একসময় চাকরি না পেয়ে করতে চেয়েছিলেন আত্মহত্যা, আজ 30 হাজার কোটি টাকার কোম্পানির মালকিন

বলা হয় যে পরিশ্রম করা সত্ত্বেও যদি কখনো কখনো অসফলতার সম্মুখীন হতে হয় তাহলে হাল ছেড়ে দিতে নেই। আবার চেষ্টা করার জন্য উঠে দাঁড়ানো উচিত। একদিন না একদিন সফলতা ঠিক মিলবে। কিন্তু আজকালকার ছেলে মেয়েরা একটু কিছু হলো কি না হলো নিজের জীবনকে শেষ করে দেওয়ার জন্য প্রস্তুত হয়ে যায়। গবেষণায় দেখা গেছে যে আজকালকার ছেলে-মেয়েদের মধ্যে অসফলতার সম্মুখীন হওয়ার সাহস নেই বললেই চলে।

তাই তারা অসফলতা বা কোনো সমস্যার সম্মুখীন হলেই নিজের জীবনকে শেষ করে দেওয়া কথা ভাবে। আজ আমরা এই আর্টিকেলে যেই যুবতীর বিষয় আলোচনা করতে চলেছি তিনিও আজকালকার ছেলে-মেয়েদের মতোই চাকরি পেতে অসফল হওয়ায় আত্মহত্যা করতে গেছিলেন কিন্তু তার বন্ধু এসে তাকে বাঁচিয়ে নিয়েছিল। এই যুবতীর নাম হচ্ছে রাধিকা গুপ্তা (Radhika Gupta)। ইনি আজ কোটি টাকার মালিক। ভাবুন তো তিনি যদি সেদিন আত্যহত্যা করে নিত কত বড় আনন্দকে হারাতো। তাই কখনো আমাদের অসফল হওয়ার কারণে জীবন শেষ করার কথা ভাবা উচিত না। কিছু ভালো জিনিস আমাদের জন্য অপেক্ষা করে থাকে শুধু একটু অপেক্ষা আর পরিশ্রমের প্রয়োজন হয়। আজ আমরা এই আর্টিকেলে সক্ষেপে বলবো কোটিপতি বিজনেস ওম্যান রাধিকা গুপ্তার সফলতার গল্প।

Radhika Gupta

মায়ের সাথে করা হতো তুলোনা

রাধিকা গুপ্তা (Radhika Gupta) জানিয়েছেন যে তার মা তার স্কুলেরই শিক্ষিকা ছিলেন। আর রাধিকার তুলোনা সবসময় লোকে তার মায়ের সাথে করতো। কারণ রাধিকার মা একজন অতিব সুন্দর ও শক্তিশালী মহিলা ছিলেন। রাধিকা আরো জানায় যে লোকে তাকে বলতো যে সে তার মায়ের মতো সুন্দর ও গুণী নয়। আর এই কথা গুলো শুনে রাধিকার সেল্ফ-কনফিডেন্সও ভেঙে যেত।

৭ নম্বর ইন্টারভিউতে ফেল হওয়ার পর আত্মহত্যা করার চেষ্টা করেছিলেন

রাধিকা জানান যে তার কলেজ কমপ্লিট হওয়ার পর ২২ বছর বয়সে তিনি যখন প্রায় ৭ খানা ইন্টারভিউ দিয়েছিলেন এবং ৭টি ইন্টারভিউতেই ফেল হয়ে গেছিলেন তখন তিনি আত্যহত্যা করার চেষ্টা করেছিলেন। তিনি বলেন যে তিনি অনেক্ষন জানলা দিয়ে নিচে দেখছিলেন এবং সেখান থেকে ঝাঁপ মারতেই যাচ্ছিলেন কিন্তু তার বন্ধু এসে তাকে আটকে নিয়েছিল। এরপর তার বন্ধু রাধিকাকে মনো চিকিৎসকের কাছে নিয়ে গিয়েছিল এবং মানসিক ওয়ার্ডে রাধিকার ডিপ্রেশনে চিকিৎসাও চলেছিল।

Radhika Gupta

রাধিকাকে এই ওয়ার্ড থেকে তখন মুক্তি দেওয়া হয়েছিল যখন তিনি ডাক্তারদের বলেছিলেন যে তিনি আবার চাকরির ইন্টারভিউ দিতে যেতে চান। এরপর রাধিকা একটি সাক্ষাৎকারের জন্য মনো রোগ ওয়ার্ডে গেছিলেন এবং সেই সাক্ষাৎকারের সফল হওয়ার পর তিনি ম্যাকেঞ্জি কোম্পানিতে চাকরি পেয়েছিলেন।

নতুন কিছু করার উদ্দেশ্যে ফিরে এসেছিলেন ভারতে

রাধিকা জানান যে চাকরি পাওয়ার পর তার জীবনে খুব সুন্দর পরিবর্তন ঘটেছিল। কিন্তু প্রায় তিন বছর পর চাকরি করার পর তার কিছু পরিবর্তন করার কথা মাথায় আসে এবং ২৫ বছর বয়সে তিনি আবার ভারতে ফিরে এসেছিলেন। এরপর তিনি স্বামী ও বন্ধুর সঙ্গে নিজের সম্পত্তি প্রবন্ধন ফার্ম শুরু করে ছিলেন তিনি। এর কয়েক বছর পরে তার কোম্পানিকে এডেলওয়াইস এমএফ অধিগ্রহণ করে নিয়েছিল।

Radhika Gupta

রাধিকা আরো জানান যে তিনি সেই সময় সফলতা পেতে শুরু করেছিলেন।আর তিনি তার কাছে আসা বিভিন্ন সুযোগের দিকে হাত বাড়ানোর জন্যও প্রস্তুত ছিলেন। তাই যখন এডেলওয়াইস যখন কোম্পানির জন্য সিইও এর খোঁজ করছিল তখন রাধিকা তার স্বামীর সাথে পরামর্শ করে এবং সিইও পদের জন্য আবেদন জানিয়েছিল। আর আবেদনের কিছু দিন পর এডেলওয়াইস রাধিকাকে সিইও পদে গ্রহণ করে নিয়েছিল। আর এই ভাবেই আজ রাধিকা কোটিপতির কোম্পানির মালিক হন।