রুটি তৈরি করার পরও ঘন্টার পর ঘন্টা থাকবে নরম, শুধু মেনে চলুন এই সহজ টিপস গুলি

রুটি (Roti) হলো ভারতের প্রধান খাদ্যের মধ্যে অন্যতম। রুটি অত্যন্ত পুষ্টিকর খাদ্য তাই ডাক্তার আমাদের প্রতিদিন রুটি খেতে বলে। ভাতের থেকে বেশি উপকারী রুটিকে মনে করা হয়। ভাত খেলে আমাদের ঝিমানি আসে কিন্তু রুটি খেলে কাজ করার একটা আলাদাই এনার্জি পাওয়া যায়। কিন্তু রুটি (Roti)  যেমন অতি পুষ্টিকর একটি খাদ্য তেমন আবার এটি তৈরি করার অনেক ঝামেলা রয়েছে। যারা রুটি তৈরি করতে পারেন তারা নিশ্চই জানেন যে রুটি তৈরি করতে গেলে পরিমান মতো জল, আটা ইত্যাদি না দিলে রুটি ভালো তৈরি হয় না এবং রুটি খুব তাড়াতাড়ি শক্ত হয়ে যায় যার ফলে সেটা আর খাওয়ার উপযোগী থাকে না। তাই আজ আমরা আমাদের আর্টিকেলে আপনাদের সঙ্গে শেয়ার করতে চলেছি কী ভাবে রুটি তৈরি করলে রুটি নরম থাকবে (makeing soft roti tips) সেই টিপ। আসুন জেনেনি।

রুটি নরম রাখার টিপস (Makeing soft roti tips):

১) রুটি বেশিক্ষণ নরম রাখার জন্য গুরুত্বপূর্ন বিষয় হলো আপনি কেমন আটা ব্যবহার করছেন। যায়নি যদি ভুষিযুক্ত আটা ব্যবহার করেন তাহলে আপনার আটা লম্বা সময় পর্যন্ত নরম থাকবে।

২) আপনি যদি ১০ টা পর্যন্ত রুটি বানাতে চান তবে আটার মধ্যে এক চিমটে নুন ও এক চামুচ তেল দিতে হবে। যদি তার থেকে বেশি রুটি তৈরি করতে চান তাহলে সেই পরিমান বাড়াতে হবে।

৩) এরপর উষ্ণ গরম জল ব্যবহার করে আটা মেখে ফেলতে হবে। গরম জলে রুটি মাখলে রুটি যেমন নরম হয় তেমনই হজমেও সাহায্য করে। আর সেই রুটির স্বাদও অন্যরকম হয়।

Roti

৪) তবে আটা মাখার সময় খেয়াল রাখতে হবে যেন আটার ডো বেশি শক্ত না হয়ে যায় ও আবার বেশি নরম না হয়ে যায়। আটা ভালো মাখা হয়েছে সেটা বুঝতে আটাতে আঙুল গলিয়ে দেখবেন যদি দেখেন হাতে আটা লাগছে না তবে বুঝবেন আটা মাখা ভালো হয়েছে।

৫) এরপর আটা মাখা হয়ে গেলে ১৫ মিনিট থেকে ৩০ মিনিট সেটি কোনো জায়গায় ঢাকা দিয়ে রেখে দিতে হবে। তবে ৩০ মিনিটের বেশি ঢেকে রাখলে চলবে না কারণ তার বেশি রাখলে আটা অতিরিক্ত নরম হয়ে যাবে ও বেলতে অসুবিধা হবে।

৬) লেচি ছোট ছোট কাটবেন। তাহলে বেলা পাতলা হবে। বড় লেচি হলে রুটি মোটা হয়ে যাবে। আর পাতলা রুটি হলে তবেই ভালো ফুলবে।

৭) তাওয়া আগে থেকেই গ্যাসে বসিয়ে গরম করে রাখুন। এবার দু পিঠ ভালো করে সেঁকে নিন। তাহলে দেখবেন জালি ব্যবহার না করলেও রুটি ফুলবে। তারপর ক্যাসারলে ভরে ফেলুন তৈরি হওয়া রুটি গুলি।

জানিয়ে দি যে আটা মাখার সময় ১৫% থেকে ২০% জল ব্যবহার করা হয় কারণ আটাতে কার্বোহাইড্রেট, অ্যালবুমিন, ডায়েটারি ফাইবার এবং স্টার্চ। আর রুটি সেঁকার সময় জল ও আটার এই উপাদানগুলি একসঙ্গে মিশে একটি রাসায়নিক বিক্রিয়া শুরু করে। তবে মনে রাখতে রুটি কখনো দুইবার গরম করবেন না কারণ দুইবার গরম করলে সেটি শক্ত হয়ে যায়। আর রুটি গরম করার পর তাওয়ায় একটু জল দিয়ে রুটি গুলি একবার জলে ভিজিয়ে তারপর ক্যাসেরলে তোলা উচিত তাতে রুটি নরম থাকে। এছাড়া রুটি গরম করার পর আপনি যদি একরি ভেজা পাত্রে রুটি রাখেন তাহলেও হবে এবং রুটি নরম থাকবে।

Roti

এছাড়া আপনি চাইলে মাখন রুটি বানাতে পারেন। গরম অবস্থাতেই মাখন বুলিয়ে দিন। তাহলে রুটি ভালো থাকবে। আর অফিসে যদি লাঞ্চে রুটি নিয়ে যান তাহলে গরম রুটি সঙ্গে সঙ্গেই ফয়েল প্যাকে মুড়ে ফেলুন। এতে রুটি অনেকক্ষণ পর্যন্ত নরম থাকবে। আপনি যদি ফ্রিজে রুটি রাখেন তাহলে তা যেন জিপ লক ব্যাগে থাকে কিংবা এমন কোনো কৌটোতে রাখুন যাতে হাওয়া চলাচল না করে। আর খাওয়ার আগে সেই রুটি মাইক্রোওয়েভে গরম না করে পারলে চাটুতে সেঁকে নিন। এছাড়া যারা ছুটির দিনে একসাথে অনেক রুটি একসঙ্গে করে ফ্রিজে রেখে দেন, তাঁরা মাথায় রাখবেন যেন সাত দিনের মধ্যেই রুটি শেষ হয়ে যায়।