ঐন্দ্রিলার সাথে থমকে গেলো সব্যসাচীর কলম! নিলেন জীবনের বড়োসড়ো সিদ্ধান্ত

নিয়ে এসেছিলেন নিজের হাতে করেই, চেয়েছিলেন নিজের হাতেই ফিরিয়ে নিয়ে যেতে। কিন্তু হল না শেষরক্ষা। দীর্ঘ ২০ দিন লড়াইয়ের পর না ফেরার দেশে চলে গেলেন অভিনেত্রী ঐন্দ্রিলা শর্মা (aindrila sharma), একা করে চলে গেলেন তাঁর কাছের মানুষ, ভালোবাসার মানুষ অর্থাৎ প্রেমিক তথা অভিনেতা সব্যসাচী চৌধুরীকে (sabyasachi chowdhury)। রবিবার বেলা ১২ টা বেজে ৫৯ মিনিটে দীর্ঘ লড়াইয়ের পর মৃত্যুর কোলে ঢোলে পড়েন তিনি।

ক্যালেন্ডার গুনে ঐন্দ্রিলা এবং সব্যসাচীর এই লড়াইয়ের হিসাব করা সম্ভব নয়। তবে প্রতিটা মুহূর্তেই এই লড়াইয়ে ঐন্দ্রিলার পাশে ছিলেন তাঁর প্রেমিক সব্যসাচী। কিন্তু ঐন্দ্রিলা চলে যাওয়ার পর কেমন আছেন সব্যসাচী, তা জানার জন্য উৎসুক হয়ে রয়েছে গোটা বঙ্গবাসী। এই পরিস্থিতিতে সব্যসাচীর (sabyasachi chowdhury) খোঁজ নিলেন তাঁরই কাছের বন্ধু কাছের সৌরভ দাস (saurav das)।

img 20221121 102447

এদিন সব্যসাচীর বিষয়ে সৌরভ জানান, ‘২০১৭ সালে ”ঝুমুর” ধারাবাহিকের সেটে আলাপ হয় ওদের দুজনের। তবে ”প্রথম দেখায় প্রেম” এমন কথায় একদমই বিশ্বাস ছিল না ঐন্দ্রিলার। যদিও তাদের মধ্যে এমনটা হয়নি। তাদের শুরুটা হয়েছিল বন্ধুত্বের হাত ধরেই’।

img 20221121 102427

সৌরভ জানান, ‘ঐন্দ্রিলা শ্যুটিং থেকে ছুটি পেলেই বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডা দিত। সেই বন্ধুমহলের মাধ্যমেই তাদের মধ্যে ফোন নম্বর আদান প্রদানের পর ফোনালাপ ও চলত। এরপর ধীরে ধীরে তাদের সম্পর্ক মোড় নেয় ভালোবাসায়। তারপর দীর্ঘ ৫ বছরের প্রেম, ঘর বাঁধার স্বপ্ন সবকিছুই অধরা রয়ে গেল’।

img 20221121 102504

ঐন্দ্রিলার অসুস্থতার বিষয়ে সৌরভ জানান, ‘এইভাবে চলতে চলতে ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারিতে কাঁধে যন্ত্রণা শুরু হয় ঐন্দ্রিলার। রিপোর্টৈ ধরা পরে ডান দিকের ফুসফুসে টিউমার তৈরি হয়েছে তাঁর। শুরু হয় কঠিন কেমো চিকিৎসা। পুরো সময়টা দুজন দুজনের হাত ধরে থাকলেও শেষরক্ষা হল না। একটা মিষ্টি প্রেমের গল্প অপূর্ণ রেখে সব্যর হাতটা ছেড়ে চলে গেল ঐন্দ্রিলা’।

img 20221121 102407

ঐন্দ্রিলা চলে যাওয়ার পর এক কঠিন সিদ্ধান্ত নিলেন সব্যসাচী। সৌরভ জানান, ‘ঐন্দ্রিলা চলে যাওয়ার পর খুবই ভেঙ্গে পড়েছে সব্য। ভেঙ্গে পড়েছে ঐন্দ্রিলার পরিবারও। আমি ওকে বলেছি একফোঁটাও চোখের জল না ফেলে ঐন্দ্রিলার পরিবারের পাশে দাঁড়াতে’।

সৌরভ আরও জানান, ‘এতদিন ধরে স্যোশাল মিডিয়ায় ঐন্দ্রিলার স্বাস্থ্যের খোঁজ-খবর ভাগ করে নিচ্ছিল সব্যসাচী (sabyasachi chowdhury)। তাই আপনারা যদি ভাবেন ও এখনও ফেসবুকে পোস্ট করবে, তাহলে ভুল করবেন। যে ”মিষ্টি”র কথাতেই ও লিখতে শুরু করেছিল, সেই আর না থাকায় ঐন্দ্রিলাকে নিয়ে আর কিছু লিখবে না বলেই জানিয়েছে সব্য’।