মিশরে মিলল রহস্যময় রানীর পিরামিড সহ ৩০০ টি মমি ও সোনার মুখোশ, মাটি খুঁড়তেই সামনে এল চাঞ্চল্যকর তথ্য!

পিরামিডের (pyramid) দেশ বলা হয় মিশরকে (egypt)। প্রত্নতাত্ত্বিকরা এখন মিশরে একটি প্রাচীন রানীর পিরামিড আবিষ্কার করেছেন। খননে পিরামিড, কফিন, মমি, নিদর্শন এবং আন্তঃসংযুক্ত টানেলের একটি সিরিজ পাওয়া গেছে। গত দুই বছর ধরে, মিশরের রাজধানী কায়রো থেকে ৩২ কিলোমিটার দক্ষিণে অবস্থিত একটি প্রত্নতাত্ত্বিক স্থান সাক্কারাতে খনন কাজ চলছিল। প্রত্নতাত্ত্বিকরা কফিন এবং মমি খুঁজে পেয়েছেন, যা রাজা তুতেনখামেনের ঘনিষ্ঠ সেনাপতি এবং উপদেষ্টাদের অন্তর্গত বলে মনে করা হচ্ছে।

প্রত্নতাত্ত্বিকরা মিশরের ষষ্ঠ রাজবংশের প্রথম রাজা তেটির অন্তর্গত একটি নিকটবর্তী পিরামিডের দিকেও দৃষ্টি নিবদ্ধ করেছিলেন। খননের সাথে জড়িত মিশরের প্রাক্তন পুরাকীর্তি মন্ত্রী এবং বিজ্ঞানী জাহি হাওয়াস বলেছেন, ‘তেতিকে দেবতার মতো পূজা করা হত নতুন রাজ্যের সময়। তাই সবাই তাঁর কাছে সমাহিত করতে চেয়েছিল। তিনি আরও বলেন, ‘তবে সাক্কারায় পাওয়া বেশিরভাগ সমাধি পুরাতন রাজ্যের সাথে সম্পর্কিত।

img 20221129 180703

হাওয়াস বলেছেন, ‘এই শ্যাফ্টগুলিতে, প্রত্নতাত্ত্বিকরা নিউ কিংডম আমলের ৩০০ টি সুন্দর কফিন খুঁজে পেয়েছেন। এখানে নিউ কিংডম কফিন খুঁজে পাওয়া খুব একটা সহজ কাজ ছিল না। সেই কারণেই এই কফিনের কারণে এই স্থানটি বিশেষ হয়ে উঠেছে। তিনি আরও বলেন, ‘সব কফিনে তৈরি মুখগুলো আলাদা। নারী ও পুরুষের মধ্যেও পার্থক্য রয়েছে’।

সব কফিনে নাম লেখা আছে। অনেকের কাছে মৃতদেহ মমি করা শিশুদের নাম রয়েছে। নিউ কিংডম, মিশরীয় সাম্রাজ্য নামেও পরিচিত, খ্রিস্টপূর্ব 6ষ্ঠ শতাব্দী থেকে খ্রিস্টপূর্ব ১১ শতক পর্যন্ত স্থায়ী ছিল। এখানে পাওয়া মমিটি প্রায় ৩০০০ বছরের পুরনো।

img 20221129 180613

মমি আবিষ্কারের চেয়ে অন্য এক বিষয় দেখে আশ্চর্য্য হয়ে গিয়েছিলেন প্রত্নতাত্ত্বিকরা। মমি আবিস্কারের পর দেখা গিয়েছে, এত শতাব্দী পরও সেই মমিগুলো অক্ষত অবস্থায় রয়েছে। জানিয়ে রাখি, কিছু কফিনে দুটি ঢাকনা থাকে এবং একটি কফিনে শক্ত সোনার তৈরি নারীর মুখোশ থাকে। এ ছাড়া গবেষকরা একটি পিরামিড আবিষ্কার করেছেন যা একজন রানির স্মৃতিতে নির্মিত হয়েছিল। এখন পর্যন্ত তার পরিচয় জানা যায়নি।