নদীও তাদের দমিয়ে রাখতে পারে না, ব্যাগ পিঠে স্কুলে যায় সীমান্তপারের দুই কন্যা

নদীও তাদের দমিয়ে রাখতে পারে

আমরা নারী আমরা সব পারি। সাহসিকতার অন্যতম শব্দ ‘নারী’। বর্তমান সময়ে নারী পুরুষদের তুলনায় কোনো অংশে কম নয়। বরং অনেক ক্ষেত্রে তারা এগিয়েও রয়েছে। এভারেস্ট জয় থেকে শুরু করে ক্রিকেটের ময়দানে নেমেছে নারীরা। বাদ নেই শিক্ষা ক্ষেত্রেও। পুরুষের তুলনায় এখন নারীরা বেশি করে স্কুল কলেজ মুখী। আজ এমনই দুই কিশোরীর কথা কথা, যারা শিক্ষার জন্য কোনো বাধাকেই বাধা মনে করেনি। যাঁরা নদী পার করে ৪কিমি পথ হেটে রোজ স্কুলে যায় (Two Girls On A Boat To School)। আর এভাবেই তারা নিজেদের অজান্তেই নজির গড়লো। চলুন বিস্তারিত জেনে নিন।

These brave girl

আজ বলবো কালুওয়াড়া গ্রামের (Kaluwara Village) দুই মেয়ের কথা। তাঁদের নাম করিনা কৌর (Karina Your) এবং কিরনা রানি (Kirna Rani)। এই দুজনের বয়স যথাক্রমে ১২ ও ১৩। এই বয়সে তাঁরা অজান্তেই গ্রামেই ইতিহাসের পাতায় নাম লিখলো। আসলে এই দুই মেয়ে প্রতিদিন নৌকা নিয়ে নদী পেরিয়ে স্কুলে যায়। তাঁরা বর্তমানে সেকেন্ডারি স্কুলে পরে। আসলে কালুওয়াড়া গ্রামটি ভারত-পাকিস্তান সীমান্তে (India-Pakistan Border) অবস্থিত। এখানে রয়েছে বিশাল শতদ্রু নদী। অন্যদিকে রয়েছে কাঁটাতার। এই গ্রামে একটি প্রাইমারি স্কুল ছাড়া আর কিছু নেই। তাই সেকেন্ডারি স্কুলে যাওয়ার জন্য তাঁদের প্রতিদিন নদী পেরোতে হয়।

কালুওয়াড়া গ্রামের এই দুই মেয়ে পঞ্জাবের ফিরোজ়পুর জেলায় (Firozpur District Punjab) একটি সরকারি উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে পড়ে। একজন অষ্টম শ্রেণি এবং অন্য জন ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রী। প্রতিদিন সকাল ৭টাই স্কুলের উদ্দেশে বেরিয়ে পড়ে বাড়ি থেকে। স্কুলের পৌঁছাতে হয় শতদ্রু নদী (Satadru River) পেরিয়ে। মাঝে মাঝে মাঝি পায়না। সেদিন নিজেরাই নৌকা টেনে নদী পার হয়ে। শুধু তাই নয়, এরপর স্কুলে যেতে তাদের আরো ৪ কিমি হাঁটতে হয়। এর আগে এমন ভাবে কোনো মেয়ে এই স্কুলে আসেনি বলে জানিয়েছেন স্কুলের প্রিন্সিপাল।

Viral

কিরনার মা শিন্দর কৌর জানিয়েছেন, ‘‘আমরা চাই আমাদের মেয়ে আরও পড়াশোনা করুক। ওরা সকাল ৭টায় বেরিয়ে যায়। কখনও কখনও ৬টায়। ফিরতে ফিরতে বিকেল ৫টা বাজে। আমাদের ভয় করে। কিন্তু আর তো কোনও উপায় নেই।’’ এমন বাধা পেরিয়ে স্কুলে যাওয়ার সাহসিকতা দেখিয়ে সকল গ্রামবাসীর মন জয় করে নিয়েছে। বড় হয়ে কিরনা সেনাবাহিনীতে যোগ দিয়ে চায়। এতে তাঁর পাশে রয়েছে তাঁর পরিবার।

Saturdra River