অল্প টাকায় শুরু করুন এই পুষ্টিকর আটার ব্যবসা, মাস গেলে আয় হবে ৫০,০০০ টাকার বেশি
সাধারণ ময়দার সঙ্গে বিভিন্ন উপাদান মিশ্রণ করে পুষ্টিকর আটার ব্যবসার ধারণা, বাজারে চাহিদা প্রচুর আয় হবে ব্যাপক
বর্তমান বাজারে ব্যবসার প্রতিযোগিতা প্রচুর। এই প্রতিযোগিতায় কোন ব্যবসা করা ঠিক হবে শুরুর আগে একটু বেশি চিন্তা-ভাবনা করতে হচ্ছে মানুষকে। আপনিও যদি ব্যবসা শুরু করবেন ভাবছেন, কিন্তু কি করবেন তা বুঝে উঠতে পারছেন, তাহলে এই নিবন্ধে আমরা এক দারুন ব্যবসার ধারণা (Business Idea) নিয়ে এসেছি। যেটা মানুষের চাহিদার পাশাপাশি আয় হবে প্রচুর। তাহলে আসুন জেনে নেওয়া যাক এই রিপোর্টে।
হ্যাঁ, আমরা আপনাকে এক পুষ্টিকর আটার ব্যবসার (Flour Business) কথা বলতে যাচ্ছি। মানুষের মধ্যে অর্গানিক খাবারের চাহিদা প্রচুর বাড়ছে। এই ব্যবসা খুব অল্প বিনিয়োগে শুরু করে প্রচুর টাকা আয় করা সম্ভব। বর্তমানে মানুষ স্বাস্থ্যের দিকে তাকিয়ে বাজারে খাদ্য সামগ্রীর দিকেও নজর দিচ্ছে। এই পুষ্টিকর আটার ব্যাবসায় ব্যার্থ হওয়ার সম্ভবনা খুব কম। কারণ এই আটার প্রতি মানুষের চাহিদা প্রচুর। এই আটা স্থূলতা ও কোলেস্টেরল কমাতে সাহায্য করে। একইসঙ্গে হার্ট, সুগার ও ব্লাডপ্রেসার রোগীদের জন্য উপকারী।
ময়দার সাথে আর কি কি উপাদান মিশ্রণ করতে হবে :-
তথ্য অনুযায়ী, সাধারণ আটা বা ময়দার সাথেই কিছু জিনিস মিশিয়ে এটিকে পুষ্টিকর করা হয়। প্রথমত এই পুষ্টিকর আটা (nutritious flour) তৈরি করতে গম অঙ্কুর করতে হয়। তারপর এই অঙ্কুরিত গম ১২ ঘন্টা জলে ভিজিয়ে রেখে ১২ ঘণ্টা ছায়ায় রেখে শুকনো করে ভালো করে ডাস্ট করতে হবে। ৭০০ গ্রাম ময়দা, ৫০ গ্রাম ঝোল পাতার গুঁড়ো, ৫০ গ্রাম ভাজা তিসির গুঁড়ো, ১০০ গ্রাম ওট ময়দা, ৫০ গ্রাম মেথি বা মেথি পাতার গুঁড়ো, অশ্বগন্ধা ২৫ গ্রাম এবং বিচিনা গুঁড়ো ২৫ গ্রাম। ১ কেজি ময়দার অনুপাতে থাকবে এই উপাদান গুলি।
এখান থেকে আয়:–
১ কেজি এই আটার পাইকারি দামে বিক্রি হবে ৫০ টাকা এবং খুচরা দামে বিক্রি হবে ৬০ টাকা। ১ কেজি আটাকে বাজারত করতে খরচ পড়বে প্রায় ৪০ টাকা। এইভাবে প্রতি কেজিতে লাভ থাকবে ১০ টাকা। হিসাব অনুযায়ী, আপনি যদি ১ লাখ টাকা বিনিয়োগ করেন তাহলে প্রতি মাসে লাভ হবে ৪০,০০০ থেকে ৫০,০০০ হাজার টাকা (Indian Ruppes)।
সার্টিফিকেশনে এখান থেকে সাহায্য নিন:-
এই ব্যবসায় নামার আগে, ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ ফুড টেকনোলজি এন্ড এন্টারপ্রেনারশিপ ম্যানেজমেন্ট, কুন্ডলী হরিয়ানা এবং কেন্দ্রীয় খাদ্য প্রযুক্তি গবেষণা ইনস্টিটিউট-মহিশুর দ্বারা সমর্থিত হতে পারে। এর জন্য গ্রামীণ শিল্প কমিশন থেকে নিবন্ধন এবং আপনি লাইসেন্স পেতে পারেন ভারতের ফুড সেফটি এন্ড স্ট্যান্ডার্ড অথরিটি থেকে।