সত্যিই কি মঙ্গলে ছিল প্রাণ! বিজ্ঞানীরা ১.৩ বিলিয়ান বছর পুরোনো উল্কাপিণ্ড নিয়ে ফাঁস করলেন চাঞ্চল্যকর তথ্য

মঙ্গলগ্রহ নিয়ে সবার মনে একটাই প্রশ্ন জাগে! যেহেতু এটি পৃথিবীর নিকটতম গ্রহগুলির মধ্যে একটি, তাই এখানে কি কখনও প্রাণ ছিল?বিজ্ঞানীরাও বছরের পর বছর ধরে এই প্রশ্নে বিভ্রান্ত হয়েছেন। এ নিয়ে নিরন্তর গবেষণা চলছে। খুব শীঘ্রই বিজ্ঞানীরা এই বিষয়ে একটি চূড়ান্ত উত্তর পাবেন বলে আশা করা হচ্ছে। ২০৩০ সালের মধ্যে মঙ্গল গ্রহ থেকে নমুনা পৃথিবীতে আনার লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে নাসা।

এগুলো হবে এমন নমুনা যা থেকে মঙ্গলে প্রাণের প্রমাণ পাওয়া যাবে। তবে বিজ্ঞানীরা উল্কাপিণ্ডের আকারে মঙ্গল গ্রহের উপাদান নিয়ে গবেষণা করছেন। সুইডেনের লুন্ড ইউনিভার্সিটির গবেষকরা মঙ্গল গ্রহ থেকে ১.৩-বিলিয়ন বছরের পুরনো উল্কা পিঙ্ক অধ্যয়ন করেছেন এবং দেখেছেন যে এটি জলের সীমিত এক্সপোজার পেয়েছে। অন্য কথায়, সেই নির্দিষ্ট সময় ও স্থানে জীবনের অস্তিত্বের সম্ভাবনা ছিল না।

বিজ্ঞানীরা নিউট্রন এবং এক্স-রে টমোগ্রাফি ব্যবহার করেছিলেন। এটি একই প্রযুক্তি যা পারসিভারেন্স রোভার দ্বারা আনা নমুনাগুলি অধ্যয়ন করতে ব্যবহার করা হবে। এই কৌশলটি ব্যবহার করা হয়েছিল কারণ বিজ্ঞানীরা জানতে চেয়েছিলেন যে কোনও বৃহৎ হাইড্রোথার্মাল সিস্টেম ছিল কিনা, যা জীবনের বিকাশের জন্য উপযুক্ত। এক্স-রে টমোগ্রাফি হল কোন বস্তুর ক্ষতি না করে অধ্যয়ন করার একটি সাধারণ পদ্ধতি।

নিউট্রন টমোগ্রাফি ব্যবহার করা হয়েছিল কারণ নিউট্রন হাইড্রোজেনের প্রতি অত্যন্ত সংবেদনশীল। বিজ্ঞানীরা আশা করছেন যে জীবন খুঁজে পাওয়ার জন্য প্রথমে হাইড্রোজেন খুঁজে পাবেন কারণ আমরা জানি যে জল জীবনের জন্য প্রথম প্রয়োজনীয় উপাদান। লুন্ড ইউনিভার্সিটির ভূতত্ত্বের ডক্টরাল ছাত্র বলেছেন, “আমরা তদন্ত করতে চেয়েছিলাম যে উল্কাপিন্ডটি জলের সাথে কীভাবে প্রতিক্রিয়া করেছিল যখন এটি মঙ্গল শিলার অংশ ছিল।”

গবেষণায় দেখা গেছে, উল্কাপিণ্ডের সামান্য অংশই হয়তো জলের সঙ্গে প্রতিক্রিয়া করেছে। এর মানে হল যে মঙ্গল গ্রহের পৃষ্ঠে পাওয়া নমুনাগুলিতে সেই সময়ে জীবনকে আশ্রয় করে এমন কিছু ছিল না। বিজ্ঞানীদের এই গবেষণাটি সায়েন্স অ্যাডভান্সেস জার্নালেও প্রকাশিত হয়েছে। বিজ্ঞানীরা আশা করছেন যে তাদের আবিষ্কার নাসার বিজ্ঞানীদের জন্যও সহায়ক হবে, যখন তারা মঙ্গল গ্রহ থেকে নমুনা নিয়ে পৃথিবীতে ফিরে আসবে।