বাবার কাছ থেকে মাত্র 13 হাজার টাকা নিয়ে শুরু করেছিলেন ব্যবসা, আজ 9 হাজার 600 কোটি টাকার মালিক

ভারতের সবথেকে বড় এগ্রো কোম্পানি গুলির মধ্যে এক হাটসন এগ্রো প্রোডাকশনের মালিক চন্দ্রমোগান দেশের টপ ১০০ জন বড় লোকের তালিকায় পড়েন। যদিও চন্দ্রমোগানের জীবন এতো সহজ ছিল না। তিনি মাত্র ১৩০০০ টাকা দিয়ে নিজের ব্যবসাটি শুরু করেছিলেন। তিনি তার বাবার থেকে এই টাকা চেয়ে আইসক্রিম ক্যান্ডির ফ্যাক্টরি শুরু করেছিলেন।

আজ চন্দ্রমোগানের কোম্পানিটি ১.৩ বিলিয়ান ডলারের বেশি অর্থাৎ ৯৬০০ কোটি টাকার বেশির কোম্পানি। তাই আজ তিনি ভারতের ধনী ব্যক্তিদের তালিকায় অন্যতম। হাটসন এগ্রো প্রোডাকশন কোম্পানিটি ডেয়ারি উদ্যোগে বেশ প্রগতি অর্জন করেছে। আজ এটি দেশের বড় ডেয়ারি কোম্পানিতে পরিণত হয়েছে।

এই কোম্পানিটি ৪ লাখের বেশি কিষানের থেকে প্রায় ৩৩ লাখ লিটার দুধ কেনেন। এটি নিজের ব্র্যান্ড অরুন আইসক্রিম, আরোকি মিল্ক, হাটসন দই, হাটসন পানির ইত্যাদি বিক্রি করে। হাটসন নিজের দ্রব্য গুলি আমেরিকা, পূর্ব ও এদক্ষিণ এশিয়ার বাজারে রপ্তানি করে।

ভারতে কোম্পানির ফোকাস থাকে সাউথ ইন্ডিয়ান বাজারে। চন্দ্রমোগান অনুসারে, হাটসন এগ্রো উৎপাদক গুলি দক্ষিণ বাজারে বিক্রি হওয়া সব দুধের মোটামুটি ১৭%- ৪০% পর্যন্ত বাজারে বিক্রি করে।

হাটসন এগ্রো প্রোডাক্টস ১৯৭০ সালে চেন্নাইয়ে একটি জায়গা ভাড়া নিয়ে প্রতিষ্ঠিত করা হয়েছিল। যেখানে চার জন কর্মচারীর সহায়তায় কাজ শুরু করা হয়েছিল। পরিবারের পৈতৃক সম্পত্তি বিক্রি করে এই কারখানা চালুর মূলধন সংগ্রহ করা হয়েছিল। আজ কোম্পানির মার্কেট ক্যাপ ১৩০০০ কোটি টাকার বেশি, যার আয় ৫৩০০ কোটি টাকারও বেশি৷

চন্দ্রমোগান বলেছেন যে তারা ছোট কোম্পানি থেকে একটি সাধারণ কোম্পানি আর একটি সাধারণ কোম্পানি থেকে একটি বড় কোম্পানির দিকে ধীরে ধীরে এগিয়েছেন।চন্দ্রমোগানের মতে হাটসন মহারাষ্ট্রে দুটি এবং ওড়িশায় একটি উৎপাদন কারখানা স্থাপন করেছে।

তিনি আরো জানিয়েছেন যে তারা সবসময় একটি সময়ে একটি রাজ্যের বিস্তারিত উপর ফোকাস করেছে। এছাড়া কোম্পানিটি সারা দেশে ২০ টি প্ল্যান্ট পরিচালনা করছে বলে জানিয়েছেন। এর মধ্যে নয়টি দুধ প্রক্রিয়াকরণ ও প্যাকেজিং ইউনিট, দুটি দুধের পণ্য উৎপাদন ইউনিট, দুটি আইসক্রিম উৎপাদন ইউনিট এবং অন্যান্য অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।