আমেরিকার চাকরি কে না করে ফিরে আসেন গ্রামে, দুর্দান্ত আইডিয়া লাগিয়ে শুরু করেন ব্যবসা, আজ ২ হাজার কোটি টাকার মালিক

ফিনটেক ইউনিকর্ণ রেজরপে এখন ৭.৫ বিলিয়ান ডলার কোম্পানিতে পরিণত হয়েছে। এটি কোম্পানির মূল্যায়ন। কোম্পানি মোটামুটি ৩৭৫ মিলিয়ান ডলারের ফান্ডিং পাওয়ার পর এই ভ্যালুয়েশনও বেড়ে গেছে। পেটিএম এর পর রেজরপে এলহন ভারতের দ্বিতীয় সবচেয়ে মূল্যবান স্টার্টআপ-এ পরিণত হয়েছে।

অক্টোবর ২০২০ তে রেজরপে-র মূল্য ১ বিলিয়ান ডলার ছিল। ২০২১ সেটা বেড়ে গিয়ে ৩ বিলিয়ান ডলারে পরিণত হয়েছিল। রেজরপে-র সিইও আর সহ সংস্থাপক হর্ষিল মাথুর জানিয়েছেন যে তারা কয়েক বছর ধরে লম্বা একটা যাত্রা করে এসেছেন এবং আগেও অনেক কিছু করার পরিকল্পনা রয়েছে তাদের। তারা বিশ্বাস করেন যে তারা আগে গিয়ে ভারতের প্রতিটি অঞ্চলে পেমেন্ট ও ব্যাঙ্কিংয়ের পদ্ধতি গুলির মধ্যে বদল ঘটাবে।

রেজরপে কোম্পানি ভারতের বৃহত্তম পেমেন্ট গেটওয়েগুলির মধ্যে অন্যতম। অনেক অনলাইন ব্যবসার মতো এই কোম্পানিটিও করোনা মহামারীর বিপর্যয়কে সুযোগে পরিণত করেছে। কারণ সেই সময়ে সবকিছু অনলাইনে করা হচ্ছিল।

কোম্পানি ব্যবসায় ওয়েবসাইট বা অ্যাপের মাধ্যমে অনলাইন পেমেন্ট গ্রহণ, প্রক্রিয়াকরণ এবং বিতরণ করার জন্য পরিকাঠামো প্রদান করে। এর উদ্দেশ্য হল অর্থের লেনদেন এবং ব্যবস্থাপনাকে ঝামেলামুক্ত করা। বছরের পর বছর এই কোম্পানিটি তাদের পোর্টফোলিও সম্প্রসারিত করেছে।

রেজরপে-এর দুইজন প্রতিষ্ঠাতা রয়েছে, শশাঙ্ক কুমার ও হর্ষিল মাথুর। দুজনেই আইআইটি রুরকি থেকে পড়াশোনা করেছেন। শশাঙ্ক পাটনার বাসিন্দা যার বাবা এসবিআইতে চাকরি করতেন। আইআইটি, রুরকি থেকে পড়াশোনা শেষ করার পরে শশাঙ্ক মাইক্রোসফ্ট সিয়াটেলে একজন সফ্টওয়্যার ডেভেলপমেন্ট ইঞ্জিনিয়ার হিসাবে কাজ করেছেন৷ আর হর্ষিল চলে গেছিলেন সময়ে মধ্য-পূর্ব দেশে কাজ করতে চলে গিয়েছিলেন।

শশাঙ্ক একবার বলেছিলেন যে তিনি আর হর্ষিল অনেক প্রকল্পেই একসঙ্গে কাজ করতেন। ২০১৪ তেও তারা একটি ক্রাউডসোর্সিং প্ল্যাটফর্মের উপর কাজ করছিলেন। তখন তারা বুঝতে পেরেছিলেন যে অনলাইন পেমেন্ট গেটওয়েগুলি খুব জটিল ছিল। এরপর তারা বেশ কয়েকটি পেমেন্ট গেটওয়ে কোম্পানির সাথে যোগাযোগ করেছিলেন এবং জানতে পারলেন যে সেই পরিষেবাগুলি তেমন ভালো নয়। এমনকি টেকনিক্যালিও খুবই খারাপ ছিল পরিসেবা গুলি। এই ধরনের খারাপ অভিজ্ঞতার সম্মুখীন হওয়ার পর তারা অনলাইন পেমেন্টের সমস্যার সমাধান করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন।

রেজরপে থেকে ১০০ টিরও বেশি মুদ্রায় লেনদেন হয় যার কারণে বিশ্বজুড়ে এর নাগাল অনুমান করা যায়। এছাড়াও, সংস্থাটি ২৫টিরও বেশি পণ্য সরবরাহ করে।