মিশরের পিরামিডের এই ৫ টি রহস্য! যা আজও মানুষের কাছে অজানা
মিশরের পিরামিডের ৫ রহস্য, খননকার্য থেকে শুরু করে মমি, পাথর মূর্তি পর্যন্ত জানুন অজানা তথ্য
মিশর পৃথিবীর প্রাচীন দেশ গুলির মধ্যে একটি। এখানকার প্রাচীন সভ্যতা ও শিলালিপি মানুষকে অবাক করার মত। আপনারা নিশ্চয়ই মিশরের পিরামিডের (Pyramids of Egypt) কথা অনেক শুনেছেন। এটিকে ‘দ্যা গ্রেট পিরামিড অফ গির্জা’ বলা হয়। এগুলো পৃথিবীর সপ্ত-আশ্চর্যের মধ্যে একটি। বিশ্বাস করা হয় এগুলি ৪ হাজার বছরেরও বেশি পুরনো। এই পিরামিডের বিষয়ে বইয়েতে কমবেশি জেনে থাকলেও এর এমন কিছু রহস্য যা অনেকেই জানেন না। এই নিবন্ধে আমরা আপনাকে মিশরের পিরামিডের রহস্যের (mystery of the pyramids Egypt) কথা জানাবো যা আপনাকে অবাক করবে। আসুন জানা যাক!
এই পিরামিড তৈরি আজও মানুষের কাছে রহস্য। পিরামিড তৈরিতে এমন পাথর ব্যবহার করা হয়েছে যার ওজন ২ থেকে ৩০ টন পর্যন্ত। আবার এমন কিছু পাথর ৪০ থেকে ৪৫ হাজার কেজি পর্যন্ত। সেই সময় এত বড় মাপের ও ভারি পাথর কিভাবে পিরামিডের উপর সেট করা হয়েছে তা আজও রহস্য।
পিরামিডের ভিতর মোট কত বেসমেন্ট আছে তা এখনো অজানা। এখনো পর্যন্ত খননকার্যে মোট তিনটি সেলার পাওয়া গেছে। যেগুলো বেস সেলার, রাজার সেলার ও রানী সেলার নামে পরিচিত। কিন্তু আশ্চর্যের বিষয় হল রাজা, রানীর বেসমেন্টে তাদের মমি পাওয়া যায়নি। যেখানে পিরামিডটি শুধুমাত্র তাদের মৃতদেহ সুরক্ষার জন্য তৈরী করা হয়েছিল। মমিহীন মৃতদেহ সুরক্ষা যা আজও মানুষের কাছে রহস্য।
গির্জার পিরামিডের ভিতরে তাপমাত্রা সব সময় নিয়ন্ত্রিত থাকে। বাইরের আবহাওয়া যতই গরম কিংবা ঠান্ডা হোক না কেন ভিতরের তাপমাত্রা সেই ২০°c এর কাছাকাছি থাকে। সর্বদা একই রকম তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ থাকা ব্যাপারটা আজও মানুষের কাছে রহস্য।
গির্জার ‘দ্য গ্রেট স্ফিঙ্কস’ হল একটি ৭৩ মিটার দীর্ঘ ও ২০ মিটার উঁচু মূর্তি পাথর। যা একটিমাত্র পাথরকে খোদাই করে এটি তৈরি করা হয়েছে। এই মূর্তিটি এমনই যেখানে অন্য কোন পাথর জোড়া না লাগিয়ে একটিমাত্র পাথর থেকে নির্মিত, যা বিশ্বের সবচেয়ে বড় একক পাথর মূর্তি। তবে এই মূর্তি কার জন্য আর কেনই বা তৈরি হয়েছে তা আজও রহস্য।