কোটি টাকারও বেশি পার করেছে এই কবুতরের দাম, বিশেষত্ব জানলে আপনিও হবেন অবাক

আমরা পায়রা (pegion) নামক প্রাণীটিকে প্রায় সকলেই দেখছি। পায়রাকে প্রায়ই আকাশে উড়তে লক্ষ্য করা যায়। এই পাখি দেখতে খুব সুন্দর ও কিউট হয়। পায়রা সাধারণত সাধা ও নীলচে রঙের হয়ে থাকে। কিন্তু আপনার কোনো ধারণা আছে যে পায়রা পাখির দাম কত হয় এবং এই পাখি কত দামে বিক্রি হয় ? বেশিভাগ লোকের ধারণা রয়েছে যে যেহুত পায়রা (pegion)খুব সহজ লভ্য ও সাধারণ পাখি যাকে প্রায়ই আকাশে উড়তে দেখা যায় সোহেতু এই পাখির দাম খুব সস্তা হবে।

জানিয়ে দি আপনার ধারণা ভুল। পায়রা অত্যন্ত দামি একটি পাখি। সম্প্রতি হওয়া একটি নিলামে পায়রা পাখিকে প্রায় ১৪ কোটির বেশি টাকায় কেনা হয়েছে। এই পায়রাটির নাম হলো নিউ কিম। বেলজিয়ান (Belgium) প্রজাতির এই পায়রাটিকে ১৪.১৪ কোটি টাকার বিক্রি করা হয়েছিল। একজন ধনী চীনা ব্যক্তি সম্প্রতি বেলজিয়ামে (Belgium) অবস্থিত পিপা পিজন সেন্টারে হওয়া নিলামের সময় কিনেছিলেন। এই পায়রাটিকে কেনার জন্য দুইজন চীনা ব্যক্তি এই পায়রাটিকে কেনার জন্য দাম লাগিয়েছিল। আর তারা দুজনেই নিজেদের আসল পরিচয় গোপন রেখে সুপার ডুপার ও হিটম্যানের নাম করে দাম লাগাছিলেন।

New Kim pegion selling in Belgium

হিট ম্যান, পায়রা নিউ কিমের জন্য দাম লাগিয়েছিলেন কিন্তু পরে সুপার ডুপার ১.৯ ইউএসএ ডলারের দাম লাগিয়ে পায়রাটি কিনে নেন। অনেকে এটাও ধারণা করছে যে যেই দুই চিনি ব্যক্তি দাম লাগাছিলেন তারা এক পরিবারেরই সদস্য ছিলেন এবং তারা সেইসব পরিবারের থেকে উঠে আসা মানুষ ছিলেন যারা পায়রাকে রেসিং ও দ্রুত ওড়ার ট্রেনিং দিয়ে থাকে। নিলামের এই অকেশনে প্রায় ৪৪৫ টি পায়রা এসেছিল। এই পায়রা গুলি বিক্রির পর মোট আয় হয়েছিল ৫২.১৫ কোটি টাকা।

Belgium new kim pegion

নিউ কিম পায়রার বিশেষত্ব

নিউ কিম পায়রার জাতের পায়রা গুলি সাধারণত রেসিং পায়রা হয়। এই পায়রা গুলি খুব দ্রুত উড়তে পারে এবং এই পায়রা গুলি আয়ু প্রায় ১৫ বছর পর্যন্ত হয়। এমনকি এই পায়রা গুলির উপর অনলাইন বাজিও ধরা হয়। এই পাখি গুলির মাধ্যমে চীনের ধনী লোকেরা নিজেদের টাকাকে দ্বিগুন বাড়িয়ে তোলার সুযোগ পায় কিন্তু কেউ কেউ আবার টাকা হেরেও যায়। চীনে আলাদা আলাদা স্তরে রেসের আয়োজন করা হয়। আর রেসে যেতা টাকাকে জিতে যাওয়া লোকেদের মধ্যে ভাগ করে দেওয়া হয়। এটি অনেকটা ঘোড়ার রেসিংয়ের মতনই।

New Kim pegion

এই জাতের পায়রা জেনে ফেলতে পারতো মরসুমের খবর

জানিয়ে দি যে দ্বিতীয় বিশ্ব যুদ্ধের সময় বেলজিয়ামের কাছে ২.৫০ রেসিং পায়রার দল ছিল। এই পায়রা গুলি গুরুত্বপূর্ন চিঠি বা সূচনার আদানপ্রদানের কাজ করতো। এমনকি এই পায়রা গুলিদের নিয়ে একটি ফাউন্ডেশনও গঠন করা হয়েছিল। যাদের মধ্যে হাজার হাজার লোক উপস্থিত ছিল। এমকনকি ৫০ বছর আগে পর্যন্ত ফ্রান্স ও স্পেনে মরসুমের খবর জানার জন্য পায়রাদের ট্রেনিং দেওয়া হতো। পায়রা গুলি দূরদুরন্ত উড়ে মরসুমে খবর নিয়ে আসতো। আর তাদের পায়ে ইনস্টল করা ডিভাইসে তথ্য রেকর্ড হয়ে যেত।