গাড়ির শৌখিন ছিলেন কে কে, একাধিকবার নতুন গাড়ি নিয়ে মেরিন ড্রাইভে যেতেন হাঁটতে

বলিউড জগতের অন্যতম সিঙ্গার কে কে (KK) আর আমাদের মাঝে নাই। তার অকাল মৃত্যুতে সোশ্যাল মিডিয়া জুড়ে সকল ভক্তমণ্ডলী শোকাহত। পাওয়া খবর অনুযায়ী এই 53 বছর বয়সী সুরকার হার্ট এট্রাকে প্রাণ হারিয়েছেন। জানিয়ে রাখি, এই বিখ্যাত গায়ক সেই সময়ে কলকাতায় নজরুল মঞ্চে এসেছিলেন শো-অফ করতে এবং এই নজরুল মঞ্চই ছিল তার জীবনের শেষ পারফরম্যান্স। তারপর যখন তিনি শো শেষ করে হোটেলে ফিরে যান তার শরীর অসুস্থ্য হয়ে পড়েন এবং হসপিটালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসক মৃত বলে ঘোষণা করেন। কে কে -এর এই প্রয়াত সঙ্গীত জগতের একটি বড় ক্ষতি।

কে কে এই অকস্মিক মৃত্যুকে ভক্ত এবং তারকারা তাকে স্মরণ করে শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন ও আত্মার শান্তি কামনা জানিয়েছেন। এরই মধ্যে কে কে-এর এক পুরোনো সাক্ষাৎকার ও গল্প ভাইরাল হচ্ছে। তারই মধ্যে একটি গল্প হলো তার গাড়ি নিয়ে। আপনি কি জানেন যখনই তিনি নতুন গাড়ি কিনতেন, মেরিন ড্রাইভ ভ্রমণে বের হতেন। আপনারা হয়তো অবাক হচ্ছেন যে তিনি নতুন গাড়ি কিনেই কেন এন্ট্রি মারতেন মেরিন ড্রাইভে। এর পিছনে একটি গুরুত্বপূর্ণ কারণ রয়েছে, অসুন জানি?

আসলে সিঙ্গার কে কে (KK) বিলাসী জীবন যাপন করতে খুব পছন্দ করতেন। তিনি গাড়ি চড়তে খুব ভালোবাসতেন এক কথায় তিনি একজন গাড়ি প্রেমী ছিলেন। তার গ্যারেজে উপস্থিত রয়েছে অনেক নামিদামি কোম্পানির গাড়ি। তার এই গাড়ি সংযোগের পিছনে একটি মজার উপাখ্যান আছে। এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছিলেন, “আমি ছোট বেলা থেকেই গাড়ি খুব পছন্দ করি, কিন্তু আমার বাবা কখনই আমাকে গাড়ি চালাতে দিতেন না। তার বাবার একটি মারুতি গাড়ি উপস্থিত ছিল সেই সময় তার প্রেমিকা জ্যোতির সঙ্গে দেখা করতে যাওয়ার সমতেও তাকে গাড়ি ছাড়তেন না। সেই কারণে সে একটি ডুপ্লিকেট চাবিকাঠিও তৈরি করেছিলেন। কিন্তু মজার বিষয় ছিল তার বাবা সেই চাবিও লুকিয়ে রাখতেন।” যা তিনি হাসতে হাসতে একটি সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন।

তিনি আরো জানান গ্রীষ্মের সময় এসি ছাড়াই অনেক সময় যাতায়াত করতেন। তিনি লং ড্রাইভ খুব পছন্দ করতেন। এক সাক্ষাৎকারে সিঙ্গার কে কে জানিয়েছেন এখন তার কাছে চারটি নতুন গাড়ি উপস্থিত আছে। এবং তিনি বলেন যখন মুম্বাইয়ে এসেছিলেন মেরিন ড্রাইভ খুব ভাল লেগেছিল যা স্বরণীয় হয়ে থাকবে। তিনি মেরিন ড্রাইভ খুব পছন্দ করতেন। তাই স্ত্রী জ্যোতি ও তিনি মেরিন ড্রাইভ উপভোগ করতেন। তিনি এও জানান আমি যা নতুন গাড়ি নিই সব গুলোতেই মেরিন ড্রাইভ করে থাকি। সেখানে কিছু সময় কাটিয়ে তারপর ফিরে আসি। মেরিন ড্রাইভ আমার কাছে একটা শান্তির জায়গা এবং মনোরম পরিবেশ বলে মনে হয়।