মাত্র ২৪ বছর বয়সে পঞ্চায়েত প্রধান হলেন রাজস্থানের যুবতী, পেলেন গ্রামবাসীর আশীর্বাদ

বর্তমান সময়ে নারীরা শুধু তাদের ঘরের দায়িত্বই খুব ভালোভাবে সামলাচ্ছেন শুধু তাই নয়, বেশিরভাগ কর্মজীবী ​​নারীই একই সঙ্গে ঘরের এবং বাইরের দায়িত্ব পালন করে তাদের নিষ্ঠা ও ইচ্ছাশক্তির পরিচয় দিচ্ছেন। যদিও লোকেরা বেশিরভাগই মনে করেন শহরে বসবাসকারী বা অধ্যয়নরত মহিলা বা মেয়েরাই উন্নতি করে, আধুনিক মেয়েরা গ্রামের জীবন সম্পর্কে বুঝতে পারে না এবং গ্রামে থাকতে পারে না, তবে ঘটনাটি মোটেও তা নয়। গ্রাম হোক বা শহর, আজকের নারীরা পুরুষদের পাশাপাশি ঘরের বাইরে প্রায় প্রতিটি ক্ষেত্রেই তাদের অংশগ্রহণ দেখা যাচ্ছে।

আমাদের দেশেও এর অনেক উদাহরণ পাওয়া যায়। অন্য দিকে, ২৪ বছর বয়সী এক তরুণী শাহনাজ খান শুধু গ্রামের নয়, রাজস্থানের সর্বকনিষ্ঠ গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান হয়ে রেকর্ডও তৈরি করেছেন। শাহনাজ এমবিবিএস শেষ করে গ্রামে এসে গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান হয়ে পুরো গ্রামকেই পাল্টে দেন। আসুন জেনে নেওয়া যাক কীভাবে শাহনাজ ডাক্তার থেকে পঞ্চায়েত প্রধান হওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন।

রাজস্থানের মেওয়াত অঞ্চলের মানুষের মানসিকতা আজকের সময়ে দাঁড়িয়েও খুবই প্রাচীন চিন্তাধারার। এই এলাকায় মেয়েদেরকে বাড়ির বাইরে পড়াশোনা করতেও পাঠানো হয় না। এমনকি মেয়েদের ঘরের চার দেয়ালে আবদ্ধ করে রাখা হয়। এমতাবস্থায়ও শাহনাজ তার সাহস ও আত্মবিশ্বাসে পঞ্চায়েত প্রধান পদ পেয়ে মানুষকে বিস্মিত করেছেন তিনি। পড়াশোনা চালিয়ে যাওয়ার পাশাপাশি পঞ্চায়েত প্রধান পদের দায়িত্বও পালন করতে চান শাহনাজ। সে সুশিক্ষিত, তাই গ্রামের উন্নয়নে সাধ্যমত চেষ্টা করে যাচ্ছেন তিনি।

তবে একটি রক্ষণশীল এলাকায় শাহনাজ খান উচ্চশিক্ষা লাভ করে পঞ্চায়েত প্রধান নির্বাচিত হয়েছেন এটি একটি বড় প্রাপ্তি, কারণ আধুনিক সময়েও সমাজের অনেক অংশ রয়েছে, যেখানে মেয়েদের শিক্ষা এবং তাদের ভবিষ্যতকে গুরুত্ব দেওয়া হয় না। তার এই অর্জন সমাজ ব্যবস্থায় পরিবর্তন আনবে ভবিষ্যতে। তার লেখাপড়া অব্যাহত রেখে, পঞ্চায়েত প্রধানের দায়িত্ব নিয়ে শাহনাজ নিষ্ঠার সাথে গ্রামের উন্নয়নের কাজ করে যাচ্ছেন এবং দেশের জন্য নারী শিক্ষা ও ক্ষমতায়নের অনন্য উদাহরণ হয়ে উঠছেন।