বাজারে ছেড়ে গিয়েছে প্লাস্টিক ডিম, জানুন কীভাবে চিনবেন আসল নকলের পার্থক্য!

আজ নভেম্বর মাসের ৬ তারিখ। চারিদিকে হালকা হালকা ঠান্ডা পড়ছে কারণ শীতকাল ঘনিয়ে আসছে। আর যেহেতু শীতকাল আসছে শীতের মরসুমে পাওয়া খাদ্য, ফল ও সবজির চাহিদা এবার বৃদ্ধি পেতে থাকবে। তবে শীতকালের যেই খাদ্যের চাহিদা সবচেয়ে বেশি বৃদ্ধি পায় সেটি হলো বয়স মাত্র ২৫, তাতেই এই ৪ পুরুষের সাথে সম্পর্কে জড়িয়ে ছিলেন জাহ্নবী কাপুর খাদ্য ডিম। যদিও ডিমের (Egg) চাহিদা সারা বছরই থাকে কিন্তু শীতকালে অন্য সময়ের থেকে চাহিদা একটু বেশি থাকে।

কিন্তু এখন বাজারে নকল ডিম বিক্রির সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। তাই মানুষের নকল ডিম (fake egg or plastic egg) থেকে সাবধান হওয়া উচিতম কারণ নকল ডিম খেলে মানুষ হয়ে যেতে পারে গুরুতর পরিমানে অসুস্থ। তাই ডিম (Egg) কেনার সময় আসল ও নক ডিমের মধ্যে পার্থক্য করে ডিম কেনা উচিত। এখন প্রশ্ন হচ্ছে কোন ডিম আসল ও কোন ডিম নকল (Fake egg or plastic egg) সেই পার্থক্য করবেন কিভাবে? তবে আসুন এই আর্টিকেলের মাধ্যমে আসল ডিম ও নকল ডিমের পার্থক্য জেনেনি।

Plastic egg

জানিয়ে দি যে ভারতে ডিমের ব্যবসা এক লাখ কোটি টাকার বেশি এবং ভারত বিশ্বের তৃতীয় বৃহত্তম ডিম উৎপাদনকারী দেশ। আর প্রথম ও দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে আমেরিকা ও চীনের মতো দেশ। এছাড়া জানিয়ে দি একটি রিপোর্ট থেকে জানা গেছে ২০২০-২১ সালে ভারতে মোট ডিম উৎপাদনের সংখ্যা ছিল ১২২.০৫  বিলিয়ন। ভারতে সবচেয়ে বেশি ডিম উৎপাদন হয় অন্ধ্রপ্রদেশ ও তামিলনাড়ুতে। আর তেলেঙ্গানা ডিম খাওয়ার দিক থেকে সবার আগে রয়েছে। আর একটি রিপোর্ট থেকে জানা গেছে শুধুমাত্র হায়দ্রাবাদে রোজ ৭৫ লক্ষ ডিম খাওয়া হয়।

তবে দিন দিন ভারতে ডিমের চাহিদা বাড়ায় তার সুযোগ নিচ্ছে নকল ডিম ব্যবসায়ীরা। গত কয়েক বছরে বাজারে নকল ডিম বিক্রির ঘটনা দ্রুত বেড়েছে। আপনি যদি নকল এবং আসল ডিমের মধ্যে পার্থক্য জানতে চান তবে এর উজ্জ্বলতা দেখুন। একটি নকল ডিম আসলটির থেকে বেশি উজ্জ্বল। আর ডিমের উজ্জ্বলতা দেখে বেশিরভাগ মানুষই বিভ্রান্ত হয়ে আসল ডিম বলে কিনে নেয়। তবে নকল ডিমের খোসা তৈরির জন্য যেহেতু প্লাস্টিক ব্যবহার করা হয় তাই যদি আপনি নকল ডিম আগুনের সামনে নিয়ে যান প্লাস্টিক পোড়ার মতো গন্ধ বেরোবে এবং ডিমে আগুনও লেগে যেতে পারে।

Plastic egg

এছাড়া আসল ডিম হাতে নিয়ে নাড়ালে কোনোরকম শব্দ হয় না কিন্তু নকল ডিম হাতে নিয়ে নাড়লে ডিমের ভিতর দিয়ে কিছু নড়ার শব্দ পাওয়া যাবে। তাই ডিম কেনার সময় ডিমটিকে নাড়িয়ে আপনি আসল ও নকল সনাক্ত করতে পারবেন। এছাড়া আসল ও নকল ডিমের কুসুমও চেনা যায়। আপনি যখন একটি আসল ডিমের কুসুমের দিকে তাকাবেন, তখন এর কুসুম আলাদা দেখাবে। যেখানে নকল ডিমের কুসুমে সাদা তরল মিশ্রিত দেখা যাবে।