বলিউডের এই তারকাদের নিরাপত্তার পেছনে খরচ হচ্ছে কোটি কোটি টাকা, দেখুন তালিকা

একদিকে সুপরিচিত চলচ্চিত্র ব্যক্তিরা যেমন ভক্তদের ভালোবাসা পান অন্যদিকে তেমনি তাদের নিরাপত্তা নিয়ে হয়রানি বোধ করেন। যেখানে দেখা যাচ্ছে কোটি কোটি টাকা খরচ করে নিজেদের নিরাপত্তার নিশ্চিত করেছেন এই চলচ্চিত্র তারকারা। অনেক তারকার ব্যক্তিগত দেহরক্ষী থাকলেও বেশ কয়েকজনকে পুলিশ সুরক্ষা দেয়া হয়েছে। কখনো কখনো এই সেলিব্রেটিদের ভিড় কাটাতে সুরক্ষার প্রয়োজন হয়ে পড়ে আবার কখনো বা বিতর্ক সম্পর্কিত সতর্কতার কারনে।

হ্যাঁ অমিতাভ বচ্চন থেকে শুরু করে আমির খান, শাহরুখ খান এবং কঙ্গনা রানাউতের মতো সেলিব্রেটিদের নিরাপত্তা ব্যাবস্থা আছে। অন্যদিকে, আম্বানি পরিবারকে বিশেষ নিরাপত্তা জেড প্লাস (Z+) দেওয়া হয়েছে। এই নিরাপত্তা দেশের মাত্র গুটি কয়েক ব্যাক্তিকে দেওয়া হয়েছে। চলুন জানা যাক কোন কোন তারকা এই নিরাপত্তা পেয়েছেন।

1. অমিতাভ বচ্চন.

এই বিখ্যাত বিগ বি মুম্বাই পুলিশের কাছ থেকে বিশেষ নিরাপত্তা পেয়েছেন। সম্প্রতি, মহারাষ্ট্রের কংগ্রেস সভাপতি নানা পাটলে কিছু দিন আগে এই অভিনেতাকে হুমকি দিয়েছিলেন। এরপর থেকে মুম্বাই পুলিশ এই অভিনেতার বিশেষ সুরক্ষার ব্যবস্থা করেছেন। তারপর থেকেই অমিতাভ বচ্চন নিরাপত্তারার আড়ালে হাঁটছেন।

2. কঙ্গনা রানাউত. 
লড়াকু অভিনেত্রী কঙ্গনা রানাউত কেন্দ্রীয় সরকারের কাছ থেকে বিশেষ নিরাপত্তা অর্থাৎ ওয়াই প্লাস (Y+) ক্যাটাগরির নিরাপত্তা পেয়েছেন। বলিউড জগতের কঙ্গনা হলেন প্রথম অভিনেত্রী যিনি এই বিশেষ সুরক্ষা পেয়েছেন। যেখানে তার 24 ঘন্টা নিরাপত্তার জন্য বিভিন্ন শিফটে প্রায় 10 থেকে 12 জন CRPF নিযুক্ত আছে।

3. শাহরুখ খান. 
অভিনেতা শাহরুখ খান তার করা বেশ কয়েকটি মন্তব্য বিতর্কে জড়িয়ে পড়েন। যেখানে শাহরুখ খানকে “মাই নেম ইজ খান” ছবিটি মুক্তির সময় হুমকির মুখে পড়তে হয়েছিল নেটিজেনদের কাছে। এরপর থেকে তার জন্য বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা করা হয়।

4. আমির খান. 
অভিনেতা আমির খানকে 2001 সালে আন্ডারওয়ার্ল্ড ডন দ্বারা একটি মুক্তিপণ দাবি করা হয়েছিল। তারপর থেকেই এই অভিনেতাকে মুম্বাই পুলিশ বিশেষ নিরাপত্তার দিয়ে রক্ষা করতে শুরু করে।

5. আম্বানি পরিবার. 
2013 সালে মুকেশ আম্বানিকে মুজাহিদিন গোষ্ঠী থেকে হুমকি দেওয়া হয়েছিল। সেই হুমকির পর থেকেই তার পরিবারকে বিশেষ নিরাপত্তা অর্থাৎ জেড প্লাস (Z+) সুরক্ষার ব্যবস্থা করা হয়েছিল। এই বিশেষ নিরাপত্তা দেশের মাত্র গুটিকয়েক (17 জন) ব্যাক্তি পেয়ে থাকে। মুকেশ আম্বানি, নীতা আম্বানি বা পরিবারের অন্য কোনো সদস্য বাইরে বেরোলে নিরাপত্তাকারীরা নিযুক্ত থাকেন।