“প্রথম বিয়ে ভেঙ্গে যাওয়ার পর দেড় বছর বাড়ি থেকে বের হয়নি” দেবশ্রী কে নিয়ে এই প্রথমবার প্রকাশ্যে মুখ খুললেন বুম্বাদা
প্রথম স্ত্রী দেবশ্রী রায়কে নিয়ে মুখ খুললেন প্রসেনজিৎ চ্যাটার্জী
এই পৃথিবীতে সবচেয়ে সুন্দর সম্পর্ক হলো স্বামী-স্ত্রী বা জীবন সঙ্গী/সঙ্গিনীর (couple)সাথে যেই সম্পর্ক আমাদের গড়ে ওঠে।কথায় রয়েছে একটি সুন্দর সম্পর্ক তৈরি করার জন্য ভালোবাসা, বিশ্বাস, একে অপরের প্রতি সম্মান ইত্যাদি গড়ে তুলতে অনেক সময় লেগে যায় কিন্তু ভাঙতে এক মুহূর্ত লাগে না। কিন্তু আজকাল লক্ষ্য করা যায় অত্যন্ত বেশি পরিমানে স্বামী-স্ত্রী/বয়ফ্রেন্ড-গার্লফ্রেন্ডের (couple) সম্পর্কে বিচ্ছেদ ঘটেছে। এমনকি শুধু সাধারণ মানুষ নয় এই ঘটনা ঘটছে সেলিব্রিটিদের মধ্যেও। বলা যেতে পারে সাধারন মানুষের থেকে সেলিব্রিটিদের মধ্যে একটু বেশি বৃদ্ধি পাচ্ছে দম্পতিদের মধ্যে বিচ্ছেদের সংখ্যা।তাই আজ আমরা এই আর্টিকেলে বাংলা ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির এমন এক জুটির বিষয় কথা বলবো যাদের ছোট বেলার প্রেম হওয়া সত্ত্বেও টেকেনি বিয়ে। আসুন জেনেনি এই দম্পত্তির বিষয়।
আমরা এই আর্টিকেলে যেই দম্পত্তির বিষয় আলোচনা করবো তারা হলো বাংলা ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির (Bangla film industry) অন্যতম মহানায়ক প্রসেনজিৎ চ্যাটার্জী (Prasenjit Chatterjee) ও অভিনেত্রী আর প্রসেনজিৎ-এর প্রথম স্ত্রী দেবশ্রী রায় (Debashree roy) বিষয়। তার আগে জানিয়ে দি প্রসেনজিৎ (Prasenjit Chatterjee) ১৯৮৭ সালে বাংলা ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রি ফিল্মের জগতে পা রেখেছিলেন ‘অমর সঙ্গী’ ফিল্মের মাধ্যমে। এরপর একের পর এক হিট ফিল্মে কাজ করেছেন তিনি এবং এখনো করে চলেছেন। আজ বাংলা ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে মহানায়ক হিসাবে পরিচিত তিনি। আর তার প্রথম স্ত্রী দেবশ্রী রায় (Debashree roy) ১৯৬৬ সালে ফিল্ম ‘পাগল ঠাকুরের’ মাধ্যমে বাংলা ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে আগমন ঘটিয়েছিলেন তারপর একের পর এক হিট ফিল্মে কাজ করে গেছেন। যদিও তাকে এখন আর ফিল্মে দেখতে পাওয়া যায় না। এখন দেবশ্রী সিরিয়াল ‘সর্বজয়ার’ মাধ্যমে কাম ব্যাক করেছিলেন।
তবে যদি দেবশ্রী ও প্রসেনজিৎ-এর জুটির কথা বলি তবে খুব কম লোকেই জানে যে প্রসেনজিৎ ও দেবশ্রী একে অপরকে ছোটবেলা থেকে চিনতেন। তারপর তাদের বিয়ে হয়েছিল কিন্তু বিয়ের পর খুব বেশিদিন টিকেছিল না এই সম্পর্ক। এই প্রসঙ্গে প্রসেনজিৎ-এর আসন্ন ফিল্ম ‘কাছের মানুষের’ (Kacher manush film) প্রোমোশনের সময় মুখ খুললেন তিনি। আসলে ‘কাছের মানুষ’ (Kacher manush film)ফিল্মে প্রসেনজিৎ-এর পাশাপাশি অভিনেতা দেব রয়েছে। প্রতিটি ফিল্মের প্রোমোশনের মতো এই ফিল্মের প্রোমোশনের জন্য অদ্ভুত কিছু ভেবে রেখেছেন দেব। এই অদ্ভুত প্রোমোশনের একটি অংশ ছিল প্রসেনজিৎ-এর ব্যক্তিগত জীবনের উপর প্রসেনজিৎকে দিয়ে স্ট্যান্ডআপ কমেডি করা। প্রসেনজিৎ এই প্রসঙ্গে দেব কে প্রশ্ন করেছিলেন যে তাঁর ব্যক্তিগত জীবনে আছেটা কি যাতে লোক হাসবে? দেবের উত্তর, “তোমার তো চারটে বিয়ে!” তারপরেই অবশ্য ভয় পেয়ে ‘সরি সরি’ করে ওঠেন তিনি। কিন্তু প্রসেনজিৎ এদিকে আঙুলের কর গুণে দাবড়ে ওঠেন দেবকে, চারটে কোথায়! তাঁর তো তিনটে বিয়ে।
সঙ্গে সঙ্গে দেবের উত্তর, এই তো এভাবেই কমেডি করতে হবে। এতে নাকি লোক হাসবে! মুখ বেজার করে, কয়েক বার কপাল চাপড়ে শেষমেষ রাজিও হয়ে যান প্রসেনজিৎ। তারপর আর কী, ভোল বদলে দর্শকদের সামনে হাজির বুম্বা দা। এদিন বিয়ে ভাঙার পরবর্তী সময় নিয়ে প্রথম বার মুখ খোলেন প্রসেনজিৎ। দেবশ্রীর নাম না করেই তিনি বলেন, তিনটি বিয়ের মধ্যে যেটা প্রথম, ছোটবেলার সম্পর্ক, সেটা ভেঙে যেতে দেড় বছর বাড়ির বাইরেই বেরোননি প্রসেনজিৎ। ফ্ল্যাটের দরজা খোলেননি তিনি। নিজেকে বন্দি করে রেখেছিলেন। তারপর নিজেরই একদিন উপলব্ধি হয় তাঁর। এভাবে নিজেকে বন্দি করে রেখে লাভটা কী? সবার সামনে তো তাঁকে আসতেই হবে। পরিচালক অভিজিৎকে সেই দুঃসময়ে নিজের পাশে পেয়েছিলেন প্রসেনজিৎ। দেড় বছরের বন্দিদশা কাটিয়ে যেদিন সেটে এসেছিলেন, তিন দিনের মধ্যে নটা ছবিতে সাইন করে ফেলেছিলেন প্রসেনজিৎ।