আবর্জনায় পড়ে থাকা জিনিস দিয়ে ইলেকট্রিক বাইক তৈরী করলো ১২ শ্রেণীর ছাত্র, দাম ও মাইলেজ কপালে তুলবে চোখ

মানুষ যদি নিজের বুদ্ধির সঠিক ব্যবহার করতে পারে তাহলে যেকোনো অসাধ্যকে সাধ্য করে দেখাতে পারে। এই কথাটি পেওমান করে দেখিয়েছে নন্দনগরী বি ব্লকের ভীষ্ম পিতামহ সর্বোদয় বাল বিদ্যালয়ের দ্বাদশ শ্রেনীর কমার্সের ছাত্র শামীম। শামীম এর বাবা ইনভার্টার এর দোকানে কাজ করেন ও তার মাতা হাউসওয়াইফ।

এছাড়া শামীমরা ৪ ভাই বোন। শামীম ভাই-বোনদের মধ্যে সবচেয়ে ছোট। শামীম নিজের বুদ্ধি লাগিয়ে আবর্জনার দ্বারা একটি ইলেকট্রিক বাইক তৈরি করেছে। এই বাইকটির দাম মাত্র ৩০ হাজার টাকা। এই বাইকের বিশেষত্ব হল এটি একবার চার্জ করার পর টানা ১১০ কিমি দূরত্ব পর্যন্ত সহজেই চলাচল করতে পারবে। মাত্র চার্জে সহজেই ১১০ কিলোমিটার দূরত্ব অতিক্রম করতে পারে।

আর যেইভাবে পেট্রোলের দাম বাড়ছে, কম এই ইলেকট্রিক বাইকটি লোকেদের জন্য একটি ভালো বিকল্প প্রমাণিত হবে। একটি রিপোর্ট থেকে জানা গেছে সরকার যুকবকদের উৎসাহিত করার জন্য, দিল্লির সরকারি স্কুলগুলিতে যে বিজনেস ব্লাস্টার্স প্রোগ্রাম শুরু করেছিল, সেই প্রোগ্রামে অনেক ছাত্রর প্রতিভাই সামনে উঠে এসেছে।

শামীমের স্কুলেও এই প্রোগ্রাম হয়েছিল এবং এই প্রোগ্রামের কারণেই শামীম নিজের বুদ্ধি লাগিয়ে এই বাইকটি তৈরি করে। এই বাইকটি সরকার দ্বারা পাওয়া সিড মানি দ্বারা তৈরি করছে। এই সিড মানিটি শামীম বাদে আরো ৮ জন ছাত্রকে দেওয়া হয়েছিল কিন্তু পরে ৮ জন ছাত্রের সহমত নিয়ে বাকি ৮ জনের টাকাও শামীমকে দেওয়া হয়েছিল।

অর্থাৎ শামীমের কাছে মোট১৬০০০ টাকা জমা হয়েছিল। এরপর শামীম নিজেও সাত হাজার টাকা জুড়ে এই বাইকটি ২৩ হাজার টাকায় তৈরি করে ফেলে। আর নিজের পরিশ্রমের পরিমানকে জুড়ে শামীম এই বাইকের দাম ৩০০০০ টাকা ধার্য করে। শামীম জানিয়েছে এই বাইক বানানোর পর তিনি শিক্ষক, বন্ধু, আত্মীয়স্বজনের থেকে অনেক প্রশংসা পাচ্ছেন।

প্রমোদ জানিয়েছেন যে শামীমকে যখন বাইক অফার করা হয়েছিল তখন কারোর ধারণা ছিল না যে এত অল্প বয়সে এই ছেলেটি বাইক বানিয়ে ফেলবে। কিন্তু শামীম যখন তার তৈরি ইলেকট্রিক বাইকটি সবার সামনে নিয়ে আসে তখন সবাই তাকে নিয়ে খুব গর্বিত বোধ করেছিল। এখন পুরো স্কুল ও সবজায়গায় প্রশংসিত হচ্ছে শামীম।

প্রমোদ কুমার, স্কুলের এন্টারপ্রোনোর মাইন্ডসেট কারিকুলাম (ইএমসি) সয়োজক এসকে সিং-এর সাথে মিলে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন যে তারা শামীমের প্রকল্পের একটি পৃথক ফাইল তৈরি করে শিক্ষা বিভাগে পাঠাবেন, যাতে শামীম এগিয়ে যাওয়ার সুযোগ পায়।