দুর্দান্ত আইডিয়া লাগিয়ে মাত্র ১৭ বছর বয়সে নিজের কোম্পানি খুলে আজ করছেন কোটি টাকা উপার্জন

প্লাস্টিক পরিবেশের জন্য অত্যন্ত মারাত্মক এবং ক্ষতিকারক বস্তু। উর্বর জমিকে ব্যাপকভাবে ক্ষতি করতে পারে এই প্লাস্টিক। মানবজীবনের অত্যন্ত ক্ষতিকারক প্রভাব ফেলতে পারে প্লাস্টিক। তাই বারবার দেশের মানুষকে সচেতন করা হয়। যাতে প্লাস্টিকের বস্তু ত্যাগ করে, অন্য কোন বস্তু ব্যবহার করার জন্য। তবে আজ এমন এক যুবকের কথা আপনাদের বলব, যে প্লাস্টিক প্যাকেট রিসাইকেল করে পণ্য তৈরি করছে।

তিনি হলেন রাজস্থানের বাসিন্দা, আদিত্য বাঙ্গার। তাঁর বয়স মাত্র ১৭ বছর । তিনি দ্বাদশ শ্রেণী পড়াশোনার পাশাপাশি ‘ট্র্যাশ টু ট্রেজার’ একটি নিজস্ব কোম্পানিও চালাচ্ছেন। এই কোম্পানিটি শুরু করেছিলেন ২০২১ সালে। এই কোম্পানির বিশেষত্ব হল, এখানে প্লাস্টিক বর্জ্য পুনর্ব্যবহার করে তা ফ্যাব্রিক ফাইবারে রূপান্তরিত করা হয়।

কিভাবে তিনি এই ধারণা পেলেন

প্লাস্টিক বর্জ্য পুনর্ব্যবহার করে ফ্যাব্রিক ফাইবারে রূপান্তর করার ধারণা তিনি ২০১৯ সালে চীন সফরে গিয়ে পেয়েছিলেন । একটি সাক্ষাৎকারে জানান, তিনি চীনে সফরে মূলত টেক্সটাইল মেলায় অংশ নিতে গিয়েছিলেন। ওই মেলা থেকেই তিনি প্লাস্টিক বর্জ্য পুনর্ব্যবহারের প্রযুক্তি সম্পর্কে জানতে পারেন। এরপর এই প্রযুক্তি নিয়ে পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে তথ্য সংগ্রহ করতে থাকেন। ভারতে এই ধরনের প্রযুক্তির ব্যবহার খুবই কম, ফলে সেখান থেকেই তাঁর মাথায় এই ধরনের চিন্তা আসে। এরপরই তিনি ভারতে এই ধরণের কাজ শুরু করে দেন।

ফ্যাব্রিক ফাইবার ব্যবহৃত করা হয় কাপড় তৈরিতে

 

আদিত্য কোম্পানিটি চালু করার পূর্বে পরিবারের সাথে আলোচনা করেন। তাঁর পরিবারের পূর্ণ সমর্থন পান । এরপর প্লাস্টিক বর্জ্য পুনর্ব্যবহার করে তা থেকে ফ্যাব্রিক ফাইবার উৎপাদন করার প্রযুক্তি নিয়ে তিনি কাকার সাথে আলোচনা করেন। তিনিও আদিত্যকে পূর্ণ সমর্থন করেন। আপনাদের জানিয়ে রাখি, তাঁর পরিবার পূর্বেই কাপড়ের ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত ছিল এবং এই ব্যাবসার মধ্য দিয়েই আদিত্য তাঁর কোম্পানি শুরু করেন। আদিত্যের ‘ট্র্যাশ টু ট্রেজার’ কোম্পানিটি ১০ হাজার কেজির বেশি প্লাস্টিক বর্জ্যকে ফ্যাব্রিক ফাইবারে রূপান্তরিত করেছে এখনো পর্যন্ত।

এই কোম্পানিটি প্রচুর পরিমানে বর্জ্য থেকে ফ্যাব্রিক ফাইবার তৈরি করে, যা পোশাক তৈরিতে ব্যবহৃত হয়। বহু মানুষকে কর্মসংস্থানের পথ দেখিয়েছেন এই কোম্পানি এবং বর্তমানে এখানে শত শত কর্মী কাজে নিযুক্ত রয়েছেন। আদিত্যের প্রগতিশীল চিন্তাভাবনা, অনেক মানুকে অনুপ্রাণিত করেছে।