজ পাওয়ার জন্য তাকে পরিচালকের সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপনের কথা বলা হয়েছিল। শোনা মাত্র তিনি তা নাকচ করে দিয়ে ফিরে এসেছিলেন।

৩) রাধিকা আপ্তে –

রাধিকা ও একসময় কাস্টিং কাউচ এর মুখে পড়েছিলেন। ছবিতে রোল পাওয়ার জন্য তাকে ও পরিচালক কে খুশি করার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল।তবে এ রাধিকা সেই প্রস্তাব মানেননি।নিজের প্রতিভার ওপর তার আস্থা ছিল।

৪) কল্কি কোয়েচলিন –

বলিউডের এই অভিনেত্রী ও কাস্টিং কাউচ এর বিরুদ্ধে মুখ খুলে রীতিমতো শোরগোল ফেলে দিয়েছিলেন। জানিয়েছিলেন কিভাবে তাকে কু প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল এবং তিনি তার নিজের বুদ্ধির জেরে সেই পরিস্থিতি থেকে বেরিয়ে এসেছিলেন। পরে নিজের দক্ষতায় নিজেকে বলিউডে প্রতিষ্ঠিত করতে পেরেছিলেন কল্কি।

৫) আয়ুষ্মান খুরানা-

হ্যাঁ এই তালিকায় অভিনেতাদের নাম ও রয়েছে। কাজ দেওয়ার পরিবর্তে পরিচালকের সঙ্গে একই বিছানায় যাওয়ার কু প্রস্তাব ও পেয়েছেন আয়ুষ্মান। অভিনেতা জানিয়েছিলেন,’ আমি টিভি আঙকর ছিলাম। বলিউডের এক কাস্টিং ডিরেক্টর তার সঙ্গে যৌন মিলনে লিপ্ত হতে বলেন।আমি স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছিলাম, আমি যদি গে হতাম তাহলে ও হয়তো ভেবে দেখতাম,কিন্তু আমি স্ট্রেইট। ফলে আমার পক্ষে রোল পাওয়ার জন্য তার সঙ্গে বিছানায় যাওয়া সম্ভব নয় ‘।

৬) রণবীর সিং-

বলিউডে ক্যারিয়ার গড়ে তোলার প্রথম দিন গুলো রণবীরের পক্ষে খুব একটা সহজ ছিল না। তবে তাকেও কাস্টিং কাউচ এর শিকার হতে হয়েছিল। তবে রণবীর জানিয়েছিলেন, একজন অভিনেতা কিভাবে এমন পরিস্থিতি সামাল দেবেন তার ওপরে নির্ভর করে অনেক কিছু।