সমুদ্রের তলদেশে হদিস মিললো বিশালাকার বনের,আয়তনে ভারতের দ্বিগুণ
সমুদ্রের তলদেশে মিলল বনভূমি
পৃথিবীতে তিন ভাগ জল আর এক ভাগ স্থল। এই জল বেশির ভাগটাই সমুদ্রে ঘেরা। সমুদ্রের নীচে বিভিন্ন প্রজাতির জীবের বসবাস। এছাড়া নানা প্রজাতির উদ্ভিদও রয়েছে। তবে শুনলে আশ্চর্য হবেন যে, সমুদ্রের নীচেও রয়েছে ঘন বন। অনেকেই জানেন আমাজন, বোর্নিও, কঙ্গো, ডাইনট্রি হলো বিশ্বের বৃহত্তম ও বিখ্যাত বন। তবে সমুদ্রের নীচে বনের অস্তিত্বের কথা আপনি নিশ্চই এই প্রথম শুনলেন। কিন্তু এটা সত্য। সম্প্রতি একদল গবেষক সমুদ্রে বনের (Sea Forest) সন্ধান পেয়েছেন। আজকের প্রতিবেদনে আপনাদের এ নিয়ে বিস্তারিত জানাবো।
সমুদ্রের গভীরে সন্ধান পেলো বনের। পৃথিবীর নানা অংশে এইগুলি ছড়িয়ে রয়েছে। এদের সমগ্র আয়তন ভারত বর্ষের দ্বিগুন। বনগুলি সম্পর্কে অনেকে জানেন না, কেননা এগুলি নামহীন। সামুদ্রিক প্রজাতির একটা বিশাল অংশ এই বনে বসবাস করে। দক্ষিণ আফ্রিকার উপকূল এবং গ্রেট সাউদার্ন রিফের নীচে রয়েছে গ্রেট আফ্রিকান সিফরেস্ট(Great African Sea Forest)। সম্প্রতি এই নিয়ে গবেষণা করা হচ্ছিল, যেখানে সমুদ্রের অভ্যন্তরে নতুন নতুন বনের অস্তিত খুঁজে পেয়েছেন। এই গবেষণা পত্রটি গ্লোবাল ইকোলজি অ্যান্ড বায়োজিওগ্রাফি জার্নালে (Global Ecology And Biogeography Journal ) প্রকাশ পেয়েছে।
প্রসঙ্গত, অত্যাধিক গরমের কারণে যেভাবে স্থল ভাগের বনভূমি ধ্বংস হচ্ছে, একই ভাবে জ্বলছে সমুদ্রের নিচে থাকা বনগুলি। এমনই তথ্য উঠে এসেছে ওই গবেষণায়। তবে ভাবছেন নিশ্চই সমুদ্রের নিচে কিভাবে বন জ্বলবে? আসলে সমুদ্রের তাপমাত্রা দিন দিন বাড়ছে। তাপমাত্রা বৃদ্ধির ফলে সমুদ্রের অভ্যন্তরে বন তৈরির পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে। দিন দিন জলবায়ুর পরিবর্তন (Climate Change) বনগুলির বৃদ্ধি ও কার্বন শোষণ করার ক্ষমতা কমিয়ে দিচ্ছে।
গবেষণায় বলা হয়েছে, সামুদ্রিক বনগুলি শৈবালে ঘেরা। স্থলভাগের মতো বড় বড় গাছ না থাকলেও, শৈবাল দ্বারা গঠিত বনগুলি অনেকটা জায়গা জুড়ে বিস্তৃত। সূর্যের আলো ব্যাবহার করে সালোকসংশ্লেষণের মাধ্যমে উদ্ভিদগুলি বেড়ে ওঠে। সামুদ্রিক ঢেউয়ের সাথে শৈবাল গুলি নরা চড়া করে। এই বনের মধ্যে অনেক সামুদ্রিক প্রাণী বাসা বাঁধে।