স্যান্ডো গেঞ্জীতে পকেট হওয়া আর মমতার প্রধানমন্ত্রী হওয়া সমান, সিঙ্গুর থেকে মমতাকে খোঁচা শুভেন্দুর

এবছর অর্থাৎ ২০২১ সালে বিধানসভা ভোটে মুখ্যমন্ত্রীকে হারিয়ে নন্দীগ্রামে বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী জিতেছিলেন। সম্প্রতি শুভেন্দু তিনি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কর্মসূচিগুলোকে আক্রমণ করে বিভিন্ন অভিযোগ তুলেছেন সরকারের বিরুদ্ধে। তিনি এটাও বলেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রধানমন্ত্রী হওয়ার ‘স্বপ্ন স্যান্ডো গেঞ্জি বুক পকেটের মত’। তিনি মুখ্যমন্ত্রীর ত্রিপুরা মুম্বাই ও গোয়ার সফরকে নিয়ে কটাক্ষ করতে ছাড়েননি।

তিনি জানিয়েছেন অতিবৃষ্টিতে দক্ষিণ বাংলার বিস্তীর্ণ অঞ্চলে চাষের জমিগুলোতে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। এসময়ে যেহেতু আমন ধানের চাষ হয় সেটা নষ্ট হয়ে গিয়েছে। শীতকালীন সবজি ও আলু বর্ষার জলে বন্যা হয়ে ভেসে গিয়েছে। তিনি এই নিয়ে জগদীপ ধনকরের কাছে ৭ দফায় স্মারকলিপি পাঠিয়েছেন।

তিনি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছেন, দিদি এখন জেলায় জেলায় বলছেন যে, তিনি এখন কিছু দিতে পারবেন না। আসলে তিনি এটা বলতেই পারছেন না যে লক্ষী ভান্ডার টোপ দিয়ে অর্থনৈতিক কারচুপি করেছেন। এই অবস্থায় ভূমি ও ভূমি রাজস্ব দপ্তর পোর্টালও রাজ্য সরকার বন্ধ করে দিয়েছে।

শুভেন্দু এবং গেরুয়া শিবিরে বাকি সদস্যরা দুর্গাপুর এক্সপ্রেসওয়ে ধারে গোপাল নগরে ধর্না শুরু করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের বিরুদ্ধে। এই জায়গায় কয়েক বছর আগে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও ধর্না করেছিলেন। তখন যদিও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মুখ্যমন্ত্রী হননি।

যে মাঠগুলোর জন্য সিঙ্গুরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একসময় লড়াই করেছিলেন, টাটা শিল্পের কাজও বন্ধ করে দিয়েছিলেন। শুভেন্দু বন্দ্যোপাধ্যায় এদিন সেই মাঠগুলোকে ‘অভিশপ্ত মাঠ’ বলে আখ্যা করলেন। তিনি এটাও অভিযোগ করতে ছাড়লেন না, রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী শিল্প হতে দিতে চায় না। রাজ্যের যুবকদের বেকার করে রাখতে চাই দিদি। তিনি এটাও হুঁশিয়ার করেছেন আগামী দিনে তাঁর এবং তাঁর দলের অভিযান হবে নবান্নের দিকে।