ডাকাতির আগে কেন করা হতো মা কালীর পুজো? শুনেছেন কি বাংলার ডাকাতকালীর গল্প
ডাকাতির আগে কেন করা হতো মা কালীর পুজো

আজ দেশ জুড়ে উৎসবের মরশুম। কালীপুজোর (Kalipuja) আনন্দে মেতে উঠছে সকলে। চারিদিক আলোর সাজে সেজে উঠেছে। তবে এই কালীপুজোর সঙ্গে একটি বিষয় জড়িয়ে রয়েছে। ডাকাতদের কালীপূজা করার কথা হয়তো অনেকে শুনেছেন। ডাকাতরা আজ আর নেই। তবে আজও গ্রাম বাংলার অনেক জায়গায়, ডাকাত কালীর পুজো হয়। শোনা যায়, ডাকাতের (Robber) ডাকাতি করতে যাওয়ার আগে মা কালীর পূজা করতেন। তারপরই ডাকাতি (Robbery) করতে যেতেন। কিন্তু কেন তারা মা কালীর পুজো করতেন জানেন কি? তবে সে নিয়ে বিস্তারিত খবর আজ জেনে নিন।
ডাকাতের কথা উঠলেই যা নাম উঠে আসে, তিনি রঘু ডাকাত। এই রঘু ডাকাতকে (Raghu Dhakat) নিয়ে অভিনেতা দেব একটি সিনেমাও তৈরি করছেন। যার নাম ‘রঘু ডাকাত’। সে যাই হোক, শোনা যায় রঘু ডাকাত দলবল নিয়ে ডাকাতি করতে যাওয়ার আগে মা কালীর পুজো করতেন। প্রসঙ্গত, রঘু ডাকাত কাশীপুরের খগেন চ্যাটার্জি রোডে রঘু ডাকাতের কালী মন্দিরে চিত্তেশ্বরী সর্বমঙ্গলা কালীর প্রতিষ্ঠা করেছিলেন বলে কথিত আছে। রঘু ডাকাত ছাড়া আরও এক ডাকাতের ছিল, যার নাম বিশে ডাকাত (Bishe Dhakat)। কথিত আছে তিনি পূর্বে বুনো কালী মন্দিরে পুজো করে ডাকাতি করতে বের হতেন।
তবে ডাকাতি করার সঙ্গে কালি পূজা করার কি সম্পর্ক? তার আসল কারণ খুঁজে বের করা খুবই দুস্কর। তবে ডাকাতরা ডাকাতির আগে যে কালি পূজা করতো তা সত্য। এর প্রমাণ অনেক গল্পেও পাওয়া যায়। আসলে ডাকাতরা ডাকাতির সময় অনেক সম্পত্তি লুঠ করতো। শুধু তাই নয় তারা মানুষের প্রাণ পর্যন্ত নিত। তাই পাপ ধুয়ে তারা এই কাজ করত বলে অনেকের ধারণা। এই পাপ কাজ করতে যাওয়ার আগে ডাকাতরা নিজেদের মা কালীর চরণে নিজেকে সপে দিতেন।
বাংলার ডাকাতদের প্রায় সকলেই ছিলেন কালীভক্ত একথা সত্যিও হতে পারে, আবার মিথ্যাও হতে পারে। তবে এ থেকে তাদের ধর্মভীরুতার দিকটি স্পষ্ট। হাতে অস্ত্র, কানে মাকড়ি ও কপালে তিলক কেটে যতই তারা ভয়ঙ্কর হয়ে উঠুক। তাদের মধ্যেও যে একটা বিবেক দর্শন কাজ করতো এখান থেকে তা স্পষ্ট। আর এই বিবেক দর্শন থেকেই তারা নিজেদের কালী মায়ের চরণে সপে দিতেন। কালীর পুজো করেই তারা তাদের পাপ কমাতে চাইতো।