মঙ্গল গ্রহে বসে কে বই পড়ছে? নাসার রোভারের তোলা ছবি দেখে তাজ্জব বিজ্ঞানীরা

পৃথিবীর বাইরে অন্য কোন গ্রহে প্রাণের অস্তিত্ব আছে কিনা, সেবিষয়ে বিজ্ঞানীরা প্রতিনিয়তই অনুসন্ধান করে চলেছেন। এই বিষয়ে নানারকম পরীক্ষা নিরীক্ষা করার জন্য মঙ্গল গ্রহে ইতিমধ্যেই বেশ কয়েকটি মিশন পাঠিয়েছে মার্কিন মহাকাশ সংস্থা নাসা। নাসার কিউরিসিটি মার্স রোভার রয়েছে এরমধ্যে অন্যতম।

গত মাসের ১৫ তারিখে, যখন কিউরিসিটি রোভার লাল গ্রহে তার ৩৮০০0 তম মঙ্গল দিবস উদযাপন করেছিল, তখন একটি ছবি তোলা হয়েছিল। ছবিতে একটি পাথর দেখা যায়, যার নাম টেরা ফার্ম। টেরা ফার্মকে ছবিতে একটি বইয়ের খোলা পাতার মত দেখাচ্ছে। দেখে মনে হচ্ছে কেউ বইটি পড়ার জন্য খুলেছে। মার্স হ্যান্ড লেন্স ইমেজার (MAHLI) এর সাহায্যে তোলা ছবিতে পাথরের আকার প্রায় ২.৫ সেন্টিমিটার।

img 20230523 201016

নাসার জেট প্রপালশন ল্যাবরেটরি অনুসারে, মঙ্গল গ্রহে সাধারণত অস্বাভাবিক চেহারার অনেক পাথর দেখা যায়। নাসা বলেছে, এই ধরনের শিলা অতীতে থাকা ফাটলগুলির মধ্য জল জমে তৈরি হয়েছিল। মঙ্গল গ্রহের বিভিন্ন এলাকায় এ ধরনের শিলা পাওয়া যায়, যা থেকে বোঝা যায় যে একসময় এই গ্রহে জল ছিল।

নাসার কিউরিওসিটি মার্স রোভার আগস্ট ২০১২ সালে মঙ্গলে পৌঁছেছিল। এটি একটি গাড়ির আকারের একটি মোবাইল ল্যাব। কিউরিওসিটি মার্স রোভারের উদ্দেশ্য হল মঙ্গল গ্রহের জলবায়ু, ভূতত্ত্ব ইত্যাদি খুঁজে বের করা। অতীতে এই গ্রহটি জীবনের জন্য কতটা অনুকূল ছিল এবং ভবিষ্যতে কী কী সম্ভাবনা রয়েছে তাও জানা যাবে।

কিউরিওসিটি মার্স রোভারে ক্যামেরা, স্পেকট্রোমিটার ও সেন্সরসহ আধুনিক সব যন্ত্রপাতি বসানো হয়েছে। রোভার যে ডেটা সংগ্রহ করছে তা বিজ্ঞানীদের গ্রহের ইতিহাস এবং বিকাশ বুঝতে সাহায্য করবে। চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে কিউরিওসিটি রোভারের তোলা কিছু ছবি শেয়ার করেছে নাসা। তা দেখে মনে হল, মঙ্গল গ্রহে নিশ্চয়ই কোনো জলের হ্রদ ছিল। নাসা সম্ভাবনা উত্থাপন করেছিল যে এটি একটি প্রাচীন হ্রদের চিহ্ন হতে পারে। যেখানে ছবিটি তোলা হয়েছে সেটি সালফেট বিয়ারিং ইউনিট নামে পরিচিত।