World Record: মানুষ নাকি এলিয়েন! রেকর্ড তৈরির চক্করে করেছেন নিজের এমন অবস্থা

একবার বডি মডিফিকেশন করিয়েছেন এই জার্মানের ব্যক্তি যে গিনিস বুক অফ ওয়ার্ল্ড রেকর্ডে নাম রয়েছে তার

আজকাল প্রায় শোনা ও দেখা যায় যে মানুষ নিজেকে সুন্দর করে তোলার জন্য বিভিন্ন ধরণের প্লাস্টিক সার্জারি করিয়ে থাকে। এমনকি নিজেকে সুন্দর করে তোলার জন্য মানুষ নিজের বডি বা শরীরেও অনেক প্রকারের সার্জারি করায় মানুষ। আর এই সার্জারির পিছনে খরচ হয় লাখ লাখ টাকা। আমরা প্রায় শুনতে পারি যে বিভিন্ন বলিউড/হলিউড বা বিভিন্ন নামী-দামি লোকেরা এইসব সার্জারি করিয়ে থাকে।

কিন্তু আপনি কি কখনো শুনেছেন কারুর লাখ লাখ টাকা খরচ করেছে কুৎসিত হওয়ার জন্য ? কি অবাক হলেন? বিশ্বাস হচ্ছে না? কিন্তু এমনটা সত্যি ঘটেছে। জার্মানির রল্ফ বুকোজ নামক এক ব্যক্তি যিনি সর্বাধিক পরিমানে বডি মডিফিকেশন গিনিস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডে নিজের নাম দাখিল করিয়ে নিয়েছেন। এই বডি মডিফিকেশনের মধ্যে ট্যাটু বানানো, শরীরে ছেদ করা বা অন্যান্য শারীরিক বদলের কাজ যুক্ত রয়েছে। আসুন এই আর্টিকেলের মাধ্যমে রল্ফ বুকোজের বিষয় ও তার শরীরে তিনি কী কী মডিফিকেশন করিয়েছেন সেই বিষয় বিস্তারিত জেনেনি।

গিনিস ওয়ার্ল্ড রেকর্ড অনুযায়ী রল্ফ বুকোজ এখনো পর্যন্ত তার শরীরে মোট ৫১৬ টি বডি মডিফিকেশন করিয়েছেন। রিপোর্ট থেকে জানা গেছে যে বডি মডিফিকেশন করা রল্ফ বুকোজের শখ ও তিনি আগামী দিনে আরো অনেক বডি মডিফিকেশন করবেন বলে জানিয়েছেন। এছাড়া জানিয়ে দি যে পেশা হিসেবে রল্ফ বুকোজ জার্মানির একটি টেকনোলজি কোম্পানিতে ইনফরমেশন টেকনোলজির ফিল্ডে কাজ করেন। জানিয়ে দি যে ৪০ বছর বয়সে রল্ফ বুকোজের বডি মডিফিকেশন করানোর   ইচ্ছা জেগেছিল এবং ইচ্ছা সময়ের সাথে প্যাশনে বদলে যায়। আর ৪০ বছর বয়সেই রল্ফ বুকোজ তার প্রথম ট্যাটু ও ছেদন করিয়েছিলেন। এখন রল্ফ বুকোজের বয়স ৬০ বছর। এই ২০ বছরে রল্ফ বুকোজ নিজের শরীরের প্রচুর সার্জারি, ছেদন ও ট্যাটু করিয়ে শরীরে পরিবর্তন ঘটিয়েছেন। ইনি নিজের ভুরু, নাক, ঠোঁট-এ ছেদ করিয়েছেন এবং মাথায় সিংয়ের মতো ছেদ করেছেন।

রল্ফ বুকোজ জানিয়েছেন যে বাইরে থেকে হয়তো তার চেহারা বদলে গেছে, কিন্তু ভেতর থেকে সে এখনো আগের মতোই আছে। তার শরীরের ৫১০টি পরিবর্তনের মধ্যে ৪৫৩টি ছিদ্র, উল্কি এবং বাকি কিছু অন্যান্য পরিবর্তন অন্তর্ভুক্ত। এত কিছু করার পর রল্ফকে একজন সাধারণ মানুষ থেকে আলাদা দেখাতে শুরু করেছে। এই কারণে, একটি ঘটনা ঘটে যে একবার তাকে দুবাই বিমানবন্দর থেকে বের হতে দেওয়া হয়নি এবং ভিতরে আটকানো হয়েছিল। রলফ সেখানে গিয়েছিলেন মানুষের মধ্যে একটি অনুষ্ঠানে, কিন্তু রলফ তার অনুমতি পেতে পারেননি। সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করেছেন গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস।