মা-কে কথা দিয়ে মাত্র 5500 টাকা পকেটে নিয়ে এসেছিলেন মুম্বাই, আজ 130 কোটি টাকার মালিক

গোটা দেশে যখন কোরোনা মহামারী আক্রান্তকারীদের ছড়াছড়ি ছিল এবং প্রতিদিন একেরপর এক কোরোনা আক্রান্তের কেসের সংখ্যা বেড়ে চলেছিল, তখন একজন এরকমও ব্যক্তি ছিল যে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছিল ও উদ্ধার তৈরি করেছিল। এই ব্যক্তি আর কেউ নয় বরং বলিউডের জনপ্রিয় ও নামকরা অভিনেতা সোনু সুদ। ইনি বলিউডে ভিলেনের ভূমিকা পালন করলেও আসল জীবনে ইনি সত্যিকারের হিরো তিনি তা প্রমান করে দিয়েছেন।

সোনু সুদকে শ্রমিকদের দেবতাও বলা হয়।
ইনি নিজের ইচ্ছাশক্তি এবং দৃঢ় সংকল্প দিয়ে কোটি কোটি মানুষকে সাহায্য করেছেন। এছাড়া জানিয়ে দি সোনু সুদের অনেক দেশ জুড়ে অনেক বড় ফ্যান ফোলিং রয়েছে। সোনু, সাইথ ও বলিউড দুই ফিল্মেই কাজ করেন। তবে খুব কম লোকেই সোনু সুদের ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে কাজ পাওয়ার জন্য যে সংঘর্ষ করতে হয়েছিল এবং তারপর কিভাবে সফলতা অর্জন হলো সেই বিষয় জানে। আর তাই আজ আমরা আজ এই আর্টিকেলে সোনু সুদের সফলতার গল্প বলবো।

সাধারণ মানুষ থেকে অভিনেতা এবং অভিনেতা থেকে মানুষের নজরে দেবতাতুল্য হয়ে ওঠার যাত্রাটি এত সহজ ছিল না। সোনু সুদ ১৯৭৩ সালের ৩০শে জুলাই পাঞ্জাবের মোগা জেলায় জন্মগ্রহণ করেছিলেন। তার পুরো পরিবার এখনও মোগায় থাকে। ১৯৯৯ সালে পাঞ্জাবে নিজের গ্রামকে ছেড়ে মুম্বাইয়ের দিকে রওনা দিয়েছিলেন। তারপর ধীরে ধীরে তিনি অনেক চেষ্টার পর তিনি চলচ্চিত্রে কাজ করা শুরু করেছিলেন।সোনু প্রায় সব ভাষার ফিল্মেই কাজ করেছেন। অর্থাৎ হিন্দির সাথে সাথে টলিউড, কন্নড় ও আঞ্চলিক ভাষার ফিল্ম গুলিও রয়েছে।

সোনু তার প্রাথমিক পড়াশোনা মোগা জেলাতেই করেছিলেন কিন্তু পরে তিনি মহারাষ্ট্রের নাগপুরে চলে গেছিলেন এবং সেখানে তিনি ইলেকট্রনিক্স ইঞ্জিনিয়ারিং নিয়ে পড়াশোনা করে গ্রাজুয়েশন সম্পন্ন করেছিলেন। আর এরপর থেকেই শুরু হয়েছিল তার চলচিত্রের যাত্রা। পড়াশোনা শেষ করে গাঁটছড়া বেধেছিলেন তিনি সোনালী নামের একটি মেয়ের সাথে। আজ তাদের দুটি সন্তানও রয়েছে।

চলচ্চিত্র জগতে সোনুর কোনো গডফাদার ছিল না। এই কারণে প্রথমদিকে সোনু কোনো কাজ পাচ্ছিলেন না। তিনি প্রতিদিন লোকাল ট্রেনে যাতায়াত করে এক স্টুডিও থেকে অন্য স্টুডিও ঘুরে বেড়াতেন কিন্তু দিনের শেষে তিনি শুধু প্রত্যাখ্যান পেতেন। একদিন হঠাৎ তার ডাক পড়লো সাউথ ফিল্মের একটি অডিশনের জন্য। সেখানে পরিচালক তাকে তার শার্ট খুলতে বলেছিল এবং সোনু যখন তার কথা মতো শার্ট খুলেছিল সেখানের লোকেরা তার বডির খুব প্রশংসা করেছিল আর তাকে ফিল্মের জন্য নির্বাচিত করে নিয়েছিল।

সোনুর দুর্দান্ত অভিনয়ের কারণে তার প্রথম ফিল্মটি মারাত্মক হিট করেছিল। এরপর তিনি হিন্দি ফিল্মের পাশাপাশি তামিল ও কন্নড় ফিল্মের অফার পেতে শুরু করেছিলেন। অনেক অফার পেতে শুরু করেন। তবে বেশিরভাগ ফিল্মের সোনু সুদকে খলনায়কের ভূমিকা দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু সোনু সুদ ভিলেনের চরিত্রটি এতই উৎসাহ ও উদ্দীপনার সঙ্গে করতেন যে তাঁকে নায়কের চেয়ে ভিলেনের রূপেই দর্শক দেখতে পছন্দ করতো এবং এখনো করে।

সোনু সুদ ফিল্মে ভিলেন হলেও আসল জীবনে আজ তিনি অনেক মানুষের জন্য সত্যিকারের হিরো প্রমাণিত হয়েছেন। সম্প্রতি তার একটি বই ‘আমি মসীহা নই’ প্রকাশিত হয়েছে।