গোবর বিক্রি করে তৈরি করেছেন ১ কোটি টাকার বাংলো, বছরে প্রায় ১.৫ কোটি টাকা আয় করেন এই কৃষক
গোবর বিক্রি করে তৈরি করেছেন ১
ভারতের বেশিরভাগ মানুষ আজও চাষ করে জীবিকা নির্বাহ করেন। এই চাষীদের জন্যই মানুষ নিশ্চিন্তে খেয়ে পড়ে বেঁচে আছেন। তবে ভারতের এই চাষীদের আয় অন্যান্য ক্ষেত্রের তুলনায় অনেক কম। সে কারণে এ দেশের কৃষকরা আজও গরীব। যাদের অনেকেই আজও মাটির বাড়িতে থাকেন। তবে আজ এমনই এক কৃষকের সঙ্গে আপনাদের পরিচয় করিয়ে দেব যার আয় কোটির কাছে এবং চাষ করেই তৈরি করেছেন বড় বাংলো। চলুন জেনে নিন এই কৃষক সম্পর্কে।
আজ কথা বলবো প্রকাশ নেমাদের (Prokash Nomad) গল্প। যিনি একজন কৃষক। মহারাষ্ট্রের সাঙ্গোলা তালুকের ইমদেবাদির (Imadawadi Village Maharashtra) বাসিন্দা তিনি। কৃষক হলেও তাঁর আয় আর পাঁচটা কৃষকের মতো নয়। বছরে প্রায় ১.৫ কোটি টাকা উপার্জন করেন। প্রধানত দুধ ও গোবর নিয়েই তাঁর ব্যাবসা। এই ব্যবসা থেকে যে পরিমান অর্থ তিনি উপার্জন করেছেন তা দিয়ে বানিয়ে ফেলেছে একটি বাংলো।
প্রকাশ নেমাদের সাফল্য যে কোনই কৃষককে অনুপ্রেরণা যোগায়। জানিয়ে রাখি, তিনি পৈতৃক সূত্রে পাওয়া ৪ বিঘা জমিকে কাজে লাগিয়ে এই ব্যাবসা শুরু করেছিলেন। কাছে ছিল একটি মাত্র গরু। আর সেই গরু থেকেই শুরু করেন দুধের ব্যাবসা। আজ তাঁর কাছে রয়েছে ১০০ টির বেশি গরু। প্রতিদিন সেই গরুগুলি থেকে ১০০০ লিটার দুধ পান তিনি। যা ডেয়ারি কোম্পানির (Dairy Company) কাছে সরবরাহ করেন।
প্রকাশ নোমাদ একটি গরু থেকে যে বিস্ময়কর সাফল্য লাভ করেছেন তা সত্যিই প্রশংসনীয়। ইমদেবাদি গ্রামের এই বাড়িটি সকলের নজর কারে। এই বাড়িতে রয়েছে এই গরুর মূর্তি। রয়েছে খামার ও গোয়ালঘরও। ১৯৯৮ সালে একটি গরু নিয়ে তিনি এই ব্যবসা শুরু করেন। আজ এই ব্যাবসার প্রতিষ্ঠাতা পৃথিবীতে না থাকলেও, তাঁর বংশধরের এই বাবসাকে বজায় রেখেছে। আজ এই ব্যাবসার সঙ্গে যুক্তি রয়েছে ১৫০টি গরু। কম গরু থেকে বেশি দুধ পাওয়ার জন্য ব্যাবহার করা হয় উন্নত প্রযুক্তিও।