বাড়ির কাজের লোকের হাতে তৈরি মটন খেয়ে মালকিন পড়লেন প্রেমে, কর্মচারীকেই করলেন বিয়ে

সোশ্যাল মিডিয়ার (Social media)  সাথে জুড়ে নেই এরকম মানুষ নেই বললেই চলে। আমরা সোশ্যাল মিডিয়াকে আজকাল বিভিন্ন কারণে ব্যবহার করে থাকি। যেমন কেউ সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার করে ব্যবসার কাজের জন্য, জিনিস কেনা-বেচার, কেউ সোশ্যাল মিডিয়া কন্টেন্ট ক্রিয়েক করে উপার্জন করে আবার কেউ কেউ শুধু এন্টারটেন্টমেন্টের জন্য সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার করে। আর এন্টারটেন্টমেন্টের জন্য সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার করা লোকেদের সংখ্যাই একটু বেশি।

সোশ্যাল মিডিয়ায় (social media) আমরা রোজই অনেক ধরনের ফটো, ভিডিও ও খবর দেখতে পাই। এই সব ভিডিওর মধ্যে কিছু কিছু ভিডিও বা খবর এমন থাকে যা দেখার পর আমরা অবাক হয়ে যাই বা এমন কিছু দেখতে পাই তা দেখে আমাদের হাসতে হাসতে পেট ব্যাথা হয়ে যায় বা এমন কিছু দেখি যা আমাদের মনকে খুশি করে তোলে।সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি অদ্ভুত ঘটনা বা খবর ভাইরাল (Viral news) হচ্ছে। আসুন এই আর্টিকেলের মাধ্যমে এই ঘটনা বা খবরের বিষয় বিস্তারিত জেনেনি।

Rafiq

সোশ্যাল মিডিয়ায় যেই খবরটি ভাইরাল (Viral news) হচ্ছে সেটি পাকিস্তানের (Pakistan) এক কপলের যাদের মধ্যে বয়সের অন্তর প্রায় ৩৩ বছরের। কথায় রয়েছে যে ‘পুরুষের মনের রাস্তা পুরুষের পেট হয়ে যেতে হয়’। এই কথাটিকে বাস্তবে প্রমাণ করে দেখিয়েছে এই কপল। যদিও এই ক্ষেত্রে ব্যাপারটা একটু উল্টো। এই পাকিস্তানি লাভ স্টোরিতে মেয়ের নাম হলো আলিয়া (২২ বছর) ও ছেলের নাম রাফিক (৫৫ বছর)। সম্প্রতি এই কপল একে অপরের সাথে গাঁটছড়া বেঁধেছে।

এই দম্পত্তির প্রথম আলাপ একটি রিক্সায় হয়েছিল। তখন আলিয়া-রাফিক একে অপরকে ঠিক করে চিনতো না। প্রথম আলাপে একটি ছোট কারণ নিয়ে তাদের মধ্যে ঝগড়া লেগে গেছিল। আর এই ঝগড়া বেড়ে যখন বড় আকার ধারণ করেছিল তখন আলিয়া (Alia) রেগে গিয়ে রাফিককে (Rafiq) কষিয়ে একটি থাপড় পর্যন্ত মেরেছিল। এরপর একদিন যখন রাফিক,  আলিয়াকে তার হাতের তৈরি মটন (Mutton Handi)  খাইয়ে ছিল তখন এই হেট স্টোরি লাভ স্টোরিতে পরিবর্তিত হয়ে যায়। অর্থাৎ রফিকের তৈরি খাওয়ার খেয়ে আলিয়া (Alia) রফিকের (Rafiq) প্রেমে পরে যায়।

Mutton Handi

পাকিস্তানি (Pakistan)  ইউটিউবার সৈয়দ বাসিত আলী এই দম্পত্তির লাভ স্টোরিকে শেয়ার করেছেন। রাফিক ইন্টারভিউতে জানিয়েছেন যে প্রথম দেখায় ঝগড়ার পর রাফিক, আলিয়াকে ফলো করে তার বাড়ির রাস্তা চিনে নিয়েছিলেন। এরপর প্রতিদিন তিনি রোজ অলিয়ার সাথে দেখা করতে তার বাড়ি যেতেন। ককিন্তু আলিয়া তাকে পাত্তা দিতেন না। এরপর একদিন রাফিক অলিয়ার কাছে অনুরোধ করেন যে আলিয়া যেন তার রাফিকে তার বাড়িতে রান্না ও বাড়ির অন্য কাজ করার জন্য একটা চাকরি দেয়। এই প্রস্তাবে তখন আলিয়া রাজি হয়েছিলেন।

এরপর রাফিক তার কাজের প্রথম দিনেই অলিয়ার জন্য মটন হান্ডি তৈরি করেছিলেন। এই মটন হান্ডি এতটাই সুস্বাদু ছিল যে এটা খাওয়ার পর আলিয়া, রাফিকের প্রেমে পরে যায় এবং তারা একে অপরকে বিয়ে করার সিদ্ধান্ত নেয়। আলিয়া জানিয়েছে যে রফিকের মতো সুস্বাদু খাওয়ার এই পৃথিবীতে কেউ তৈরি করতে পারবে না ও রাফিক ঘরের কাজও দুর্দান্ত করে। এখন এই দম্পত্তি একসাথে সুখে সংসার করছে। রাফিক বাড়ির সমস্ত কাজ করে ও আলিয়া অনলাইন ব্যবসা করে।