আর ফ্রি থাকবে না Whatsapp কলিং, করতে হবে টাকা খরচ! নতুন টেলিকম বিলে সরকারের তরফে নেওয়া হচ্ছে একাধিক সিদ্ধান্ত

ওভার দ্যা টপ অর্থাৎ ইন্টারনেটের সাহায্যে কাজ করে এমন পরিষেবাগুলি টেলিকম আইনের আওতায় আসবে।

বর্তমানে কলিং, ম্যাসেজিং অ্যাপ গুলির জন্য রয়েছে বড় খবর কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকে। আসলে সম্প্রতি হোয়াটসঅ্যাপ (Whatsapp), ফেসবুক (Facebook), গুগল ডুও (Google Duo) এবং টেলিগ্রামের (Telegram)-এর মতো অ্যাপগুলিকে টেলিকম আইনের আওতায় নিয়ে আসার প্রস্তুতি চলছে। এমনকি খসড়া বিলও তৈরি করা হয়েছে এই বিষয় সরকারের পক্ষ থেকে। যেটির অনুযায়ী ওভার দ্যা টপ অর্থাৎ ইন্টারনেটের সাহায্যে কাজ করে এমন পরিষেবাগুলি টেলিকম আইনের আওতায় আসবে। এছাড়া ড্রাফট টেলিকমিউনিকেশন বিল ২০২২-এ এইরকম একাধিক প্রস্তাব পেশ করেছে বলে জানা গেছে। আর বেশ ভালোই বোঝা যাচ্ছে যে ইন্টারনেট-ভিত্তিক কলিং ও মেসেজিং পরিষেবাগুলি টেলিকম আইনের আওতায় আসার পরে এটি ইন্টারনেট ইউজারদের উপর মারাত্মক প্রভাব পরতে চলেছে।

 

এমনবস্থায় খসড়া বিল অনুযায়ী যদি বলা হয় তবে এবার থেকে টেলিকম পরিসেবার অংশ হতে চলেছে ওটিটি পরিসেবা গুলি। এমনকি একটি লাইসেন্সও পেতে হবে পরিসেবা প্রদানকারী সংস্থাগুলিকে। আর এর ফলে দাম বৃদ্ধি পাবে রিচার্জের ও জনগণের পকেটে চাপ পরবে। আরো জানা গেছে যে পরিষেবা সরবরাহকারী সংস্থাগুলিকে লাইসেন্সের জন্য একটি ফি-ও জমা দিতে হবে। যদি সংস্থাটি এই লাইসেন্স স্যারেন্ডার করে সেক্ষেত্রে সেই ফি তাদের ফেরত দেওয়া হবে। এই বিষয় টেলিকম মন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব জানিয়েছেন যে টেলিকম বিলের সাথে, শিল্পের পুনর্গঠন এবং নতুন প্রযুক্তি গ্রহণের রোডম্যাপ তৈরি করা হবে। আর সরকার আগামী ২০ অক্টোবর পর্যন্ত এই খসড়ায় সংশ্লিষ্ট ইন্ডাস্ট্রি ও জনগণের কাছে পরামর্শ চেয়েছেন এই বিষয়।

Call and messaging app

টেলিকমিউনিকেশন বিল ২০২২ লঞ্চ করার কারণ সমূহ:

১. ভবিষ্যতে আইনি কাঠামোকে শক্তিশালী করা।
২. টেলিকম এবং ইন্টারনেট পরিষেবা প্রদানকারীদের উপর জরিমানা ধার্য করার প্রক্রিয়াটিকে আরও যৌক্তিক করা।
৩. স্পেকট্রাম ব্যবস্থাপনার জন্য আইনি কাঠামো শক্তিশালী করা।
৪. সাইবার নিরাপত্তা, জাতীয় নিরাপত্তা এবং অন্যান্য হুমকি মোকাবিলার প্রস্তুতিগ্রহণ।
৫. নতুন টেলিকম আইন অনুসারে, টেলিকম সেক্টরে ব্যবহৃত নাম এবং তাদের সংজ্ঞাগুলিকে পুনরায় প্রণয়ন করা

নতুন টেলিকমিউনিকেশন বিল ২০২২-এর খসড়া অনুসারে, Facebook, Whatsapp, Google Duo, Google Meet, Telegram এবং Zoom-এর মতো পরিষেবাগুলি এর আওতায় আসবে। এছাড়াও ব্রডকাস্টিং পরিষেবা, ইমেল, ভয়েস, ভিডিও এবং ডেটা কমিউনিকেশন পরিষেবা, ভয়েস মেইল, ফিক্সড এবং মোবাইল পরিষেবা, ইন্টারনেট এবং ব্রডব্যান্ড পরিষেবা, অডিওটেক্স ও ভিডিওটেক্স পরিষেবা, স্যাটেলাইট ভিত্তিক যোগাযোগ পরিষেবা, ওয়াকি-টকি, মেশিন টু মেশিন পরিষেবা এবং ইন্টারনেট ভিত্তিক কমিউনিকেশন সার্ভিসও এর আওতায় আসবে।

Telecom companies

বলতে গেলে এতদিন যেমন ভিডিও বা অডিও কল করতে শুধু ইন্টারনেটের পিছনে খরচ করতে হতো, কিন্তু এখন এই নতুন বিলের পাশ করার পর WhatsApp বা কলিং পরিষেবা সরবরাহকারী অন্য সংস্থা এটির জন্য অতিরিক্ত চার্জ নেওয়া শুরু করতে পারে। অথবা আপনাকে কিছু পরিষেবার মেম্বারশিপও নিতে হতে পারে। কারণ কোম্পানিগুলি লাইসেন্স কেনার জন্য যে অর্থ ব্যয় করবে তা গ্রাহকদের কাছ থেকেই পরে আদায় করবে।