৭ তলা মল! পুরোটাই বিরিয়ানিতে ভর্তি, এবার পুজোয় নতুন চমক দাদা-বৌদি বিরিয়ানির
৭ তলা মল! পুরোটাই বিরিয়ানিতে ভর্তি
পৃথিবীতে যে সমস্ত সুস্বাদু খাবার রয়েছে, তার মধ্যে বিরিয়ানি (Biriyani) সেরা। মোঘল সম্রাটের এই রাজকীয় খাবার আজকের সময়ে বাঙালির অত্যন্ত প্রিয় হয়ে উঠেছে। যে কোনো অনুষ্ঠানে এখন মানুষ বিরিয়ানি খোঁজে। সেই বিরিয়ানিরই একটি সমৃদ্ধ দোকান হলো দাদা বৌদির বিরিয়ানি (Dada Boudi biriyani)। ব্যারাকপুরে (Barrackpoor) অবস্থিতি এই দোকানটি খুবই জনপ্রিয় রেস্তোরাঁ (Famous Resturent)। প্রতিদিন প্রচুর সংখ্যক মানুষ এখানে ভিড় জমায়। শহরতলিয়ে অবস্থিত হলেও, শহর কলকাতার মানুষের কাছেও এর সুগন্ধ পৌঁছে গেছে। বিরিয়ানির জগতে দাদা বৌদির বিরিয়ানি একটি ব্র্যান্ড (Brand) হয়ে উঠেছে। এবার পুজোয় দাদা বৌদির বিরিয়ানি মানুষের জন্য এক নতুন চমক নিয়ে হাজির হলো। আজকের প্রতিবেদনে আপনাদের এ নিয়ে জানাবো।
পুজোর মসরুমে (Pooja Special) দাদা বৌদির নতুন রেস্টুরেন্টে (New Resturent) চালু হলো। প্রায় ৭ দিন আগে এটি চালু করা হয়েছে। যারা গেছেন, তারা জানেন এই রেস্টুরেন্টটি ব্যারাকপুরের ফুটপাত সংলগ্ন জায়গায় রয়েছে। এই হোটেলটিকে নয় রূপ দেওয়া হলো। নতুন এই রেস্তোরাঁটি সাত তলা বিশিষ্ট। সাত তলা জুড়েই চলবে বিরিয়ানির খাওয়া-দাওয়া। এক কথায় বলতে গেলে সাত তলা মল পুরোটাই বিরিয়ানি। বিরিয়ানির জন্য এমন মল এর আগে কোথাও তৈরি হয়নি।
এখনো বিল্ডিংয়ের কাজ চলছে, পুরোপুরি সম্পূর্ণ হয়নি। তবে পুজোর কথা মাথায় রেখে বিল্ডিংয়ের নিচের তলাটি মানুষের জন্য খুলে দেয়া হয়েছে। নিচের তলায় মোট ৭০ টি টেবিল পাতা হবে। তবে বিল্ডিং এর বাকি অংশের কাজ খুব শীঘ্রই সম্পন্ন হবে বলে জানিয়েছেন দাদা বৌদি হোটেলের মালিক রাজীব সাহা (Rajib Saha)। অন্যদিকে এই হোটেলের আরেকটি শাখা দমদম এয়ারপোর্ট সংলগ্ন এলাকায় তৈরি করা হচ্ছে। এই হোটেলটির কাজেও দ্রুত গতিতে হচ্ছে। আগামী ২০২৩ সালের মধ্যে এটি সম্পূর্ণ হয়ে যাবে বলে জানিয়েছেন হোটেল মালিক।
বর্তমানে নতুন রেস্টুরেন্টটিতে ৩০ জন কর্মী কাজ করছেন। তবে দাদা বৌদি বিরিয়ানি হোটেলের মোট কর্মী (Labour) সংখ্যা ২৫০ থেকে ৩০০ জন। সোদপুরেও এই হোটেলের শাখা রয়েছে। প্রায় ৬০ বছর ধরে রমরমে ব্যবসা করছে হোটেলটি। আজও এই হোটেলের বিরিয়ানির স্বাদ এই প্রথম দিনের মতোই রয়েছে। এই পরিপ্রেক্ষিতে হোটেল মালিক রাজীব সাহা জানিয়েছেন, ” বিরিয়ানির আসল উপাদান মাংস। সেই মাংস দাদা বৌদির তরফ থেকে নিজেরাই গিয়ে এখনও কিনে আনা হয়। কোনও কর্মীদের উপর এখনও সেই দায়িত্ব দেওয়া হয়নি।”