ওষুধ নয় এই ৫ টি খাবারেই মিটে যাবে অর্শের সমস্যা! জানুন চিকিৎসকের মুখে
অর্শরোগ বা পাইলস(piles) বর্তমানে খুব পরিচিত একটি শারীরিক সমস্যা হয়ে উঠেছে। সাধারণত চল্লিশ উর্ধ ব্যাক্তিদের ক্ষেত্রে এই রোগ দেখা গেলেও, আজকাল অল্প বয়সীদের অনেকেরই এই সমস্যা দেখা দিচ্ছে। পাইলস এমন একটি অবস্থা যেখানে মলদ্বারের ভিতরের বা বাইরের শিরাগুলি ফুলে ওঠে এবং পায়খানা করার পর রক্তপাত হয়। যা খুবই বেদনাদায়ক। পাইলসের কিছু নির্দিষ্ট লক্ষণ রয়েছে যেমন, মলত্যাগের সময় ব্যথা হওয়া, রক্তপাত ঘটা ,পায়ুদ্বার ফুলে ওঠা, জ্বালাপোড়া অনুভব করা প্রভৃতি। পাইলস একটি জটিল রোগ এবং কিছু ক্ষেত্রে, অবস্থা গুরুতর হতে পারে। তাই অতিঅবশ্যই একজন বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া উচিত। প্রয়োজনে সার্জারিও করতে হতে পারে। তবে প্রাথমিক পর্যায়ে খাদ্যতালিকায় কিছু পরিবর্তনের মাধ্যমে সহজেই পাইলস থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। আসুন কিছু ঘরোয়া প্রতিকার জেনে নিন-
জল –
পাইলসের চিকিৎসার ক্ষেত্রে জল একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। কারণ ডিহাইড্রেশন হল দীর্ঘস্থায়ী কোষ্ঠকাঠিন্যের(Constipation) সবচেয়ে বড় কারণগুলির মধ্যে একটি। আসলে খাবার খাওয়ার পর তা পাকস্থলী থেকে বৃহৎঅন্ত্রে যায় এবং সেখানে বর্জ্য পদার্থ তৈরি হয়। তাই যদি শরীরে পর্যাপ্ত জল না থাকে তবে বড়অন্ত্র মলকে শক্ত এবং শুষ্ক করে তোলে যা পাস করা কঠিন হয়ে পড়ে ফলে সমস্যা বাড়ে। তাই প্রতিদিন কমপক্ষে ৩ লিটার জল পান করার পরামর্শ দেন ডাক্তারেরা। যা মলত্যাগের মসৃণ কার্যকারিতায় সহায়তা করে।
ভুসি –
ইসাবগুলের ভুসি পাইলসের জন্য ব্যবহৃত একটি অতিপরিচিত ঘরোয়া প্রতিকার। এছাড়া ভুসি আরও অন্যান্য পেটের সমস্যা থেকেও মুক্তি দিতে পারে। ভুসিতে থাকা ফাইবার মলকে ভারী করে এবং নরম করে দেয় যার ফলে খুব সহজেই মল ত্যাগ করা যায়। নিয়মিত ১-২ চামচ ভুসি খালিপেটে বা রাত্রে শোবার সময় পরে গ্রহণ করলে কোষ্ঠকাঠিন্য বা অর্শের মত রোগের হাত থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। বদহজমের সমস্যাতেও বেশ কার্যকরী ভুসি।
রুটি –
অনেকে আছেন যারা রাত্রে নিয়মিত ভাত খান। ভাত শরীরের পক্ষে খুবই ভালো কিন্তু পাইলসের সমস্যা থাকলে ভাত না খাওয়াই উচিত। কারণ ভাতে ফাইবারের থেকে কার্বোহাইড্রেটের পরিমাণ বেশি থাকে ফলে কোষ্ঠকাঠিন্য সমস্যা বাড়তে পারে। তবে রুটিতে আছে অধিক মাত্রায় ফাইবার যা মলকে নরম করতে সাহায্য করে। তাই প্রতি রাত্রে নিয়মিত আটার রুটি খেলে অর্শ থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।
ওটস –
ওটস(Oats) এক ধরণের শস্য বীজ। প্রচুর পুষ্টিগুন রয়েছে এই ওটসে। যা ওজন নিয়ন্ত্রণ করে এবং শরীরকে সুস্থ রাখতে সাহায্য করে। পাশাপাশি ওটসে (Oats) রয়েছে প্রচুর পরিমাণে অদ্রবণীয় ফাইবার রয়েছে যা মসৃণ হজম প্রক্রিয়ায় সাহায্য করে এবং মলকে শুষ্ক হতে দেয় না ফলে খুব সহজে মল পাস হয়ে যায়। তাই ব্রেকফাস্টে মাঝে মধ্যে ওটস খেতে পারলে অর্শ রোগের প্রকোপ থেকে অনেকটাই নিষ্কৃতি পাওয়া সম্ভব।
ফল, শাক, সবজি-
ফাইবারের চমৎকার উৎস হল টাটকা ফল- মূল এবং শাক-সবজি। এগুলি নিয়মিত খাওয়া
স্বাস্থ্যের পক্ষে খুবই উপকারী। শরীরের সমস্ত প্রয়োজনীয় ভিটামিন, মিনারেল, পুষ্টি এবং ফাইবার পাওয়া যায়, ফল এবং শাক-সবজি থেকে। পাইলসের কারণে রক্তপাত এবং ফোলা নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করতে পারে এগুলি। তাই পাইলসের চিকিৎসার জন্য অতিঅবশ্যই খাদ্য তালিকায় রাখতে হবে বিভিন্ন ফল এবং শাক সবজি।