একসময় রেডিও বিক্রি করে চালাতেন সংসার, এখন এই কোম্পানির মালিক হয়ে বার্ষিক উপার্জন ৩০ কোটি

'KDM India'-র মালিক নীলেশ মালির সাফল্যের গল্প, রেডিও বিক্রি করা ব্যক্তি আজ বছরে আয় করেন ৩০ কোটি

কথিত আছে গরিব ঘরে জন্ম নেওয়া ভুল না, কিন্তু গরিব ঘরে জন্ম নিয়ে গরিব থেকেই মরে যাওয়া বড় ভুল। আমাদের চিন্তা ভাবনা ও কঠোর পরিশ্রম ঠিক করে দেয় আমাদের ভবিষ্যৎ। এই দুনিয়ায় কোন কাজই ছোট নয়, ছোট থেকেই উচ্চ সাফল্য সম্ভব। এমনই কিছু ঘটেছে নীলেশ মালি (Nilesh Mali) নামে এক ব্যক্তির সঙ্গে। যিনি দরিদ্র পরিবারে জন্মগ্রহণ করলেও আজ উচ্চ সাফল্যে পা দিয়েছেন। আসুন জানা যাক নীলেশ মালির সাফল্যের গল্প(Success Story)।

Nilesh mali kdm

নীলেশ রাজস্থানের জালোরের ছোট এলাকার বাসিন্দা। তিনি গরিবিকে সামনে থেকে দেখেছেন। তিনি প্রাথমিক জীবনে রেডিও সরানোর কাজ করতেন। আজ তিনি ৩o কোটি টাকার কোম্পানির মালিক হয়েছেন। নেপথ্যে বলা হচ্ছে ২০১১ সালে তিনি ‘কেডিএম ইন্ডিয়া’ (KDM India) নামে এক কোম্পানি শুরু করেছিলেন। আজ এই কোম্পানি খুব সাশ্রয়ী মূল্যের মোবাইল উৎপাদনকারীর মধ্যে একটি।

আজ এই কোম্পানি প্রায় ৩০ কোটি টাকা বার্ষিক টার্নওভার করেন। তবে তার এই সাফল্য অত সহজ ছিল না। মাত্র ১৮ বছর বয়সে তিনি কাজ শুরু করেন। তিনি প্রথমে রাজস্থান থেকে মারোয়ারি ঘোড়ার খোঁজে মুম্বাইয়ে এসছিলেন আর সেখানেই তিনি নিজের কাজ খুঁজে নেন। আসুন জানা যাক তার সাফল্যের শুরুটা ঠিক কেমন ছিল?

নীলেশ তার কেরিয়ার শুরু করেছিলেন ২০০০-দশকের সময় করে। তার জীবনে অনেক বড় স্বপ্ন ছিল যার কারণে তিনি কোন কাজ কেই ছোট মনে করতেন না। তিনি ছোট থেকে সূচনা করে আজ উচ্চ সাফল্যে পা দিয়েছেন। তিনি ওয়াকম্যান ও রেডিওর মত ছোট ইলেকট্রনিক্স সামগ্রী বিক্রির কাজও করেন। ক্যারিয়ারের শুরু থেকে প্রায় ২০ বছর পর্যন্ত ছোটখাটো কাজের সঙ্গেই তিনি যুক্ত ছিলেন। তারপর ২০১১ সালে ‘কেডিএম ইন্ডিয়া’ নামক একটি কোম্পানি স্থাপন করেন, যার আজ বার্ষিক আয় ৩০ কোটি টাকা।

নিজের সম্পর্কে বলতে গিয়ে নীলেশ বলেন, তিনি এক ছোট শহরে গরিব পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি অনেক বড় স্বপ্ন নিয়ে মুম্বাই এসেছিলেন। তিনি কোন কাজ কি ছোট মনে না করে নিজের কাজ শুরু করেন। তিনি বলেন, এরপর আমার এক বন্ধু আমাকে এক্সেসরিজ ব্যবসা করার পরামর্শ দেয়। তার পরামর্শেই আমার জীবন বদলে যায়। আমরা আপনাকে বলি আজ ‘কেডিএম ইন্ডিয়া’ গোটা ভারতে ২০০ টি স্টক কিপিং ইউনিট তৈরি করে এবং বিতরণ করে।

নীলেশ মানুষের চাহিদার কথা ভেবে মোবাইল ব্যাটারির ব্যবসার পদ্ধতি অবলম্বন করতে চেয়েছিলেন। তিনি যখন এই কাজটি করতে চেয়েছিলেন তখন কাজটি সাফল্যের একটি ভাল উড়ান দিয়েছিল। তারপর একাধিক পোর্টফোলিও সম্প্রসারণ এর লক্ষ্য নিয়েও কাজ করেন।

নীলেশ কখনোই বিদেশী জিনিসপত্রের উপর সন্তুষ্ট ছিলেন না। কারণ বিদেশী জিনিসপত্রের উপর গুণগতমান ও মূল্যের উপর আস্থা রাখতে পারছিলেন না। বিশেষ করে চায়না প্রোডাক্টগুলো এমনই। এর জন্য নীলেশ ইন্টেলি কভার দিয়ে নিজের কাজ করেন। যে সময় বাজারে মোবাইল সামগ্রীর উত্থান হয়েছিল সেই সময় তার ব্যবসা দারুণ সাফল্য পেয়েছে। আজকের দিনে তিনি বছরে ৩০ কোটি টাকার টার্নওভার করেন।