সফল হল বিজ্ঞানীদের চেষ্টা কমে গেল ইঁদুরের বয়স,তাহলে এ বার কি উল্টো দিকে ঘুরবে মানুষের বয়সের চাকা?

অনেক মানুষেরই স্বপ্ন থাকে তাদের বয়সটা যদি কিছুটা কমিয়ে দেওয়া যেতো বা তারা যদি কিছুটা তরুণ হয়ে যেত। বয়সের সংখ্যাটা যদি উল্টো দিকে ঘুরিয়ে দেওয়া যেত, এমনই কিছু মানুষের ভাবনা। হার্ভাভ মেডিকেল স্কুলের একদল গবেষক এই নিয়ে গবেষণা করছে দিনরাত। নতুন আশার আলো দেখা দিয়েছে, তারা এমনটাই জানিয়েছেন।

তারা একটি ইঁদুরের বয়স কমিয়ে দিয়েছে। তার যথেষ্ট বয়স হয়েছিল। কিন্তু তারা বিশেষ ধরনের প্রোটিন বয়স্ক প্রোটিনকে পুনরায় স্টেম সেলে নিয়ে গিয়েছেন। ২০২০ সালে এই পদ্ধতি কাজে লাগিয়ে ইঁদুরের চোখের দৃষ্টিও তারা ফিরিয়ে দিয়েছিলেন। বয়সের কারণে ইঁদুরের রেটিনা নষ্ট হয়ে যাচ্ছিল। সময়ের সাথে কিন্তু গবেষণাকারীরা ওই রেটিনা কোষগুলোকে পুনর্জীবিত করেছেন।

এবারও এই পদ্ধতি কাজে লাগিয়ে ইঁদুরের বয়স কমিয়ে ফেলা হয়েছে। যদিও কৃত্রিমভাবে প্রথম চেষ্টা করেছিলেন জাপানি বিজ্ঞানী শিনইয়া ইয়ামানাকা। সালটা ছিলো ২০০৭ সাল। এই আবিষ্কারের জন্য তিনি নোবেল পুরস্কারও জিতেছিলেন। তবে হার্ভার্ভ মেডিকেল স্কুলের গবেষকরা এই প্রচেষ্টা চালাচ্ছেন। অবশেষে তারা সফল হল।

ইঁদুরের শরীরে পরীক্ষা চালাতে গিয়ে প্রোটিন ও জিনগতভাবে পরিবর্তন এনেছেন বিজ্ঞানীরা। ইঁদুরটি বয়স্ক হলেও তার ওপর কোন বয়সের প্রভাব পড়েনি। গবেষকরা জানিয়েছেন, জীব বিদ্যার ক্ষেত্রে নতুন দিক উন্মোচন হতে চলেছে। তবে এখনো কোন ফাইনাল সিদ্ধান্তে আসেননি গবেষকরা। আরও পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর তারা ফাইনাল সিদ্ধান্ত নিতে পারবেন।