টাকা সঞ্চয়ের এই সেরা ৭ টি উপায়, যা আপনাকেও বানাবে লাখপতি
কিভাবে টাকা কম খরচ করে সঞ্চয় করবেন, তার কিছু টিপস
আয় ও ব্যয়ের ভারসাম্য বাজায় না থাকলে সংসারে সব সময় অভাব লেগেই থাকবে। তাছাড়া বর্তমানে যে হারে জিনিসের দাম বাড়ছে, তাতে করে টাকা সঞ্চয় (Money Saving) করা খুব কষ্টকর। তাই ‘আয় বুঝে ব্যয়’ করতে হবে, কিন্তু সেটাই অনেক সময় হয়ে ওঠে না। এক্ষেত্রে আপনাকে এমন কিছু উপায় বার করতে হবে যাতে করে টাকা (Indian Ruppes) খরচ কম হয় এবং তার সাথে সঞ্চয় হবে। যেগুলি আমরা জানা সত্বেও মনোযোগ দিই না। চলুন তাহলে জানি কি কি বিষয়ের উপর খেয়াল রাখলে খরচ অনেকটাই কমে যাবে।
১. অনলাইন পেমেন্ট:-
বর্তমানে ক্রেডিট কার্ড বা ডেবিট কার্ড বা অনলাইনে পেমেন্ট করা খুব সহজ। আর তরুন প্রজন্ম এদিকেই বেশি ঝুঁকিপূর্ণ। তবে জানেন কি এটা অভ্যাস হয়ে গেলে আপনার খরচ বেড়ে যাবে আপনার অজান্তে। আর এতে আপনি টাকার হিসাব রাখতে পারবেন না। এতে করে আয় ও ব্যয় বুঝে ওঠা খুব মুশকিল।
২. বৈদ্যুতিক ডিভাইস:-
বাড়ির বিদ্যুতের জন্য প্রতি মাসে একটা মোটা টাকা গুনতে হয়। কিন্তু আমরা অনেক সময় এমন করি, বিনা কারণে অনেক ইলেকট্রিক ডিভাইস চালু রেখে দিই। কিন্তু এটার প্রতি আপনি যদি খেয়াল রাখেন, আপনার ইলেকট্রিক বিল কম আসতে বাধ্য। এতে করে আয় বাড়বে।
৩. পুরনো অব্যবহৃত জিনিস:-
ব্যবহারের পুরনো জিনিসগুলো যদি আপনার কাজে না লাগে সেটার মায়া কাটিয়ে বিক্রি করে দিন। যাতে করে আপনার কিছু পয়সা আসবে। এতে করে আপনি যদি কোন নতুন জিনিস কেনেন সেখানে আর্থিক সহযোগিতা পাবেন।
৪. ভাউচার বা ডিসকাউন্ট অফার:-
কোন কিছু জিনিস কেনার আগে কোথাও অফার চলছে কিনা ও কোন গিফট ভাউচার আছে কিনা খোঁজ নিয়ে জিনিস কেনাকাটা করা বুদ্ধিমত্তা। যে জিনিসগুলি আপনার পরে কিনলেও হবে, এমন জিনিস যখন অফার আসবে তার মাধ্যমে সংগ্রহ করতে পারেন।
৫. অপ্রয়োজনীয় খরচ বন্ধ:-
বর্তমানে শখ-সাধের জন্য অপ্রয়োজনীয় জিনিসের উপর খরচ বেরে যাচ্ছে। খেয়াল রাখতে হবে অপ্রয়োজনীয় জিনিসের ওপর জানো খরচ বেশি না হয়।
৬. মোবাইল ও ইন্টারনেট সংযোগ:-
আমাদের প্রয়োজন অনুযায়ী মোবাইল ইন্টারনেট প্ল্যান ব্যবহার করতে হবে। বর্তমানে মোবাইলের রিচার্জ প্ল্যান বহু রয়েছে। যদি আপনার বাড়িতে ওয়াইফাই কানেকশন থাকে তাহলে প্ল্যানগুলো চেক করে রিচার্জ করুন।
৭. রেস্তোরার খাবার :-
বর্তমানে রেস্তোরাঁ বা বড় হোটেলে খাবার খাওয়ার প্রবণতা বেশি। আপনি যদি কর্মসূত্রে প্রতিদিন বাইরে যান, তাহলে বাড়ির বানানো খাবার সঙ্গে করে নিয়ে যান। এতে আপনার খরচ কমবে এবং শরীরও ভালো থাকবে।