চেরা জিভ, এক চোখ পুরোপুরি কালো! না কোনো এলিয়েন না, পৃথিবীবাসী এই ব্যক্তির ছবি দেখে আঁতকে উঠবেন আপনিও

এক চোখ পুরোপুরি কালো

বর্তমান সময়ে একপ্রকার ফ্যাশন হয়ে দাঁড়িয়েছে ট্যাটু (Tattoo)। অনেকেই নিজেকে সুন্দর বানানোর জন্য হাত থেকে শুরু করে শরীরের বিভিন্ন জায়গায় ছোট বড় নানা ডিজাইনের ট্যাটু করে থাকেন। হয়তো আপনিও করিয়েছেন। তবে আজ এমন এক ট্যাটু ম‍্যানের (Tattoo Man) কথা বলবো, যিনি তাঁর শরীরের ট্যাটুতে ভরিয়ে দিয়েছেন এবং নিজেকে অন্যরকম বানিয়েছেন। তাঁকে দেখলেই লোকেরা ভয় পায় এবং নানা খারাপ কথা বলেন। সেই ট্যাটু দেখে আপনি ভয় পেতে পারেন। চলুন প্রতিবেদন থেকে এই বিস্তারিত তথ্য জেনে নিন।

Tatto

আজকের কথা বলবো টবিয়াস (Tobias Muller) মুলারকে নিয়ে। এই ব্যাক্তি জার্মানির ডর্টমুন্ডের (Dortmund, Germany) বাসিন্দা। বয়স ৩৩। যিনি তাঁর সারা শরীরে ট্যাটুতে ভরিয়ে দিয়েছেন এবং দেহের বিভিন্ন অঙ্গে ফুটিয়েছেন ধাতব সামগ্ৰী। ১৮ বছর বয়স থেকে তিনি শরীরের ট্যাটু করা শুরু করেছেন। বর্তমানে তিনি তাঁর চেহারার অনেক পরিবর্তন করিয়েছেন ট্যাটুর মাধমে। যা দেখলে অনেকে ভয় পান, অনেকে আবার রেগেও যান। এর জন্য টবিয়াস মুলারকে নানান খারাপ অভিজ্ঞতার সম্মুখীনও হতে হয়।

টবিয়াস নিজেকে সাজাতে ভালোবাসেন। সেজন্য শরীরের বিভিন্ন জায়গায় করিয়েছেন ট্যাটু। শুধু ট্যাটুই নয় দেহের বিভিন্ন অঙ্গে ধাতব সামগ্রী ভরেছেন। নাক থেকে শুরু করে কান, গলায় ফুটিয়েছেন নানা ধাতব বস্তু। অন্যরকম দেখতে নিজের জীবকে দুই ভাগে চিরে ফেলেছেন। একটি চোখ অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে পুরোপুরি কালো করিয়ে নিয়েছেন। প্রসঙ্গত, টবিয়াস একটি চিড়িয়াখানাতে কাজ করেন জানা যাচ্ছে ওপর একটি চোখও তিনি খুব শীঘ্রই কালো করিয়ে নেবেন।

Design tatto

নিজেকে সুন্দর দেখানোর জন্যই এরূপ পরিবর্তন করে চলেছেন তিনি। তবে তাঁর এই রূপের কারণেই নানা তিক্ত অভিজ্ঞতার শিকার হতে হয়েছে তাকে। রাস্তায় বের হলে মানুষ তাঁকে দেখেই রেগে যান। অনেকে আবার ভয় পেয়ে দূরে সরে যান। তাঁকে দেখে মানুষজন হাসি-ঠাট্টা করতেও ছাড়েন না। তবে

নেতিবাচক ব্যাবহারের পাশাপাশি উৎসাহমূলক ব্যাবহারও পান তিনি। অনেকে আবার তাঁর সঙ্গে সেলফিও তুলতে চান। তবে যাই হোক তিনি কারো খারাপ কথায় কান দেন না। তিনি মনে করেন রূপ দেখে নয় কোন মানুষকে বিচার করা উচিত নয়।