একেই বলে ভাগ্য! হিন্দি, তেলেগু ছবিতে ব্যর্থতা পেলেও টলিউডে প্রথম ছবিতেই বাজিমাত করেন জিৎ

জিৎ টলিউড (Tollywood) ইন্ডাস্ট্রির অন্যতম জনপ্রিয় একজন অভিনেতা। টলিউড দুনিয়াতে প্রমাণ আছে কথায় সহজে সাফল্য আসে না, সংগ্রামের একমাত্র মাধ্যম মানুষকে সাফল্যের কাছে নিয়ে যায়। আমাদের প্রিয় অভিনেতা জিৎ এর আসল নাম হলো জিতেন্দ্র মাদনানি। ইনিও অন্যান্য বাঙালি অভিনেতাদের মতো নিজের কমেডি, রোমান্টিক বা অ্যাকশন সব চরিত্রে অভিনয় করে তার দর্শকদের মনে জায়গা করে নিয়েছেন।

এই অভিনেতা প্রাথমিক স্তরে সেন্ট জোসেফ স্কুল থেকে শিক্ষা লাভ করেন। এরপর তিনি ন্যাশনাল হাই স্কুল থেকে উচ্চ শিক্ষা পাঠ সমাপ্ত করেন। নানা পারিবারিক সমস্যার কারণে তিনি কলেজে ভর্তি হলেও কিন্তু সে পড়াশোনা চালিয়ে যেতে পারেননি বেশিদিন ।সে তার বাবার সঙ্গে ছোটবেলা থেকেই পোশাকের ব্যবসা শুরু করেন। ছোটবেলা থেকেই বলিউড অভিনেতা হতে চেয়েছিলেন তিনি, সেই ইচ্ছা ছিল তার। তাই জিৎ মডেলিং-অভিনয়ের ক্লাসে কাজ করছিলেন। অভিনেতা ১৯৯৪ সালে সেই অভিনয় ক্লাসে একটি টিভি সিরিয়াল প্রযোজকের নজরে আসেন। তারপর তিনি বৃষবিক্ষ ও জন্মভূমি নামে দুটি ধারাবাহিকে অভিনয় করেন।

তার সেই সময় একমাত্র লক্ষ্য ছিল বলিউডে নিজের জন্য একটি পরিচয় তৈরি করা এবং জিৎ ১৯৯৫ সালে মুম্বাইতে চলে আসেন। লাগাতার দুই বছর বিভিন্ন জায়গা তে অডিশন দেওয়ার পর তিনি একটি মিউজিক অ্যালবামে অভিনয় করার জন্য সুযোগ পান। এরপর হিন্দি ছবির জন্য আবার অডিশন দিলেও এবার হতাশ হয়েছিলেন তিনি। পরে তিনি দক্ষিণী ছবিতে ভাগ্য পরীক্ষা করার জন্য বলিউড ছেড়েছিলেন, কিন্তু আবার সেখানেও ব্যর্থ হন। যদিও তিনি ২০০১ সালে তেলেগু চলচ্চিত্র ‘চান্দু’ নামক এক সিনেমা তে অভিনয় করেছিলেন সে , কিন্তু তার সেই ছবিটি ফ্লপ হয়েছিল এবং বক্স অফিসে ব্যর্থ হয়েছিল।

তারপর ২০০১ সালে, জিৎ পরিচালক হরনাথ চক্রবর্তীর ‘সাথী’-তে নতুন মুখ হিসেবে কাজ করার জন্য কলকাতায় ফিরে আসেন। ২০০২ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত, ছবিটি বক্স অফিসে একটি অসাধারণ সাড়া পায়। অনেক দিন ধরেই সিনেমা হলে চলেছে সেই ছবিটি। ছবির একটি গান সমস্ত দর্শকদের মন জয় করে ফেলেছিল সেই সময়ে , ‘ও বন্ধু তুমি শুনতে কি পাও’। তারপর সঙ্গী, নাটকের গুরু, দুই পৃথিবী, বস, সাত পাকে বাঁধা , এই রকমের নানা একের পর এক ছবি জিৎ তার দর্শকদের জন্য উপহার দিয়েছেন। কিন্তু জিতের টলিউড ইন্ডাস্ট্রিতে তার ক্যারিয়ার এর টার্নিং পয়েন্ট ছিল ‘নাটকের গুরু’ ছবিটি। এরপর থেকে তাকে আর পেছনে ঘুরে তাকাতে হয়নি, তার সিনেমা , সাফল্য আর নাম এক চূড়ান্তে পৌঁছে গিয়েছিল।