অভিনয় করতে গিয়ে পেতে হয়েছে অভিশাপ, অভিমান নিয়েই জগৎ ত্যাগ করলেন সঙ্ঘমিত্রা বন্দ্যোপাধ্যায়

বলিউড হোক বা টলিউড যে কোনো সিনেমাতেই খলনায়িকা চরিত্র বড় রকম ছাপ ফেলে দর্শকদের মনে। তাদের শয়তানি যে কোনো মুভিতে বা ছোট পর্দার সিরিয়ালে অন্য মাত্রার অনুভূতি এনে দেয় দর্শকদের মনে। তবে বাস্তব জীবনে সেইসব খলনায়িকারা সম্পূন্ন ভিন্ন প্রকৃতির। তাঁরা যথেষ্ট ভালো, হাসি খুশি এবং প্রাণবন্ত মানুষ। টলিউড জগতে এমনি প্রাণবন্ত খলনায়িকার চরিত্রে অভিনয় করা অভিনেত্রী হলেন, সদ্য চলে যাওয়া সংঘমিত্রা ব্যানার্জি।

টলিউডের বহু সিনেমাতে সংঘমিত্রা ষড়যন্ত্রকারীর বা নেগেটিভ চরিত্রে অভিনয় করতেন। তিনি শয়তানির অভিনয় করে যে কোনো সিনেমাকে ফুটিয়ে তোলার দক্ষতা রাখতেন। তবে তিনি বাস্তব জীবনে যথেষ্ট ভিন্ন প্রকৃতির মানুষ ছিলেন, হাসি খুশি এবং পরম স্নেহময়ী ছিলেন। তিনি দেখতেও যথেস্ট সুন্দরী ছিলেন।

সংঘমিত্রা অভিনয় জগতে এসেছিলেন হুট করে। তাঁর নিজেরো কোনো পরিকল্পনা ছিলো না তাঁর অভিনয় জগতে আসবার। ঘটনাচক্রে সংঘমিত্রা মহানায়ক উত্তম কুমারকে দেখার উদ্দেশ্য শুটিং ফ্লোরে আসেন।

তখন উত্তমকুমারের “কলঙ্কিনীর কঙ্কাবতীর” অভিনয় চলছিলো। পরিচালক নতুন মুখ খুঁজছিলেন ওই সিনেমার চরিত্রে অভিনয়ের জন্য। পরিচালক শুটিং ফ্লোরে সংঘমিত্রাকে পছন্দ করেন। সংঘমিত্রা প্রথমবার উত্তমকুমারের সাথে শট দেন। এরপর ‘অমৃত কুমার সন্ধান’ সিনেমাই রামজী দাসী সাধিকার চরিতে অভিনয় করে দর্শকদের মনে জায়গা করে নেন। এরপর একের পর এক সিনেমাতে তিনি অভিনয় করতে থাকেন।

অনেকে তাঁর অভিনয় দেখে অভিশাপও দিতেন তাঁকে। তবে এই প্রাণবন্ত অভিনেত্রী শেষ জীবনে ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে পরলোক গমন করেন মাত্র ৬০বছর বয়সে। তিনি যে ক্যান্সারে আক্রান্ত এটা তিনি কাউকে জানাননি। তাঁর ছেলে অনুরাগ ব্যানার্জি মায়ের শেষকৃত্য সম্পূর্ণ হওয়ার পর জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন তাঁর মায়ের নির্দেশেই তিনি কাউকে জানাননি

Related Articles

Back to top button