Padma Multipurpose Bridge: পদ্মা সেতু উদ্বোধনের সাথেই কমলো ভারতের বাংলাদেশের দূরত্ব, খুশি দুই বাংলা

Padma Multipurpose Bridge – পদ্মা সেতুর (Padma Bridge) উদ্বোধন করলেন বাংলাদেশ (Bangladesh) এর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা (Sekh Haseena)। বিশ্বব্যাংকের অর্থায়নে সেতু (Padma Multipurpose Bridge) নির্মাণের কথা ছিল। তবে ২০০৯ সালে শেখ হাসিনা ক্ষমতায় আসার পর বিশ্বব্যাংক দুর্নীতির অভিযোগে ১২ বিলিয়ন ডলারের তহবিল বাতিল করে।

Padma Bridge

দীর্ঘ প্রায় ২১ বছরের প্রতীক্ষার পর বাংলাদেশের (Bangladesh) মানুষ একটি বড় উপহার পেয়েছে। এখানে পদ্মা নদীর ওপর নির্মিত সেতুটি আজ মানুষের জন্য খুলে দেওয়া হয়েছে। এই সেতুটি বাংলাদেশের (Bangladesh) দীর্ঘতম সেতু। যা দেশের রাজধানী ঢাকা ও মংলা বন্দরের মধ্যে দূরত্ব কমিয়ে দেবে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এটি আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক বাণিজ্যে বাংলাদেশকে উৎসাহিত করবে।

Padma Bridge

শনিবার ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনার মধ্যে এই সেতুর উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা (Sekh Haseena)। এসময় জনতা ‘আমাদের টাকা, আমাদের সেতু, আমাদের অহংকার পদ্মা সেতু’ স্লোগান দেয়।বাংলাদেশ সরকার এই উপলক্ষে সংবাদ সংস্থা এএনআইকে বলেছে যে এটি বাংলাদেশের জনগণের জন্য একটি স্বপ্ন পূরণের মতো। এই সেতুর মাধ্যমে বাংলাদেশের অর্থনীতি চাঙ্গা হবে বলে আশা করা হচ্ছে। সরকার অনুমান করেছে যে সেতুটি জিডিপি ১.২৩ শতাংশ এবং দক্ষিণ-পশ্চিম অঞ্চল ২.৩ শতাংশ বৃদ্ধি করবে।

২০০৯ সালে হাসিনার সরকার ধাক্কা খেয়েছিল

বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় জানিয়েছে, বিশ্বব্যাংকের অর্থায়নে এ সেতু নির্মাণের কথা ছিল। তবে ২০০৯ সালে শেখ হাসিনা ক্ষমতায় আসার পর বিশ্বব্যাংক দুর্নীতির অভিযোগে ১২ বিলিয়ন ডলারের তহবিল বাতিল করে। এরপর শেখ হাসিনা সরকার নিজেই এই সেতুটি সম্পূর্ণ করার সিদ্ধান্ত নেয় এবং পদ্মা সেতু নির্মাণ করে সবার সামনে দৃষ্টান্ত স্থাপন করে।

Padma Bridge

সরকার বলেছে, পদ্মা সেতু (Padma Bridge) দেশের গৌরব, যা দক্ষিণ-পশ্চিম অঞ্চল ছাড়াও দেশের বাকি অংশকে সংযুক্ত করেছে। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় জানিয়েছে, এই সেতু দেশের ২১টি জেলাকে যুক্ত করেছে।

উচ্চতার দিক থেকে বিশ্বের ১২২ তম স্থান

সেতুর দৈর্ঘ্যের দিক থেকে এটি বিশ্বের ১২২ তম স্থানে রয়েছে। মূল সেতুটি ৬.১৫ কিলোমিটার দীর্ঘ। ৬.১৫ কিলোমিটার দীর্ঘ সেতুটির নির্মাণ কাজ ২০১৫ সালে শুরু হয়েছিল এবং ২০২১ সালের ডিসেম্বরে শেষ হয়েছিল।

কলকাতা থেকে ঢাকা আসতে হলে কিছু দিন আগে অব্দি স্টিমার ব্যাবহার করতে হত। পদ্মা সেতু চালু হলে সরাসরি ঢাকা পৌঁছানো সম্ভব হবে। কলকাতা থেকে ঢাকার দূরত্ব ৪০০ কি.মি.। বাসে যা অতিক্রম করতে সময় লাগত ১০ ঘন্টা। তবে পদ্মা সেতু চালু হলে তা সময় লাগবে মোটামুটি ৪ ঘন্টা।

Padma Bridge