তারকা শুধু কী অভিনেতারাই! কেন অভিনেত্রীদের বিচার হয় অন্য ভাবে? বিস্ফোরক বলি অভিনেত্রী রাভিনা ট্যান্ডন

একসময় আমাদের সমাজ পুরুষতান্ত্রিক সমাজ (Male Dominated Society) ছিল। এখনো যদিও আছে অনেকটা তবে ধীরে ধীরে মানুষের চিন্তাধারা পরিবর্তন হচ্ছে ও মানুষ ইকুয়ালিটিতে (Equality) বিশ্বাস করছে। অর্থাৎ মেয়ে ও ছেলের সমান অধিকার (Equal right of men and women)  থাকবে এমকনটাই বলছে আমাদের সমাজ। যদিও মুখে আমাদের সমাজ যায় বলুক এখনো কিন্তু সব ক্ষেত্রে নারীরা পুরুষদের মতো সমান অধিকার পায় না। এবার সেটা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হোক, চাকরি হোক কিংবা খেলাধুলা। আর যদি ভারতীয় ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির মধ্যে ১ নম্বর স্থানে থাকা বলিউড ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির (Bollywood film industry)  কথা বলা হয় সেখানেও ইকুয়ালিটি কথাটা মানুষের মুখে থাকলেও কাজের দিক থেকে লিঙ্গ ভেদাভেদ (Difference between male and female) রয়েই গেছে। যেমন- অভিনেতারা যত বয়স হয়ে যাক কাজের সুযোগ পেতেই থাকে কিন্তু মেয়েরা বিয়ে বা বাচ্চা হয়ে গেলে ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিকে বিদায় জানিয়ে দিতে হয়, তারপর পুরুষরা চিরকাল ‘সুপারস্টারডম’ উপভোগ করে আর মহিলাদের ফেলা হয় যুগ এবং সৌন্দর্যের তালিকায় এবং শুধু অভিনেতারাই সুপারস্টার হয় কিন্তু কোনো অভিনেত্রী কখনো হয় না।

Raveena Tandon

বলিউডের (Bollywood film industry) এই ভেদাভেদ সবার নজরে পড়লেও কেউ এর বিরুদ্ধে আওয়াজ তোলেনি আজ পর্যন্ত। যদিও এই ভেদাভেদ যে শুধু বলিউডে আছে তা কিন্তু নয় সব ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতেই রয়েছে এই ভেদাভেদ। কিন্তু অবশেষে এখন বলিউডের জনপ্রিয় অভিনেত্রী (Bollywood actress) রবীনা টন্ডন (Raveena Tandon)  এই বিষয় মুখ খুলেছেন। তিনি এই ভেদাভেদের বিষয় তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে প্রশ্ন তুলেছে যে এটা কী মেয়েদের প্রতি ঠিক বিচার করা হচ্ছে ? এমন ভেদাভেদ কেন করা হবে? আসুন এই আর্টিকেলের মাধ্যমে এই বিষয় বিস্তারিত জেনেনি।

বলিউড অভিনেত্রী (Bollywood actress) রবীনা টন্ডন (Raveena Tandon) সংবাদ মাধ্যমের সঙ্গে কথা বলার সময় বলেছেন- “আমি মিডিয়াকেও জিজ্ঞাসা করেছি, কেন অভিনেতা ও অভিনেত্রীদের বিচারের আলাদা মানদণ্ড থাকবে? যখন আমির খান ২-৩ বছরের বিরতি নিয়ে আবার কাজে ফিরলেন, সেটাকে ‘কামব্যাক’ বলা হল না। বলা হবে না, ‘৯০-এর দশকের সুপারস্টার আমির এখন আমাদের সঙ্গে রয়েছেন’। অনেক প্রতিবেদনে বরং দেখি, ‘৯০-এর দশকের জনপ্রিয় অভিনেত্রী মাধুরী দীক্ষিত এখন এই সব করছেন। কী ভাবে প্রতিনিয়ত এই দৃষ্টিভঙ্গিকে সমর্থন করা হচ্ছে? সলমন খান বা সঞ্জয় দত্তের বয়স নিয়ে এ ধরনের কথা হওয়ার সম্ভাবনা নেই কিন্তু!”

Raveena Tandon and Pankaj Tripathi

রবীনা সঙ্গে সংবাদ মাধ্যমের কথোপকথন চলাকালীন সেখানে উপস্থিত ছিলেন অভিনেতা ‘পঙ্কজ ত্রিপাঠী’ (Pankaj Tripathi)। তিনি এই কথার বিষয় ঢুকে পরে মন্তব্য করেন যে এখন ওটিটি-এর যুগে স্টারডম গুরুত্বপূর্ন নয় এখন গুরুত্বপূর্ন বস্তু হলো ভালো কন্টেন্ট। কোন ছবি কত ব্যবসা করলো সেটা ইম্পর্টেন্ট নয়। পঙ্কজ ত্রিপাঠী (Pankaj Tripathi) বলেন- “কার সিক্স প্যাক আছে, আর কার নেই— এ সব আর দেখা হয় না। অবশ্যই এটা বড় পর্দায়ও গুরুত্ব পাওয়ার কথা নয়। ভাল গল্প হলে, ৩০ সেকেন্ড পরে লোকে এ সব ভুলে সিনেমায় মন দেয়। আমার মনে হয়, বয়স, চেহারা ওটিটিতে কোনও আলাদা প্রভাব ফেলে না।” এরপর রবীনা আবার পঙ্কজের কথা কেটে দিয়ে মন্তব্য করে যে “প্রশংসা পেলে অতি বিনয়ী হয়ে পড়ার অভ্যাস ভাল নয়!”