এক পায়ে হেঁটে স্কুলে যেতো মেয়েটি, সোনু সুদ দিলেন এমন উপহার দেখে খুশি এলাকাবাসী

জীবনে সফলতা পাওয়া সোজা নয়। মানুষকে লক্ষ্য পর্যন্ত পৌঁছাতে অনেক সংগ্রাম করতে হয়। সহজভাবে সফলতা অর্জন করা সবসময় সম্ভব হয়ে ওঠেনা। তাই সফল হওয়ার চেষ্টা আমাদের সবসময় চালিয়ে যাওয়া উচিত। সফলতার পথ কঠিন বলে হাল ছেড়ে দেওয়া উচিত না। কথায় আছে যদি কোনো জিনিসকে মন থেকে চাওয়া হয় ও সেটিকে অর্জন করার জন্য কঠোর পরিশ্রম করা হয় তবে সংগ্রাম থেকে বেরোনোর জন্য কোথাও না কোথাও থেকে সাহায্যের হাত ঠিক পাওয়া যায় এবং আমার সফলতা অর্জন করতে সক্ষম হই।

উদাহরণ স্বরূপ আজ আমরা এই আর্টিকেলে একজন সাহসী বাচ্চা মেয়ে সীমার বিষয় আলোচনা করবো। সীমার একটা পা না থাকায় তাকে রোজ এক পায়ে লাফিয়ে লাফিয়ে স্কুল যেতে হতো। এইভাবে এক পায়ে স্কুল যেতে খুবই অসুবিধা হতো সীমার। কিন্তু ত সত্ত্বেও মেয়েটি হাল ছাড়েনি এবং আজ নিজের একটি আলাদা পরিচয় তৈরি করছে।

প্রশাসন দিয়েছে ট্রাইসাইকেল

রিপোর্ট থেকে জানা গেছে যে সীমার বিষয় খবরে বেরোনোর পর যখন সেখানকার প্রশাসন সীমার বিষয় জানতে পেরেছিল, তখন প্রশাসনের টিম রাতারাতি সীমার বাড়িতে গিয়ে উপস্থিত হয়েছিল। এরপর টিম সীমাকে ট্রাইসাইকেল দেয় যার পরে প্রশাসন খুব প্রশংসিত হয় সেখানে। ট্রাইসাইকেল পাওয়ায় সীমার স্বপ্নও একটা পাখনা পেয়েছে। কারণ প্রথমে সীমা কষ্ট করে এক পায়ে লাফিয়ে স্কুলে যেত কিন্তু ট্রাইসাইকেল পাওয়ার পর সে এখন সহজে স্কুলে যেতে পারবে।

জেলা কর্মকর্তা করলো সীমার প্রশংসা

সীমার এই অনন্য প্রচেষ্টাকে জামুই জেলা আধিকারিক অবনীশ কুমার অত্যন্ত প্রশংসা করেছেন কারণ তিনি পড়াশোনার প্রতি সীমার আগ্রহ দেখে বেশ প্রসন্ন হয়েছেন। তিনি বলেছেন যে “পড়াশোনার প্রতি সীমার উৎসাহ সত্যি প্রশংসনীয় এবং অনুপ্রেরণাদায়কও বটে। সবার এই বাচ্চাটির থেকে শেখা উচিত ও বোঝা উচিত যে শিক্ষার গুরুত্ব কতটা। এই বাচ্চাটি কষ্ট করে এক পায়ে লাফিয়ে লাফিয়ে কষ্ট করে স্কুলে যায় শিক্ষা প্রাপ্ত করার জন্য।”

অভিনেতা সোনু সুদও করবে সীমাকে সাহায্য

অভিনেতা সোনু সুদও সীমা নামের এই মেয়ের জন্য সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন। সোনু এই বিষয় নিজের টুইটার একাউন্টে পোস্ট করেছেন ও লিখেছেন “এবার সীমা এক পায়ে নয় দুই পায়ে লাগিয়ে স্কুলে যাবে। টিকিট পাঠাচ্ছি, এক পা নয় দুই পা দিয়ে হাঁটার সময় এসে গেছে।”