Samosa Interesting Facts: সিঙ্গারার ইতিহাস খুবই মজার, আপনি কী জানেন কোথা থেকে হয়েছিল এর উৎপত্তি ?
সন্ধ্যেবেলা সুন্দর করে মুড়ি মাখা আর চা, বাঙালি কেন, অনেকেরই প্রিয় টিফিনের মধ্যে একটি। আর এর সঙ্গে যদি থাকে একটা করে সিঙ্গারা (samosa), তাহলে সন্ধ্যের টিফিন তো পুরো জমে যায়। বিশেষত শীতের সন্ধ্যেয় গোল করে সকলে মিলে মুড়ি, গরম গরম সিঙ্গারা খেতে খেতে আড্ডা দেওয়ার জুড়ি মেলাভার। ভেতরে আলুর পুর থেকে শীতকালে ফুলকপির সিঙ্গারা, সবকিছুই যেন তেলেভাজা প্রেমী মানুষের কাছে অমৃত সমান।
তিনকোণা আকৃতির এই খাবারের ভেতরে থাকে আলু, মটর, আবার অনেক সময় পনিরের পুর। আবার শীতকালে এই সিঙ্গারার মধ্যেই দেওয়া হয় ফুলকপির পুর। অনেক সময় এটাও দেখবেন, মিষ্টির দোকানে মিষ্টি পুর দিয়ে মিষ্টি সিঙ্গারাও বিক্রি হয়। তবে এই মিষ্টি সিঙ্গারার থেকে ঝাল সিঙ্গারাটাই তেলেভাজা প্রেমী মানুষদের কাছের বেশি জনপ্রিয়।
তবে জানেন কি আপনার প্রিয় এই সিঙ্গারা (samosa), ভারতের খাবার নয়। শুনতে অবাক লাগলেও, এটাই বাস্তব সত্য। ইরানে এই খাবারটিকে ‘সমোসা’ বলা হত। আর মিশর, লিবিয়া, এশিয়ায় বলা হত সানবুসাক, সানবুসাক এবং সানবুসাজ।।
শোনা যায়, তেরোশো শতাব্দীতে সমোসাগুলি শুধুমাত্র রাজপরিবার এবং আরব ও মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলির উচ্চ শ্রেণীর জন্য সংরক্ষিত ছিল। এই খাবারটি বিশেষ অনুষ্ঠানে প্রস্তুত করা হয়েছিল এবং রাজপরিবারের উত্তরাধিকার হিসেবে বিবেচিত হত। আলু, মটর, পনিরের তৈরি এই সিঙ্গারাতে প্রথমে দেওয়া হত মাংস, বাদাম, পেস্তা, মশলা এবং ওষুধের পুর। তারপর সেটিকে ডিপ ফ্রাই করে চাটনির সঙ্গে পরিবশেন করা হত।
ধারণা করা হয়, এই সিঙ্গারার (samosa) আকৃতি পিরামিডের মত হওয়ায় এর নামকরণ করা হয়েছে ‘সমোসা’। তবে এটা অনেকেই জানেন না, প্রতি বছর ৫ ই সেপ্টেম্বের শিক্ষক দিবসের পাশাপাশি বিশ্ব সিঙ্গারা দিবস হিসাবেও পালন করা হয়।