Rapid Rail Vs Vande Bharat Express: র্যাপিড রেল বন্দে ভারতের মধ্যে কী রয়েছে পার্থক্য! জানুন কার স্পিড বেশি
র্যাপিড রেল বন্দে ভারতের মধ্যে কী রয়েছে পার্থক্য
চলতি বছরেই দেশে শুরু হতে চলেছে র্যাপিড রেল পরিষেবা (Rapid Rail Service)। ইতিমধ্যেই সাহেবাবাদ থেকে গাজিয়াবাদের দুহাই পর্যন্ত এই ট্রেনের ট্রায়াল সম্পন্ন হয়েছে। যেখানে ট্রেনটির গতিবেগ ছিল ঘন্টায় ১৬০ কিমি। এর আগে দূহাই থেকে গুলধর স্টেশন পর্যন্ত এই ট্রেনের ট্রায়াল হয়েছিল। দ্রুত চালু হবে এই দ্রুতগামী ট্রেন। প্রসঙ্গত, এর আগে দেশ জুড়ে চালু হয়েছে বন্দে ভারত এক্সপ্রেস। এই দুটি ট্রেনই দুই ধরণের। তবে এই ট্রেন দুটির মধ্যে রয়েছে কিছু পার্থক্য। র্যাপিড রেল ও বন্দে ভারত এক্সপ্রেসের (Rapid Rail Vs Vande Bharat Express) মধ্যে পার্থক্য জেনে নিন।
গতির কথা বলতে গেলে র্যাপিড রেলের গতি বেশি নাকি বন্দে ভারতের গতি বেশি তা নিয়ে মিনে প্রশ্ন জাগেই। যদি র্যাপিড রেলের কথা বলি, তবে এটি ঘন্টায় ১৮০ কিলোমিটার গতিবেগ অতিক্রম করতে সক্ষম। সম্প্রতি র্যাপিড রেলের ট্রায়াল করা হয়েছে গাজিয়াবাদের সাহিবাদ থেকে মিরাটের দুহাই (Sahibabad to Duhai ) পর্যন্ত। প্রথম ধাপে এখানেই চালু হবে এই ট্রেন। অন্যদিকে বন্দে ভারত এক্সপ্রেসের গতির কথা বললে এটি ঘন্টায় ১৬০ কিলোমিটার গতি তুলতে সক্ষম। যদিও এই ট্রেনের সর্বোচ্চ গতিবেগ ১৮০ কিমি প্রতি ঘন্টায়।
দ্রুতগামী এই র্যাপিড রেলটি খুবই সুন্দর ভাবে ডিজাইন করা হয়েছে। যেখানে থাকবে ডাইনামিক রুট ম্যাপ, অটো কন্ট্রোল অ্যাম্বিয়েন্ট লাইটিং সিস্টেম, হিটিং ভেন্টিলেশন এবং এয়ার কন্ডিশনিং সিস্টেমের মতো সুবিধা। এছাড়া থাকবে আরো অন্যান্য ফিচার। অন্যদিকে বন্দে ভারত এক্সপ্রেসের ডিজাইনও খুব সুন্দর। এটি সুধাংশু মনি (Sudhanshu Mani) দ্বারা ডিজাইন করা হয়েছে। এই ট্রেন চালু হওয়ার পর থেকেই মানুষ এটি খুবই পছন্দ করেছেন।
এছাড়া র্যাপিড রেল ট্রেনটি তৈরি করেছে চেন্নাইয়ের ইন্টিগ্রেটেড কোচ ফ্যাক্টরি (ICF)। এটিই দেশের প্রথম ইঞ্জিন বিহীন ট্রেন এবং ভারতের প্রথম সেমি হয় স্পীডের ট্রেন। যার গতি ঘন্টায় ১৬০ কিমি। অন্যদিকে র্যাপিড রেলটি ৯টি কোচ বিশিষ্ট হতে চলেছে। যেখানে মহিলাদের জন্য আলাদা ভাবে কোচ সংরক্ষণ করা হবে। থাকবে মোবাইল চার্জিং থেকে শুরু করে ওয়াই-ফাই এর মত সুবিধা।